মঙ্গলবার ● ২৩ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » গাজীপুরে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে দুজনের মৃত্যুদন্ড
গাজীপুরে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে দুজনের মৃত্যুদন্ড
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (৮ ভাদ্র ১৪২৩ বাংলা:বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.৪৫মিঃ) গাজীপুরের শ্রীপুরে গার্মেন্টকর্মী রুপালিকে গণধর্ষণের পর হত্যার দায়ে দুই আসামির মৃত্যুদন্ড এবং অপর দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত৷
২৩ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কে এম এনামুল হক জনাকীর্ন অঅদালতে এ দন্ডাদেশ দেন৷ একই সঙ্গে আসামিদের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো এক মাস করে সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে৷
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- শ্রীপুরের বরমীর কাদিরাপাড়া এলাকার আব্দুল হেকিমের ছেলে মোঃ কালাম (৩০) ও হাসেন আলীর ছেলে ইকবাল হোসেন (২২)৷ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হলো- একই এলাকার মফিজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ মোখলেছ (১৯) ও ছফুর উদ্দিনের ছেলে মোঃ লতিফ (২৫)৷
আদালতের পিপি এডভোকেট হারিছ উদ্দিন আহমেদ জানান, রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলার মারিয়া গ্রামের মকবুল হোসেনের মেয়ে রম্নপালি খাতুন (১৮) গাজীপুরের চৌরাসত্মা এলাকায় থেকে স্থানীয় গার্মেন্টে চাকরি করতেন৷ ইকবাল হোসেন তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কালামকে দিয়ে ২০১৪ সালের ১৫ আগস্ট সেখান থেকে শ্রীপুরে নিয়ে যায়৷ পরে ইকবাল রম্নপালিকে নিয়ে শ্রীপুর উপজেলার গিলাশ্বর গ্রামের দিকে যেতে থাকে৷ এ সময় মোখলেছ ও লতিফ তাদের পিছু নেয়৷ এ সময় রুপালি পালানোর চেষ্টা করলে তাকে গিলাশ্বর গ্রামের একটি জঙ্গলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং রম্নপালির বাবার কাছে মোবাইল ফোনে ২০ হাজার টাকা দাবি করে৷ এক পর্যায়ে আসামিরা রম্নপালিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ওই এলাকার মান্নানের প্রজেক্টের বাউন্ডারি ওয়ালের পিলারের সঙ্গে ওড়না দিয়ে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখে৷
পর দিন ১৬ আগস্ট সেখান থেকে অজ্ঞাত হিসেবে রুপালির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ এবং শ্রীপুর থানার এসআই মালেক বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন৷
পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই এমএ মজিদ বকুল তদন্ত শেষে ওই চারজনের বিরম্নদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন৷ সাক্ষ্যগ্রহণ ও বিচার প্রক্রিয়া শেষে আদালত দুই আসামিকে (ইকবাল ও কালাম) মৃত্যুদন্ড এবং অপর দুই আসামিকে (মোখলেছ ও লতিফ) যাবজ্জীবন কারদন্ড প্রদান করেন৷ এছাড়া প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক মাস করে সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন বিচারক৷
রায় ঘোষণার সময় আসামি ইকবাল ছাড়া অন্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন৷
রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি মোঃ হারিছ উদ্দিন আহমেদ৷ আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবি মোঃ আবুল হাসেম৷