শিরোনাম:
●   জেলার জনসভায় অংশগ্রহণ না করে মশাল মিছিল ●   উচ্চ রক্তচাপ মোকাবেলায় বাজেট বৃদ্ধি জরুরি ●   মিরসরাইয়ে টি-১০ লং পিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন ব্রাদার্স এলিভেন ●   কারও উপর দায় চাপিয়ে সরকারের পার পাওয়ার সুযোগ নেই : সাইফুল হক ●   গাজীপুরে চট্টগ্রাম সমিতির ‘মেজবান ও চট্টলা উৎসব’ ●   জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে দেয়া হবেনো : জয়নুল আবেদীন ●   বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদেরকে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে : মেয়র শাহাদাত হোসেন ●   ফটিকছড়িতে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু ●   রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ডেকোরেশন ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ ●   একুশের প্রথম প্রহরে রাঙ্গুনিয়া প্রেসক্লাবের শ্রদ্ধা নিবেদন ●   মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত সাংবাদিক মকছুদ আহমেদ ●   সাংবাদিক মকছুদ আহমেদের মৃত্যুতে বিভিন্ন মহলের শোক ●   কুষ্টিয়ায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত ●   কুষ্টিয়ার চরমপন্থী নেতা আতিয়ার খাঁকে হত্যা করল তৃতীয় পক্ষ ফাঁসল ২য় পক্ষ -পর্ব ১ ●   হাটহাজারী উপজেলায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত ●   রাউজানে ভাষা শহীদের প্রতি ছাত্রদলের শ্রদ্ধা নিবেদন ●   নবীগঞ্জ আইডিয়াল উইমেন্স কলেজে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আলোচনা সভা ●   দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাষা শহীদদের প্রতি পিসিসিপি’র শ্রদ্ধাঞ্জলি ●   ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ●   বাঙ্গালহালিয়া পাহাড়িকা পাবলিক স্কুলে একুশে ফেব্রুয়ারি পালন ●   রাবিপ্রবিতে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫ পালিত ●   মিরসরাইয়ে দুই স্থানে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু ●   রাঙামাটিতে একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষ্যে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শ্রদ্ধাঞ্জলী ●   পাহাড়ের বর্ষীয়ান সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমেদ আর নেই ●   রাঙামাটিতে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা প্রকাশ চাকমা আটক ●   পানছড়িতে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ ●   ওস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়ার একুশে পদক লাভ ●   তহিরুন নেছা চৌধুরী একাডেমি’র উদ্যোগে গুণীজন সম্মাননা ●   রাউজানে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যুবককে কুপিয়ে হত্যা ●   ঝালকাঠিতে নিখোঁজ ২২ দিন পর অটোচালকের লাশ উদ্ধার
রাঙামাটি, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
সোমবার ● ১৯ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » ফিচার » সার্বজনীন মিলন উত্‍সব শারদীয় দূর্গাপূজা
প্রথম পাতা » ফিচার » সার্বজনীন মিলন উত্‍সব শারদীয় দূর্গাপূজা
সোমবার ● ১৯ অক্টোবর ২০১৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সার্বজনীন মিলন উত্‍সব শারদীয় দূর্গাপূজা

---



