সোমবার ● ১৯ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » সফল সামাজিক আন্দোলনের নাম নিরাপদ সড়ক চাই
সফল সামাজিক আন্দোলনের নাম নিরাপদ সড়ক চাই
দেশব্যাপী ক্রমবর্ধমান সড়ক দুর্ঘটনা নিরসনে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির প্রয়োজনে এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে ১৯৯৩ সালে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে গঠিত হয় ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ (নিসচা) শীর্ষক একটি সংগঠনের৷ সড়ক দুর্ঘটনামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে গঠিত নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) তার কার্যক্রমের মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশের সর্বস্তরের মানুষের সমর্থণে ধন্য হয়ে ওঠে৷ নিরাপদ সড়ক চাই প্রতিষ্ঠার এই ২২ বছরের মধ্যে জনকল্যাণমুখী সংগঠন হিসাবে তার ব্যাপক কর্মতত্পরতায় দেশের সীমানা ছাড়িয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও পেয়ে গেছে যথেষ্ট পরিচিতি৷ নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এখন একটি সফল সামাজিক আন্দোলনের নাম৷
১৯৯৩ সালের ২২ অক্টোবর মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মর্মান্তিকভাবে নিহত হন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের স্ত্রী জাহানারা কাঞ্চন৷ উল্লেখ করা যেতে পারে এরও আগে ১৯৮৮ সালে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন স্বয়ং মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন৷ নিজের জীবনের মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা এবং স্ত্রী বিয়োগের বেদনার বাস্তবতা, তারকা নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে উদ্বুদ্ধ করে, সড়ক দুর্ঘটনায় স্বজন হারানো এবং ক্ষতিগ্রস্ত পঙ্গু মানুষের পাশে দাঁড়াতে৷ ক্রমবর্ধমান সড়ক দুর্ঘটনা নিরসনে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে ১৯৯৩ সালের ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ শীর্ষক এক পদযাত্রায় সামিল হন তিনি৷ সে দিনের সেই পদযাত্রা এবং নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনকে সাংগঠনিক পর্যায়ে রূপদানের পরামর্শ এবং অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন যায় যায় দিন এর তত্কালীন সম্পাদক, বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিকুর রেহমান৷ ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ শীর্ষক প্রথম পদযাত্রায় বিভিন্ন সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণই তাকে এই আন্দোলনে ব্যাপক উত্সাহ যোগায়৷
প্রথম পথযাত্রা শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখে বিশাল জনসমাবেশে ইলিয়াস কাঞ্চন চালক- মালিক-যাত্রী তথা জনসাধারণের এবং সরকার এর উদ্দেশ্যে ২২ দফা সুনির্দিষ্ট দাবি উত্থাপন করেন৷ সড়কের মড়ক থেকে জাতিকে উদ্ধারের জন্য চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন ঢাকায় ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ শীর্ষক পদযাত্রা করেই ক্ষান্ত হলেন না; তিনি তার দাবি নিয়ে ছুটে বেড়াতে থাকলেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে৷ আয়োজন করতে থাকলেন পথযাত্রার৷ তুলে ধরতে থাকলেন তার দাবিসমূহ৷ নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন তার নিরাপদ সড়ক চাই দাবিকে সংগঠনে রূপান্তরিত করলেন৷ নাম রাখলেন ‘নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’৷
১৯৯৩ সালের ১ ডিসেম্বর এফডিসি থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত পদযাত্রার মধ্যদিয়ে যে আন্দোলনের যাত্রা শুরু সাংগঠনিক রূপ পাবার আগেই সেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে৷ শুধু ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ পদযাত্রাই নয়, পদযাত্রার শুরুতে অথবা শেষে সমাবেশে ২২ দফা প্রস্তাব উত্থাপন, সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে নিরাপদ সড়কের দাবিতে জনসচেতনতা সৃষ্টির প্রচেষ্টা সবকিছু মিলিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন এবং তার নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন তথা নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) সংগঠন