বুধবার ● ৩১ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » মীর কাশেমের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন পরিবারের সদস্যরা
মীর কাশেমের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন পরিবারের সদস্যরা
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (১৬ ভাদ্র ১৪২৩ বাংলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৪৫মিঃ) মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর সঙ্গে দেখা করতে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর ভেতরে প্রবেশ করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা৷ তারা রাষ্ট্রপতির কাছে মীর কাসেমের প্রাণভিক্ষা চাওয়ার বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নিতে এ সাক্ষাত করছেন বলে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে৷
৩১ আগস্ট বুধবার দুপুর পৌনে তিনটার দিকে কাশিমপুর কারাগেটে আসেন মীর কাসেমের পরিবারের নয়জন সদস্য৷ পরে কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন তারা৷
মীর কাসেমের স্ত্রী খোন্দকার আয়শা খাতুন, দুই মেয়ে সুমাইয়া রাবেয়া ও তাহেরা তাসনিম, দুই পুত্রবধূ শাহেদা তাহমিদা ও তহমিনা আক্তার এবং ভাতিজা মোঃ হাসান জামান খান ছাড়াও এ দলে আছে তিনজন শিশু৷
প্রায় সোয়া এক ঘন্টা সাক্ষাত শেষে চারটার দিকে কারাগারের বাইরে বের হয়ে আসেন তারা৷
কারাগেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন খোন্দকার আয়শা খাতুন৷ তিনি দাবি করেন, তাদের ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাসেম ‘নিখোঁজ’ আছেন৷ ২২ দিন ধরে ছেলেকে পাচ্ছি না৷ সাদা পোশাকধারী লোকেরা তাকে বাসা থেকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে৷ তার স্বামী মীর কাসেম আলী তাকে বলেছেন, ছেলে ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত তিনি কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না৷ তিনি শুধু আমাদের ছেলেই নন, আইনজীবীও৷ তাই ছেলে ফিরে এলে তার সঙ্গে কথা বলেই প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি-না, সে সিদ্ধান্ত নেবেন৷
ছেলেকে কাছে পাওয়াই এখন তাদের একমাত্র লক্ষ্য বলেও দাবি করেন মীর কাসেমের স্ত্রী৷
কাশিমপুর কারাগার-২ এর জেলার নাশির আহমেদ জানান, মীর কাসেম আলীর পরিবারের সদস্যদের কারা কর্তৃপক্ষ ডাকেনি৷ তারা স্বেচ্ছায় কারাগারে এসেছেন৷ শুনেছি, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়া না চাওয়ার বিষয়ে মীর কাসেমের সঙ্গে কথা বলবেন তারা৷
বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফাঁসি বহাল রেখে রিভিউ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় কাশিমপুর কারাগারের ভেতর পড়ে শোনানো হয় মীর কাসেম আলীকে৷ এ সময় প্রাণভিক্ষার ব্যাপারে জানতে চাইলে, তিনি ভাবার জন্য কিছু সময় চান৷
এ কারাগারের কনডেম সেলে বন্দি আছেন দেশের শীর্ষ এই যুদ্ধাপরাধী৷