শুক্রবার ● ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » কক্সবাজার » গরু আসছে মিয়ানমার থেকে
গরু আসছে মিয়ানমার থেকে
কক্সবাজার প্রতিনিধি::১৮ সেপ্টেম্বর: আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি বেড়েছে। কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ করিডোর হয়ে প্রতিদিন অনেক পশু আসছে। আমদানিকৃত এই পশুর দামও রয়েছে নাগালের মধ্যে। এতে সরকারও পাচ্ছে প্রচুর রাজস্ব। টেকনাফ স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ করিডোর হয়ে গত আগস্ট মাসে মিয়ানমার থেকে ৩ হাজার ৫৮টি কোরবানির পশু আমদানি হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসের কয়েকদিনে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ২ হাজার ৩৬৮টি গবাদি পশু। আমাদানিকৃত পশু থেকে সরকার ২৭ লাখ টাকা রাজস্ব পেয়েছে। আমদানিকৃত পশুর মধ্যে ৩ হাজার ৬৯৪টি গরু, ১ হাজার ৬৪৮টি মহিষ ও ৭০টি ছাগল
রয়েছে। কাস্টম সূত্র জানায়, প্রতিদিনই পশু আমদানির সংখ্যা বাড়ছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ঈদের আগে আরও প্রায় ১২ হাজার পশু আমদানি হবে। ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত থেকে এবার পশু আমদানি কম হওয়ার কথা শুনে তারা মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি শুরু করেন। কয়েকদিন ধরে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ করিডোর হয়ে আসছে অনেক পশু।
শাহপরীরদ্বীপ করিডোর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম জানান, ঈদের আগের আরও ১২ হাজার পশু আমদানির টার্গেট রয়েছে তাদের। তিনি জানান, মিয়ানমার থেকে আসা পশু গড়ে প্রতি মণ ১৬ হাজার টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। গরু ব্যবসায়ী আবু সৈয়দ জানান, কোরবানি উপলক্ষে পশু আমদানি ক্রমাগত বাড়চ্ছে। এসব পশুর মূল্য ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার ভেতরে রয়েছে। চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পেঁৗছানো হচ্ছে এসব পশু।
বৃহস্পতিবার সকালে শাহপরীরদ্বীপ করিডোরে গিয়ে দেখা যায়, অনেক গবাদি পশু মাঠে রাখা হয়েছে। সে তুলানায় ক্রেতা নেই। টেকনাফের গরু ব্যবসায়ী এমএ হাসেম বলেন, ভারত থেকে এবার গরু আসবে না বলা হলেও এখন পশু আমদানি বেড়েছে। ফলে দেশের উত্তরাঞ্চলের গরু ব্যবসায়ীরা টেকনাফে আসছেন না। এতে এখানে গরু, মহিষ ও ছাগলের দাম কম রয়েছে। তিনি জানান, প্রতিদিন ট্রলারে করে মিয়ানমার থেকে শাহপরীরদ্বীপ করিডোরে পশু আসছে। এতে এখানে আর পশু সংকট নেই।
শাহপরীরদ্বীপ করিডোর ব্যবসায়ী মো. নুরুল হক বলেন, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পশু আমদানি করা হচ্ছে। কিন্তু টেকনাফ-শাহপরীরদ্বীপ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত খরচ গুণতে হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি হলেও করিডোরে নেই কোনো ব্যাংক ও কাস্টম অফিস। নেই পশু রাখার সুব্যবস্থা।
টেকনাফ থানার ওসি আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, শাহপরীরদ্বীপ করিডোরে গরু ব্যবসায়ীদের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখান থেকে পশু সরবরাহের ক্ষেত্রে পথে যেন কোনো রকম চাঁদাবাজি না হয় তাও নজরে রাখা হচ্ছে।