সামাজিক সংগঠন হিসাবে পেতে থাকে দৃঢ়ভিত্তি৷ সড়ক দুর্ঘটনামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টির এসব কার্যক্রমের পাশাপাশি আন্দোলনের প্রথম দিকেই তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার শেখ রাজ্জাক আলী, যোগাযোগমন্ত্রী কর্নেল (অবঃ) অলি আহমেদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মতিন চৌধুরী, সবার কাছে স্মারকপত্র প্রদান করা হয়৷ এছাড়া প্রতিবছর নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে, মরহুমা জাহানারা কাঞ্চনের মৃতু্যবার্ষিকীতে এবং বিভিন্ন সমযে সেমিনার, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালনের মধ্যদিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস, জনমত সৃষ্টি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে যাচ্ছে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)৷
সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধের দাবিতে সোচ্চার নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর পক্ষ থেকে প্রতিবছর ২২ অক্টোবরকে নিরাপদ সড়ক দিবস হিসাবে পালনের দাবি উত্থাপন করা হয় এবং প্রতি বছর সংগঠনের তরফ থেকে এই দিনটিকে নিরাপদ সড়ক দিবস হিসাবে পালন করা হতে থাকে৷ ২০০৩ সালে তত্কালীন সরকার জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চনকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন৷ সেই সাথে প্রতিবছর সরকারি উদ্যোগে ২২ অক্টোবর জাতীয় পর্যায়ে নিরাপদ সড়ক দিবস পালনেরও ঘোষণা দেয়া হয়৷ সে থেকে প্রতিবছর ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে ৷
জাতীয় পর্যায়ে নিরাপদ সড়ক দিবস পালনের দাবি উত্থাপনের পাশাপাশি নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) -এর পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিবছর ২২ অক্টোবর নিরাপদ সড়ক দিবস পালনের উদ্যোগ নেবার জন্য জাতিসংঘের কাছে প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়৷ এই বিষয়ে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিকভাবে নিরাপদ সড়ক দিবস পালনে নিমিত্তে ২০০৪ সালের ৭ এপ্রিল এক সভার আয়োজন করে এবং সেই সভাতে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) -এর প্রতিনিধিকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানান৷ উল্লেখ্য জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০০৬ সালে ২২ এপ্রিল হতে ২৯ এপ্রিল নিরাপদ সড়ক সপ্তাহ পালিত হয়৷ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর এসব সাফল্য সড়ক সন্ত্রাস থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর উদ্যোগ এবং কর্মত্পরতাকে আরো উত্সাহ যোগায়৷
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরাপদ সড়ক সপ্তাহ পালনে জাতিসংঘের উদ্যোগকে আমরা অভিনন্দিত করি৷ সেই সাথে আমরা আরো বলতে চাই ২২ অক্টোবরকে আন্তর্জাতিকভাবে নিরাপদ সড়ক দিবস হিসাবে পালনের ঘোষণা হলে নিসচার আন্দোলন সার্থক হবে বলে বিজ্ঞমহল মনে করেন৷ নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর পক্ষ থেকে পদযাত্রা, সাংবাদিক সম্মেলন, সেমিনার, আলোচনা সভা, জনসভার মতো কর্মসূচির পাশাপাশি দাবি বাস্তবায়নে স্মারকপত্র পেশ করা হয়েছে যেমনি, তেমনি আবার সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত চিকিত্সা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক -এর প্রয়োজনীয় অবস্থানে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠারও পরিকল্পনা রয়েছে৷ এমনকি সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ আদায়ের আইনী সহায়তা প্রদান, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের আইনের হাতে সোপর্দ করা ইত্যাদি বিষয়ে সাংগঠনিকভাবে তত্পরতা চালানোর ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা), এর পক্ষ থেকে সড়ক দুর্ঘটনার মর্মান্তিক পরিণতি তুলে ধরে সড়ক দুর্ঘটনা বিষয়ে প্রমাণ্য এবং প্রচার চিত্র নির্মাণের মাধ্যমে চালক এবং জনগণকে আরো বেশি সচেতন ও সতর্ক করে তোলার ব্যাপারে নিসচা কাজ করছে৷
