বৃহস্পতিবার ● ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » ৮ সেপ্টেম্বরকে সরকারিভাবে গণতন্ত্র দিবস হিসাবে পালন করার দাবি : ইতিহাসবিদ সিরাজউদ্দীন আহমেদ
৮ সেপ্টেম্বরকে সরকারিভাবে গণতন্ত্র দিবস হিসাবে পালন করার দাবি : ইতিহাসবিদ সিরাজউদ্দীন আহমেদ
ঢাকা প্রতিনিধি :: (২৪ ভাদ্র ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় দুপুর ২.৪১মিঃ) অবিভক্ত বাংলার ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা, গণতন্ত্রের মানসপুত্র, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ১২৪তম জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি ও জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ যৌথবাবে ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬, বৃহস্পতিবার সকালে মহান নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মাজার প্রাঙ্গণে৷সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ৷
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ইতিহাসবিদ সিরাজউদ্দীন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ আক্তারুজ্জামান, আওয়ামী লীগ নেতা এম.এ করিম ও আ.স.ম মোস্তফা কামাল, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম.এ জলিল, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির মহাসচিব মিজানুর রহমান মিজু, জাতীয় জোট- বিএনএ’র সাংগঠনিক সম্পাদক আককাস আলী খান, আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রোকনউদ্দিন পাঠান, মুক্তিযোদ্ধা পল্লী সোসাইটির সভাপতি আলমগীর শেখ, লোকশক্তি পার্টির সভাপতি শাহিকুল আলম টিটু, আইনজীবী এড. আবুল কালাম আজাদ ও লাভলী বেগম প্রমুখ৷
বক্তারা বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন গণতন্ত্রের পুজারী৷ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় একজন বলিষ্ঠ নেতা৷ তিনি আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বিশেষ ভাবে বাংলাদেশের মানুষদের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, দেশকে অসাম্প্রদায়িক আইনের শাসনের শোষণ-শাসন থেকে মুক্ত করে উন্নত পরিবেশের দেশ প্রতিষ্ঠা করা৷ সোহরাওয়ার্দী প্রতিষ্ঠিত সংগঠন আওয়ামী লীগ ও তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত দৈনিক ইত্তেফাক যৌথভাবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিল৷ এই বাংলাদেশ যারা মেনে নিতে পারে নাই তারাই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের হোতা ও লালন-পালনকারী৷ এই সন্ত্রাসী ও হোতাদের খুঁজে বের করে বিচারের মাধ্যমে নিঃশেষ করে বাংলাদেশকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত উন্নত পরিবেশের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই মহান নেতা ও গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দার জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সফল ও স্বার্থক হবে৷
বক্তারা আরো বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জন্মদিবস ৮ সেপ্টেম্বরকে সরকারিভাবে গণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালনের দাবি ও তার মাজার প্রাঙ্গণে জাতীয় নেতাদের জন্য একটি গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে বঙ্গবন্ধু, শেরে বাংলা, সোহরাওয়ার্দী ও ভাসানী এই নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে৷ তবেই এই নেতাদের মূল্যায়ন হবে এবং নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে নেতাদের সম্বন্ধে৷