শুক্রবার ● ২৬ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » লংগদু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক স্বল্পতা : ৫ জন শিক্ষক পড়াচ্ছেন ৬০০ শিক্ষার্থীকে
লংগদু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক স্বল্পতা : ৫ জন শিক্ষক পড়াচ্ছেন ৬০০ শিক্ষার্থীকে
লংগদু প্রতিনিধি :: (১১ ভাদ্র ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় সকাল ১১.৩৪মিঃ) রাঙামাটির লংগদু উপজেলার চাইল্যাতলী সরকারীপ্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ সল্পতায় শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে মাটিতে বসে পড়ালেখা করাতে বাধ্য হয়েছেন শিক্ষকেরা। মঙ্গলবার সকালে এ বিদ্যালয়ের মাঠে শিক্ষার্থীদের ক্লাশ নিতে গিয়ে জানা গেছে, এলাকার ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার স্বার্থে ১৯৮০ সালে চাইল্যাতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়’টি প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে কার্যক্রম শুরু হয়। তার পর থেকে সফলতার সাথে শিক্ষা কার্যক্রম চলার পথে ২০১৪ সালে প্রথম বারের মত বিদ্যালয়টিতে ষষ্ঠ শ্রেণীর ক্লাস চালু করা হয়। তারপর পর্যায়ক্রমে ২০১৫ সালে সপ্তম ও ২০১৬ সালে অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়। প্রথম থেকে ৫টি কক্ষ বিশিষ্ট টিনের ঘর দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা শুরু করলেও বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে দু’টি ভবন রয়েছে যার কক্ষ সংখ্যাও ৫ টি। ভবন দু’টির ৫টি কক্ষের মধ্যে ১টি অফিস কক্ষ, ও ৪টি শ্রেণি কক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু এ ভবনে শিক্ষার্থীদের স্থান সঙ্কুলান হয় না। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৬ শতাধিক ও শিক্ষক সংখ্যা মাত্র ৫ জন । ৫ জন শিক্ষক দিয়ে ৬ শতাদিক শিক্ষার্থীর ক্লাস নেওয়া মোটেই সম্ভব হচ্ছে না।
এই প্রতিকূলতার মাঝেই খোলা আকাশের নিচে ক্লাস নিতে হয় শিক্ষকদের। প্রতি বছর শিক্ষার্থী বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ ক্রমেই বাড়ছে। বাড়ছে না প্রয়োজনীয় শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষকের সংখ্যা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফয়েজুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রতি মাসেই নানান কর্মসূচি পালন করা হয় এ প্রতিষ্ঠানে।
বিগত ২০১৩ সাল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত লংগদু উপজেলার সেরা প্রাথমিক স্কুল নির্বাচিত হয়েছে আমাদের বিদ্যালয়টি। প্রতি বছরের মত এবারও চতুর্থ শ্রেণী ও পঞ্চম শ্রেণী টেলেন্টপুল বৃত্তি সহ বিভিন্ন পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে প্রয়োজনীয় শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষক না থাকায় শিক্ষা কার্যক্রমের মান ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না ।
প্রধান শিক্ষক বলেন, এ ব্যাপারে সরকারের কাছে অনুরোধ করবো শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ এর কথা বিবেচনা করে দ্রুত ভবন নির্মাণ ও শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন।