শনিবার ● ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » ঢাকা » আমি ভঙ্গ করেছি পাকিস্তানের সংবিধান-বাংলাদেশের নয় : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
আমি ভঙ্গ করেছি পাকিস্তানের সংবিধান-বাংলাদেশের নয় : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা প্রতিনিধি :: (১৯ ভাদ্র ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫.৪৭মিঃ) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এম.পি বলেছেন, আমি ভঙ্গ করেছি পাকিস্তানের সংবিধান-বাংলাদেশের নয়। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সংবিধান লাথি মেরে ফেলে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের সংবিধান হৃদয়ে ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে কাজ করে আসছি। আমার পক্ষে বাংলাদেশের সংবিধান ভঙ্গ করা অসম্ভব। তিনি বলেন, জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ দমনে সকলকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হচ্ছে মুক্তচিন্তা চেতনা সম্পন্ন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, গণতন্ত্র-সুশাসন ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বিশ্ববাসীর কাছে রোল মডেল হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ৩ সেপ্টেম্বর সকালে আয়োজিত ‘জঙ্গি-সন্ত্রাস দমনে প্রয়োজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এডভোকেট হোসনে আরা বেগম বাবলী, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শহীদুল হারুন।
সভাপতির বক্তব্যে লায়ন গনি মিয়া বাবুল বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বর্তমান দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে প্রেরণা হিসেবে কাজ করছে। বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বলেই তাদের নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে কাঙ্খিত উন্নয়নের পথে।
এডভোকেট হোসনে আরা বেগম বাবলী এম.পি বলেন, প্রত্যেক বাঙালিকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ ও অনুকরণ করতে হবে। মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কোন বিকল্প নেই।
আলোচনা শেষে জাতীয় শোক দিবস- ২০১৬ এর মাসব্যাপী কর্মসূচির সমাপণী উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুষ্ঠিত ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সংগঠনের সদস্য ড. মোঃ আশরাফুজ্জামান মন্ডল সম্প্রতি ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করায় এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রচার-প্রসারে বিশেষ ভূমিকা রাখায় বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল তাকে বিশেষ স্মারক সম্মাননা প্রদান করেন।
আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ডিআইজি মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রেজিষ্টার অধ্যক্ষ এম.এম নুরুন্নবী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ সম্পাদক এম.এ করিম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফজলুল হক, সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, প্রচার সম্পাদক এডভোকেট খান চমন-ই-এলাহী প্রমুখ।