শারদীয় দূর্গোত্‍সব বাঙ্গালী হিন্দু সমপ্রদায়ের সর্ববৃহত্‍ গুরুত্বপূর্ন ও ধর্মীয় সামাজিক উত্‍সব৷ প্রতিবছর শরতকাল এলেই বাঙ্গালীঁজাতি মেতে উঠেন দূর্গাপূজা এই উত্‍সবের আমেজে ৷ ধর্মীয় এক হৃদয় নিংড়ানো মিলন মেলায় পরিনত হয় এই উত্‍সব৷ আর এই উত্‍সবের উত্‍সে অধিষ্টিত হিন্দু পুরানের অন্যতম দেবী হলেন দূর্গা৷ পৌরনিক কাহিনী অনুসারে দেবী দূর্গাই হলেন শিবের স্ত্রী পার্বর্তী ৷ লক্ষী,সরস্বতী,গনেশ ও কার্তিকের জননী তিনিই৷ কিন্তু কেন শিবজায়া
পার্বর্তীর নাম দেবী দূর্গা হল৷ স্কন্দপুরান বর্ননা অনুসারে রুরু দৈত্যর পুত্র দূর্গকে বধ করিেছলেন বলেই পার্বতীর নাম হয়েছে দেবীদূর্গা৷ তবে বাঙ্গালীর দূর্গোত্‍সবে দিবী কিন্তু স্কন্দপুরানের বর্ননামতে দূর্গাসুর বধকারী রুপে তিনি পূজিত নন৷ এখানে তিনি পূজিত হন মহিষাসুর মর্দিনী রুপে৷ দেবী দূর্গার এই আবির্ভাবের পরিচয় পাওয়া যায় মার্কন্ডেয় পুরানে৷ ভাগবত পুরান অনুসারে ব্রম্মার মানস পুত্র মনু পৃথিবীর শাসনভার পেয়ে ক্ষীরোদ সাগরের তীরে মৃম্ময়ী মুর্তি নির্মান করে দেবী দূর্গার আরাধনা করেন৷ মার্কন্ডেয় পুরান মতানুসারে এই দুগোত্‍সবের আয়োজন করেন রাজা সুরথ৷ আর রাজা সুরথ এই দূর্গাপূজা করেছিলেন বসন্তকালে৷ সেই পূজা অনুসরন করে পৃথিবীর কোন কোন স্থানে দুগোত্‍সবের আয়োজন করা হলেও ভারতীয় উপমহাদেশে দূর্গাপূজা জনপ্রিয় সময়টা হল শরতকাল৷ শুরুতে শরতকালে দুগোত্‍সব করেন শ্রী রাম চন্দ্র৷ কৃর্তিবাস রামায়ন অনুসারে রামচন্দ্রের সঙ্গে যুদ্ধে ক্লান্ত ও পরিশ্রান্ত হয়ে লংকাধিপতি রাবন আকুল সুরে দেবীর স্তব শুরু করলেন৷ রাবনের কাতর স্তবে দেবীর হৃদয়ে করুনার উদ্রেক হল৷ রাবনকে অভয় দিলেন তিনি৷ সম্পূর্নরুপে অনাকাংখিত এই খবরে খুুব আশংকিত হলেন রাামচন্দ্র৷ দেবতার এ খবরে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়লেন৷ দেবরাজ ইন্দ্র ব্রম্মার কাছে গেলেন৷ এই সংকটাপন্ন অবস্থা থেকে পরিত্রান পাবার জন্য ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানালেন ব্রম্মাকে৷ ব্রম্মা রামের কাছে গিয়ে দূর্গা পূজা করার জন্য আবহান জানালেন৷ দূর্গাপূজাই হল এই সংকট থেকে পরিত্রানের একমাত্র উপায়৷ কিন্তু বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশের দূর্গাপূজা সাধারনত আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ট দিন ষষ্টী থেকে দশম দিন অর্থাত্‍ বিজয়া দশমী দিন পর্যন্ত পাচঁদিন অনুষ্টিত হয়৷ এই পাচঁটি দিনের পূজা যথাক্রমে দূর্গষষ্টী, মহাসপ্তমী, মহাষষ্টী, মহানবমী ও বিজয়া দশমী নামে পরিচিত৷ দূর্গাপূজা এই পাচঁদিনসহ সমগ্রপক্ষটিকে দেবীপক্ষ সামে আখ্যায়িত করা হয়৷ আর দেবী পক্ষের সূচনা হয় পূর্ববর্তী অমাবশ্যার দিন থেকে৷ এই দিইট “মহালয়া” নামে পরিচিত৷ অন্যদিকে দেবীপক্ষের সমাপ্তি হয় পঞ্চদশ দিন অর্থাত্‍ পূর্ণিমায়৷ এই দিনটি কোজাগরী পূর্ণিমা নামে পরিচিত এবং বার্ষিক লক্ষীপূজার দিন হিসাবেও গন্য হয়৷ দূর্গাপূজা মূলত পাচঁ দিনের অনুষ্টান হলেও মহালয়া থেকেই প্রকৃত উত্‍সবের সূচনা হয় এবং কোজাগরী লক্ষীপূজায় হয় তার সমাপ্তি৷ বাংলাদেশে দূর্গোত্‍সবের বহুল প্রচলিত রুপ অর্থাত্‍ মহিষাসুর মর্দিনীর পূজার উল্লেখ পাওয়া যায় মার্কন্ডেয় পুরানে৷ মূল পুরানটি চতুর্থ শতাব্দিতে রচনা হলেও দূর্গাপূজা বিবরন সম্বলিত সপ্তশতীতে রয়েছে ৯ম-১২শ শতাব্দির মধ্যকার সময়ের নির্মিত একাধিক মহিষাসুর মর্দিনীর মুর্তিও৷ তবে