সোমবার ● ২২ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » মাটিরাঙ্গায় সেবিকাকে ধর্ষণ করেছে মেম্বার রাজিব
মাটিরাঙ্গায় সেবিকাকে ধর্ষণ করেছে মেম্বার রাজিব
অন্তর মাহমুদ,মাটিরাঙ্গা ( খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি:: (৭ ভাদ্র ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.৪৫মিঃ) খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গা উপজেলার বেলছড়িতে সেবিকা আক্তার মুন্নি (১৮) নামের এক গৃহবধুকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রাতভর ধর্ষণ করেছে ঐ ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত ২নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার মো. এনামুল হক রাজিব ৩০৷
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, রাজিবের নির্বাচনী ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. ফুল মিয়ার ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলমকে চট্টগ্রামে চাকরিরত অবস্থায় কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানার চিওরা গ্রামস্তা হাজী বাড়ীর জসিম উদ্দিনের বড় মেয়ে সেবিকা আক্তার মুন্নি ২০১৪ সালে বাড়ী থেকে পালিয়ে বিয়ে করে ৷ বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবনে মো. তাছলিম আহমেদ তামিম (১৮ মাস) নামে একটি পুত্র সন্তান আসে সংসার আলো করে৷
গত কিছুদিন পুর্বে সদ্য ত্যাগকৃত স্বামী জাহাঙ্গীরের ছোট বোন (ননদের) বিয়ের অনুষ্ঠান সুবাদে রাজিব ও সেবিকা আক্তার মুন্নি মোবাইল ফোনের নাম্বার লেনদেন করে ৷ সেই থেকে ভেতরে ভেতরে গড়ে উঠে দুজনের মধ্যে পরকীয়া বা অবৈধ সম্পর্ক ৷ আর সেই অবৈধ সম্পর্ক এতটা গভীরতায় পৌছেছে যে,গত ১৭ আগষ্ট রোজ বুধবার রাতে দুজন শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চট্টগ্রামে আশ্রয় নেয় ৷ রাতভর অবৈধ মেলামেশার পর তারা ১৮ আগষ্ট পুনরায় বেলছড়িতে ফিরে আসে ৷
পরে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে এই অনৈতিক কর্মকান্ডকে বিচারের মাধ্যমে সমাধান দেয়ার নির্মিত্তে মাটিরাঙ্গার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মো. শামছুল হক সহ সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা শালিশী বৈঠকে বসেন ২১ আগষ্ট সন্ধ্যায় বেলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদে ৷ বৈঠকে কোন প্রকার লিখিত কোন দলিল সম্পাদন ছাড়াই মৌখিক রায়ে মেয়র, ছোট্ট শিশু মো. তছলিম আহমেদ তামিম (১৮মাস) এর লালন পালনের জন্য ২ লাখ টাকা ও অবৈধ সম্পর্ক প্রমাণিত হওয়ায় সেবিকা আক্তার মুন্নিকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা রাজিব মেম্বারকে পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত ঘোষনা দেয় ৷ পরে সিদ্ধান্তকে পুনরায় বিবেচনা করে সেবিকা আক্তার মুন্নিকে বিয়ের করার সিদ্ধান্ত প্রদান করেন শালিশী বৈঠকের বিচারকগন ৷
এদিকে বিভিন্ন এলাকাবাসী তাদের প্রতিক্রিয়ায় বিচারের সিদ্ধান্ত কতটা বাস্তবায়ন হবে তার প্রতি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন,যতশীঘ্র সম্ভব ঘোষিত রায় বাস্তবায়ন হওয়ার প্রয়োজন ৷ অন্যথায় সমাজের নীতি নির্ধারকদের প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস সম্পুর্ন হারাবে৷ এ সময় সদ্য নির্বাচিত ২নং ওয়ার্ড মেম্বার রাজিবের এই ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতি ছি:ছি:,ঘৃনা প্রকাশের পাশাপাশী সাধারণ নারীরা তার জনপ্রতিনিধিত্বের কাছে নিরাপদ নয় বলেও মন্তব্য করেন৷ বিভিন্ন মহিলারা জানান, সমাজের শানত্মি শৃঙ্খলার কথা না ভেবে,১৮ মাসের ফুটফুটে শিশু সন্তান রেখে যে মহিলা এমন নিকৃষ্টতম অনৈতিক কাজ করতে পারে তাকে অত্র এলাকা থেকে বিতাড়িত না করার বিকল্প নাই৷
গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে রাজিবকে বিয়ে করে ঘর বাঁধতে সকলের প্রতি সহায়তা চেয়েছেন গৃহবধূ সেবিকা আক্তার মুন্নি ৷ আর মেয়রের ঘোষিত রায়ের পক্ষে গণমাধ্যম কর্মীদের মোবাইল ফোনে একমত পোষণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাজিব মেম্বার ৷ এ সময় তিনি নিজেকে আড়াল রেখে বার বার মেয়র মো. শামছুল হক, বিষয়টি সমাধানের সবকিছু জানেন বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন ৷
এ বিষয়ে ঘটনার সত্যতা শিকার করেছেন মেয়র সহ স্থানীয় অণ্যান্যরা ৷