সোমবার ● ১৯ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » এক্সক্লুসিভ » রাঙামাটি’র সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন জেলা পুলিশ সুপার (ভিডিও সহ)
রাঙামাটি’র সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন জেলা পুলিশ সুপার (ভিডিও সহ)
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (১৩ অক্টোবর ২০১৫ : বাংলাদেশ : সময় : বিকাল ৪.৪২ মিঃ প্রকাশের পর)
১৯ অক্টোবর সোমবার রাঙামাটি পার্বত্য জেলার সার্বিক আইন শৃংখলা বিষয়ে সিএইচ মিডিয়া টুযেন্টিফোর ডটকম এর সাথে কথা বলেন জেলা পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান।
রাঙামাটির ৪০টি পুজা মন্ডপের শারদীয় দুর্গোত্সব ২০১৫ পরিচালনা কমিটির সাথে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে গত ১৩ অক্টোবর সোমবার বিকেলে পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয় ৷
সভায় সভাপতিত্ব করেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা ৷ এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, অমিত চাকমা রাজু, জেবুন্নেসা রহিম, ত্রিদীপ কান্তি দাশ ৷
গত ১৭ অক্টোবর রাঙামাটি সরকারি কলেজে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষকারীরা রাঙামাটি কলেজ সংলগ্ন এলাকায় চারটি দোকানে অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর ও কে বা কাহারা লুটপাট চালায় এবং দুইটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনী,বিজিবি ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। প্রতিবাদে রোববার কলেজ গেইট এলাকায় ধর্মঘট পালন করে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ঘটনার দিন বিকালে কলেজ কর্তৃপক্ষ জরুরী বৈঠকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা সহ রাজনৈতিক কর্মকান্ড স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়।
গত ১৩ অক্টোবর রাজস্থলীর ইসলামপুর আদর্শ নতুন পাড়া এলাকা থেকে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির শীর্ষ নেতা ডাঃ রেনিন সুয়েকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশের যৌথ বাহিনী।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ইসলামপুরের একটি নির্মাণাধীন মসজিদে বিজিবির মেজর শাব্বির আহমেদ ও মেজর কামাল পাশার নেতৃত্বে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য, গত ২৬ আগস্ট বুধবার রাতে নেদারল্যান্ডসপ্রবাসী আরাকান আর্মির নেতা ডাঃ রেনিন সুয়ের রাজস্থলীর বিলাসবহুল বাসায় সেনা-পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ির মালিক রেনিন সুয়েকে আটক করা না গেলেও তার সহযোগী অংনু উয়াং রাখাইনকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে তিনটি আরাকান আর্মির পোশাক, আরাকান আর্মির পোশাক তৈরির ৩০ গজ কাপড়, তিনটি ল্যাপটপ ও তিনটি ক্যামেরা পাওয়া যায় । এ সময় দুটি ঘোড়াও আটক করা হয়।
গত ৩ অক্টোবর রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বিলাইছড়ির নবগঠিত ইউনিয়ন বড়তলীর সেপুপাড়া থেকে দুই পর্যটকসহ ৩ জনকে অপহরণ করে একদল অস্ত্রধারী ।
অপহৃত দুই পর্যটক হলেন, আব্দুল্লাহ জুবায়ের ও জাকির হোসেন মুন্না। বান্দরবানের স্থানীয় গাইড এর নাম মাংকা ম্রো।ঢাকা থেকে দুই পর্যটক বান্দরবানের রুমা বেড়াতে এসেছিলেন। দুই পর্যটক বান্দরবানের স্থানীয় একজন গাইড নিয়ে ৩ জনই রুমা থেকে পার্শ্ববর্তী বিলাইছড়ির বড়তলী আসার পথে সেপুপাড়া থেকে একদল অস্ত্রধারী তাদের ধরে নিয়ে যায়।
অনুসন্ধান,স্থানীয় গোয়েন্দা রিপোর্ট ও বিভিন্ন গনমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী দেখা যায় পার্বত্য চুক্তি পক্ষের অস্ত্রধারী গ্রুপের (শান্তি বাহিনী) প্রধান ঘাঁটি হচ্ছে বাংলাদেশের রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বরকল উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা ভারতের মিজোরামের চায়হা,আইজল,চারচিপ ও গভির অরণ্য দুর্গম এলাকা বাংলাদেশ,ভারত ও মায়ানমার ত্রিদেশীয় সীমান্ত ফার্বো নামক স্থানে ৷
গত ১৮ অক্টোবর বিশেষ আইন- শৃঙ্খলা সভায় রাঙামাটি প্রশাসকের পূর্বানুমোদন ছাড়া রাঙামাটি শহরের সকল প্রকার রাজনৈতিক মিছিল-মিটিং, সভা, সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোঃ সামসুল আরেফিন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক নির্দেশনায় কোন দেশ-বিদেশী সংস্থা কিংবা রাজনীতিক দল রাঙামাটি শহর এলাকায় কোন কর্মসূচী পালন করার আগে জেলা প্রশাসনের অনুমতির কথা বলা হয়েছে। যারা এ আইন অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনানুগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাছাড়া গত ১৭ অক্টোবর শনিবারের ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাসে বা শহরে সড়কে ও বিদ্যালয়ে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া যে কোন রাজনৈতিক দল কোন কর্মসূচী পালন করতে পারবেনা বলে রবিবার বেলা ১২টায় ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক মোঃ সামসুল আরেফিন।
অপলোড : ১৯ অক্টোবর ২০১৫ : বাংলাদেশ : সময় : বিকাল ৫.০০মিঃ