মঙ্গলবার ● ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » কক্সবাজার » উখিয়ায় অনুমতি ছাড়া পশুর হাট
উখিয়ায় অনুমতি ছাড়া পশুর হাট
পলাশ বড়ুয়া,উখিয়া :: আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজারের উখিয়াও পশুর হাট জমে উঠেছে। উপজেলায় ইজারার মাধ্যমে নির্দিষ্ট পশুর হাট থাকলেও জালিয়াপালং ইউনিয়নের ছেপটখালী মহিলা মার্কেট সংলগ্ন রাস্তার উপর বসেছে অনুমতি ব্যতীত পশুর হাট। অবৈধ এ হাটে গরু প্রতি সিন্ডিকেট সদস্যরা ২০০/৩০০টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছে বলে জানা যায়। যার ফলে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় কোষাগার।
জানা যায়, উপূকলীয় এ হাটে প্রতিদিন ২/৩ শত গরুর বেঁচাকেনা হচ্ছে।
সুবিধাভোগীরা কোন প্রকার অনুমতি বা নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করেই বসিয়েছে
গরুর হাট। হাটের যেদিকে চোখ যায় গরু আর গরু। অনুমতি ব্যতীত এ হাটের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সরকার এবং বৈধ ইজারাদাররা। উপজেলা সদরে উখিয়া গরু বাজার, মরিচ্যা বাজার, রুমখাঁ বাজার গরুর হাটেও স্বাভাবিক বাজার দরের তুলনায় এবার প্রতিটি গরু ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে পর্যাপ্ত পরিমান দেশী গরু ছাগল ও মহিষ থাকলেও বিক্রেতারা বেশী দাম হাঁকাচ্ছেন। অপর দিকে, জালিয়াপালং মহিলা মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় কোন প্রকার অনুমোদন না নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা অবৈধ গরুর হাট বসিয়ে খাজনার নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ মুছার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তবে ব্যবসায়ীরা গরু নিয়ে যাওয়ার পথে একটু অবস্থান করে মহিলা মার্কেটে কিন্তু অনুমতি ব্যতীত গরুর হাট বসেনি।উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের উপজেলার পশুর হাট গুলিতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপদে বেচা-কেনার জন্য সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে নিশ্চিত করেছেন।উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দিন প্রতিনিধিকে বলেন, উপজেলার ৪টি স্থায়ী পশুর হাটে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং জাল টাকা সনাক্তের বিষয়ে সোনালী ব্যাংক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন বলে তিনি জানান। এছাড়া কোথাও অনুমোদনবিহীন কোন হাট বসালে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনসহ হাট বন্ধের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।