শনিবার ● ২৭ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » মাদ্রাসা শিক্ষক ইকবাল আনোয়ার বরখাস্ত হয়েও সুপার দায়িত্বে
মাদ্রাসা শিক্ষক ইকবাল আনোয়ার বরখাস্ত হয়েও সুপার দায়িত্বে
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (১২ ভাদ্র ১৪২৩ বাংলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.০৫মিঃ) ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার খামার মুন্দিয়া গামেজ আলী দাখিল মাদ্রাসার সহ সুপার মোঃ ইকবাল আনোয়ারকে অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য অনির্দিষ্ট কালের জন্য বরখাস্ত করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ৷
জানা যায় এই সহ সুপার মোঃ ইকবাল আনোয়ার ওরফে ওল্লাদ গত ২৬ মে ২০১৬ তারিখে মাদ্রাসা চলাকালীন সময়ে আরও দুই জন ছাত্রীর উপস্থিতে একজন ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায় ৷ অন্য দুই ছাত্রীর চিত্কারে কয়েকজন ছাত্রছাত্রী উপস্থিত হলে সে ঐ ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করতে ব্যর্থ হয়৷
এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে৷ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী তাকে ৯ জুন২০১৬ তারিখের মাদ্রসা পরিচালনা কমিটির সভায় সর্বসম্মিতি ক্রমে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বরখাস্ত করা হয়৷
জানা গেছে, এই সহ সুপার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের খড়াশুনী গ্রামের ইসমাইলের ছেলে মোঃ ইকবাল আনোয়ার গ্রামের সাবাই তাকে ওল্লাদ নামে চেনে ৷ এই ওল্লাদ এর আগে প্রায় ৭/৮ বছর গ্রামের মসজিদে ইমামতি করার সময় অন্য এক মহিলার সঙ্গে অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ার কারনে গ্রামের মসজিদ থেকে গ্রামবাসী তাকে তাড়িয়ে দেয় বলে জানিয়েছে গ্রামবাসী৷
অপর একটি সুত্রে জানা গেছে যে এই ইকবাল আনোয়ার ওল্লাদ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা শামছুল আলম খান দাখিল মাদ্রাসার সুপার হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন৷এখন প্রশ্ন উঠেছে এক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে অপর আরেক প্রতিষ্ঠানে কি ভাবে সুপারের দায়িত্ব পালন করে৷
এছাড়া আরো জানা গেছে, নলডাঙ্গা শামছুল আলম খান দাখিল মাদ্রাসার তার সহকারী শিক্ষকদের সাথে প্রায় অসদাচারন করে থাকে৷ নলডাঙ্গা শামছুল আলম খান দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসাবে চাকুরী দেবে বলে কয়েক জনের নিকট থেকে প্রায় ৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়াছে যাহা মদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অজানা৷
তাদেরে একেকজন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের আড়মুখী গ্রামের মোবাসের ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা, সুরাট ইউনিয়ের চুটলিয়া গ্রামের আলাউদ্দিন ৮০ হাজার টাকা, কালীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়ের ভাটপাড়া গ্রামের রেজাউল ইসলামের নিকট থেকে ৮০ হাজার টাকা, কালীগঞ্জ পৌরসভার কাসিমপুর গ্রামের সরোয়ারের নিকট থেকে ৭০ হাজার টাকা কালীগঞ্জের বৈশাখী তেল পাম্পের নিকটের মঞ্জুর নিকট থেকে ৮০ হাজার টাকা সহ সর্বমোট ৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা৷ শুধু তাই নয় খড়াশুনি গ্রামের আরজ কে দাখিল ও রবিউকে ফাজেল পাশের সদন পত্র দেওয়ার জন্য ২ জনের নিকট থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়েছে এই আনোয়ার ইকবাল৷
বিশেষ সুত্রে জানা গেছে, খামার মুন্দিয়া গামেজ আলী দাখিল মাদ্রাসা থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর কালীগঞ্জ উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের বিভিন্ন ভাবে ম্যানেজ করে স্বপদে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রভাবশালী মহলের ধরাধরি করছে৷
তার এই ব্যাপারে মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি দাম্ভিকের সাথে বলেন, ঘটনা নিয়ে খবর প্রকাশ করে আপনাদের কোন লাভ হবে না৷ আমাকে কিছু করা যাবে না৷
এই প্রসঙ্গে কালীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার আরিফ সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টা এড়িয়ে গিয়ে বলেন ঐ টা আমার কাজ নয়৷ ঐ কাজ মাদ্রাসা ম্যানিজিং কমিটির৷
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার বলেন, সে ২ টা প্রতিষ্ঠানে থাকতে পারবে না৷ তাকে একটা প্রতিষ্ঠানে থাকতে হবে৷ সে যদি কোন অনৈতিক কাজ করে তা প্রমানিত হলে কোন প্রতিষ্ঠানের তার চাকুরী থাকবে না৷