১৯৯৩ সাল থেকে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের শুরু, ২২ বছরে ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনায় কয়েক কোটি টাকা ব্যয় হলেও এর সামান্যতম অংশই বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত অনুদান থেকে এসেছে৷ বৃহদংশ অর্থ ব্যয় হয়েছে আন্দোলনের জন্মদাতা নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চনের ব্যক্তিগত অনুদান থেকে৷ বর্তমান পর্যায়ে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর কার্যক্রম যেমন সাফল্যের মুখ দেখছে, তেমনি সড়ক দুর্ঘটনামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর কার্যক্রম আরো প্রসারিত ও গতিশীল করে তোলার বিষয়টিও হয়ে উঠছে জরুরী৷ সঙ্গত কারণেই আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতার বিষয়টিও হয়ে উঠছে অতীব গুরুত্বপূর্ণ৷ নিসচা সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তরের ও জয়েক্ট স্টক কোম্পানীর অনুমোদন পেয়েছে এবং সংগঠনটি এনজিও বু্যরোর অনত্মভর্ূক্তি প্রক্রিয়াধীন রযেছে৷ ১৯৯৩ সাল জন্ম হয়েছিল নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে৷ চলছে ২০১৫ সাল৷ বিগত ২২ বছরের অভিযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনারোধে যখন যে ধরনের কর্মসূচি প্রয়োজন নিসচা সেই সব কর্মসূচি গ্রহণ করেছে৷ নিসচা ২০১০ সালে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ২৩ জেলা/উপজেলায় প্রায় ৫,০০০ পেশাজীবী চালককে দক্ষতা ও সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় এবং ঐ সকল স্থানে সচেতনতামূলক বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়৷ বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ও দক্ষ চালক তৈরীর নিমিত্তে নিসচা ২০১০ সাল থেকে বিনামূল্যে ড্রাইভিং-মেকানিক্যাল প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্স প্রদান করে আসছে৷ এ লক্ষ্যে স্থাপিত ‘নিসচা ড্রাইভিং-মেকানিক্যাল প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউট’ থেকে এ পর্যন্ত ২৬৭ জন ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সুনামের সাথে কর্মরত রয়েছেন৷ ২০১২ আমেরিকান সেন্টারের অর্থায়নে নিসচা গাজীপুর, সিলেট, চট্টগ্রাম, খুলনা ও পাবনায় পেশাজীবী চালকদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ ও গণসচেতনতামূলক র্যালি,সেমিনার প্রভৃতি কর্মসূচি পালন করেছে৷ গত ২০১৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর থেকে সপ্তাহব্যাপি ফুটওভার ব্রীজ ব্যবহারে মানুষকে উদ্ধুদ্ধ ও সচেতন করার লৰ্যে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডঐঙ) ও নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর যৌথ উদ্যোগে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়৷ ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহযোগিতায় দেশের ২১ জেলায় প্রায় ৫,০০০ পেশাজীবী চালককে দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় এবং ঐ সকল স্থানে সচেনতামূলক বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়৷ নিসচার উদ্যোগে এই পর্যন্ত প্রায় ১০,০০০ পেশাজীবী চালককে দক্ষতা ও সচেনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে৷ জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ১৫ উপলক্ষে র্যালি, আলোচনা, মিলাদ মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে৷ ২২ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১টায় নিসচা কার্যালয় সামনে থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হবে৷ র্যালির উদ্বোধন করবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বারাষ্ট মন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামাল এমপি, র্যালিতে নেতৃত্ব দেবেন নিসচা চেয়ারম্যান চিত্র নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন৷ সকলের সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে সড়কের সন্ত্রাস থেকে মুক্ত হোক আমাদের বাংলাদেশ৷ মুক্ত হোক সারা পৃথিবী৷ সড়ক দুর্ঘটনামুক্ত বাংলাদেশ চাই৷ চাই সড়ক দুর্ঘটনামুক্ত পৃথিবী৷
লেখক পরিচিতি: লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল, (শিক্ষক, কলামলেখক, সমাজসেবক ও সংগঠক) যুগ্ম- মহাসচিব, কেন্দ্রীয় কমিটি, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) ৭০ কাকরাইল, ঢাকা৷ ফোন : ০১৫৫২৬৩১১১৮,ইমেইল : [email protected] আপলোড :১৯ অক্টোবর ২০১৫ : বাংলাদেশ : সময় : বিকাল ৬.১৫ মিঃ