সেই সব মুর্তিতে মহিষাসুর মর্দিনী কিন্তু পরিবার সমন্বিতা নন৷ উপমহাদেশে জমিদারী প্রথা বিলোপের পর শারদীয় দূর্গপূজায় জমিদারদের অংশ গ্রহন স্বাভাবিক ভাবেই অনেকটা কমে যায়৷ নব্য ধনীক শ্রেনীর উদ্ভবের পরিপ্রেক্ষিতে দূগোত্‍সব আয়োজক কমিটিতে যুক্ত হয় অনেক নতুন নতুন মূখ৷ তবে প্রতিটি দুর্গোত্‍সবই তখনকার সময় আয়োজিত হত সম্পূর্ন একক উদ্যোগে৷ আনুমানিক ১৭৯০ খ্রীষ্টাব্দে অবিভক্ত বাংলার পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার গুপ্তিপাড়ায় ঘটে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা৷
গুপ্তিপাড়ার একটি ধনী পরিবারের আকস্মিক অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের ফলে অনিশ্চয়তার সন্মূখীন হয় ঐ বাড়ীটির বাত্‍ষরিক দূর্গাপূজার আয়োজন৷ তখন গুপ্তিপাড়ায়ার ১২ জন বন্ধু মহলের যুবক এগিয়ে আসেন যৌথ উদ্যোগে দূর্গাপূজা পালন করার জন্য৷ এই ১২ জন ইয়ার বা বন্ধু সংঘবদ্ধভাবে গ্রহন করে পূজা পালনের সার্বিক দায়িত্ব৷ আর গুপ্তিপাড়ার এই পূজাটি মানুষের কাছে পরিচিত হয় “বারোইয়ারী” বা বারোয়ারী পূজা নামে৷ এই বারোয়ারী পূজার সুত্র ধরে একক উদ্যোগে সম্পাদিত দুর্গাপূজাই আজ পরিনত হল সার্বজনীন শারদীয় উত্‍সবে৷ ধনীর আঙ্গিনা থেকে দূর্গাপূজা নেমে এলো অনেকটা সাধারন মানুষের সাধ্যের মাঝে৷ গুপ্তিপাড়ার আদর্শ অনুসরন করে সম্মিলিত উদ্যোগে বারোয়ারী পূজা ছড়িয়ে পড়ল ভারতীয় উপমহাদেশসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে৷ রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রের এই নৈকট্য সাধারন মানুষকে সাহস জোগালো দুর্গাপূজা মতো সর্ববৃহত্‍ ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্টানে বিত্তশালীদের একচেটিয়ে অধিকারে ভাগ বসানোর৷ ব্যক্তি বা বারোয়ারীর সীমা ছাড়িয়ে দূর্গাপূজা আজ পরিনত হল সার্বজনীন শারদীয় উত্‍সবে৷ ভারতবর্ষে ব্রিট্রিশ বিরোধী আন্দোলন যখন জোরদার হয়ে উঠল তখন মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলনের পাশাপাশি সশস্ত্র বিপবের পথে স্বাধীনতা অর্জনের প্রচেষ্টাও চলল সমানে তালে ৷ ইংরেজদের নজর এড়াতে দুর্গোত্‍সবকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করতে লাগল বিপ্লবীরা৷ ধর্মীয় অনুষ্টানে ছদ্মাবরনে বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষকে সংঘবদ্ধ করার একমাত্র উপায় হল এই শারদীয় দূর্গাপুজা৷ কালের পরিক্রমায় ব্রিটিশ শাসনের অবসান হল৷ বিভাজিত হয়ে পড়ল অবিভক্ত বাংলা৷ পাকিস্থান অপশাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম শেষে বিভাজিত বাংলার পুর্বাঞ্চল রুপান্তরিত হল বাংলাদেশ নামের একটি নতুন স্বাধীন রাষ্টে৷ আর বাংলাদেশের সিংহভাগ মানুষের অসামপ্রদায়িক প্রবনতা শারদীয় দূর্গাত্‍সবকে আজ পরিনত করল প্রকৃত অর্থেই বাঙ্গলীর সার্বজনীন উত্‍সবে৷ বছর ঘুরে এই সার্বজনীন দূর্গাপূজা এলেই বাঙ্গালী হিন্দু সমপ্রদায়ের লোকজন মেতে উঠেন এক আনন্দ উত্‍সবের আমেজে৷ এই প্রানবন্ত আমেজ সকলের মানুষের মাঝে শান্তির বার্তা বয়ে আনুক৷
লেখকঃ- প্রভাষক উত্তম কুমার পাল হিমেল
যুগ্ম সাধারন সম্পাদক
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ,নবীগঞ্জ।
আপলোড : ১৯ অক্টোবর ২০১৫ : বাংলাদেশ : সময় : সন্ধ্যা ৬.২০ মিঃ





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)