মঙ্গলবার ● ৮ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » দুর্নীতি মাথায় নিয়ে রাঙামাটিতে আব্দুল মোতালেব
দুর্নীতি মাথায় নিয়ে রাঙামাটিতে আব্দুল মোতালেব
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (১৫ ভাদ্র ১৪২৩ বাংলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.০৮মিঃ) ঝিনাইদহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের বেপরোয়া ঘুষ আদায়, মানুষের সাথে চরম দুর্ব্যবহার, দুর্নীতি ও অফিসের এক নারী কর্মচারীকে কুপ্রস্তাবের ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশের পর পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন সহকারী উপ-পরিচালক আব্দুল মোতালেব সরকারকে অবশেষে শাস্তিমুলক রাঙামাটিতে বদলী করা হয়েছে৷
২৮ আগষ্ট রবিবার তিনি বদলীর আদেশ সম্বলিত ই-মেইল বার্তাটি হাতে পান৷
ঝিনাইদহ পাসপোর্ট অফিসে পদায়ন (চলমান দায়িত্ব) করা হয়েছে রাঙামাটি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের ডিএডি ফরিদ উদ্দীন আহমেদকে ৷ বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইড সুত্রে এ খবর পাওয়া গেছে ৷
এর আগে গত ২৪ আগষ্ট ডিএডি আব্দুল মোতালেব সরকারের বিরুদ্ধে কর্মক্ষেত্রে হয়রানী, উত্যক্তসহ যৌন নিগ্রহের অভিযোগ তদন্ত করতে ঝিনাইদহে আসেন প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (সংস্থাপন) নাসরিন পারভিন নুপুর৷
ঝিনাইদহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের এক নারী নিম্নমান সহকারী বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচারকের বরাবর এ অভিযোগ করেন৷
ডিএডির বিরুদ্ধে লিখিত ভাবে অভিযোগকারী ওই নারীকেও ঢাকায় বদলী করা হয়েছে বলে জানা গেছে৷
উল্লেখ্য, সহকারী উপ-পরিচালক আব্দুল মোতালেব সরকার ২০১৫ সালের ৩০ জুলাই যোগদানের পর থেকে ঘুষের রেট আট’শ থেকে বৃদ্ধি করে ফাইল প্রতি নয়’শ টাকা করে আদায় করেন৷
এ হিসেবে ঝিনাইদহ পাসপোর্ট অফিসে দিনে আনুমানিক দুই লাখ টাকা করে ঘুষ আদায় করা হতো৷ ঘুষের টাকা না দিলে চরম ভাবে হয়রানী করা হতো৷
এ নিয়ে পাসপোর্ট গ্রাহীতাদের মাঝে ক্ষোভ এবং অসেন্তাষ ছড়িয়ে পড়ে৷ পদে পদে হয়রানী ও দুর্ব্যবহারের শিকার হতে হয় ঝিনাইদহের পাসপোর্ট গ্রহীতাদেরকে ৷ ঝিনাইদহ পোসপোর্ট অফিসের ঘুষের টাকা প্রতি সপ্তাহে ভাগাভাগি করা হতো৷
এর মধ্যে সহকারী উপ-পরিচালক মোতালেব সরকার ৬০% ও বাকী ৪০% টাকা সাধারণ স্টাফরা ভাগ করে নিতেন৷ কক্সবাজার পাসপোর্ট অফিসে দায়িত্ব পালনকালে আব্দুল মোতালেব সরকার রহিঙ্গা স্মরনার্থীদের পাসপোর্ট দিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন৷
এ নিয়ে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে সরকারের উপর মহলকে জানানো হলে তাকে বদলী করা হয়৷
এ বিষয়ে সহকারী উপ-পরিচালক মোতালেব সরকার বদলীর খবর স্বীকার করে বলেন, আমরা সরকারী চাকরী করি৷ বদলী তো হতেই হবে৷
তবে তিনি ঘুষ আদায়, মানুষের সাথে চরম দুর্ব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি৷