বৃহস্পতিবার ● ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ষড়যন্ত্রমূলক ধারাবাহিক মামলা থেকে মুক্তি চান যুবক দেলোয়ার
ষড়যন্ত্রমূলক ধারাবাহিক মামলা থেকে মুক্তি চান যুবক দেলোয়ার
বিশ্বনাথ ( সিলেট ) প্রতিনিধি :: (২৪ ভাদ্র ১৪২৩ বাংলা: বাংলাদেশ সময় সন্দ্যা ৭.০৫মিঃ) সিলেটের বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের রহমান নগর গ্রামের আব্দুর রুপের পুত্র দেলোয়ার হোসেন৷ ৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দেলোয়ার হোসেন তার উপর একের পর এক ষড়যন্ত্রমূলক দায়ের করা মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে তিনি সকল মহলের সহযোগীতা কামনা করেন৷ এসময় উপস্থিত ছিলেন এলাকার মুরবি্ব আব্দুর রউফ, আরিজ আলী, সংগঠক হেলাল আহমদ, সামছুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ৷
লিখিত বক্তব্যে দিলোয়ার হোসেন বলেন, রহমান নগর গ্রামের মাসুক আলী ও শফিকুর রহমান বাবুল ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে সর্বস্বান্ত করছেন তাকে৷ ২০১৩ সালে মাসুক আলীর মেয়ে একই গ্রামের রফিক আলীর সাথে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন৷ ওই ঘটনায় তখন মাসুক আলী বাদি হয়ে বিশ্বনাথ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন৷ সেই ঘটনায় দেলোয়ারের কোন সংশ্লিষ্টতা না থাকার পরও তাকে আসামী করা হয়৷ এরপর ঐ মামলায় আদালত থেকে দেলোয়ার অব্যাহতি লাভ করেন৷ এরপর দেলোয়ারকে ঘায়েল করতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গ্রামের এক ব্যক্তির প্ররোচনায় পড়ে মাসুক আলী বিভিন্ন পেন্ডিং মামলায় তাকে (দেলোয়ার) আসামী করা হয়৷ মাসুক আলীর কারসাজিতে ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারী একই দিনে শাহপরান থানায় দেলোয়ারের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি ও একটি অস্ত্র মামলা দায়ের করা হয়৷ কিন্তু ঐ সময় দেলোয়ার কারাগারে ছিলেন৷ ফলে ঐ দুটি মামলা আদালত খারিজ করেন৷ এরপর চলতি বছরের ২ জানুয়ারী রহমান নগর গ্রামের রফিক আলীর স্ত্রী ও মাসুক আলীর মেয়ে আমিনা বেগম বিষপানে আত্মহত্যা করেন৷ আর ৪ জানুয়ারী দেলোয়ারকে থানা পুলিশ ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে এবং ফরোয়াডিংয়ে আমিনা হত্যা মামলায় আসামী করা হয়৷ ২মাস ১৬দিন জেলহাজতে থাকার পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে মুক্তি লাভ করেন দেলোয়ার৷ এই হত্যা মামলার এজাহারে নাম না থাকলেও চার্জশিটে দেলোয়ারকে অভিযুক্ত করা হয়৷ আর চার্জশিটে পূর্বের মামলাগুলোর রেফারেন্স উল্লেখ করে তাকে (দেলোয়ার) একজন চিহৃত অপরাধী বানানোর চেষ্টা করা হয়৷ এমনকি ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর সিলেটের কতোয়ালী থানায় দায়েরকৃত আরেকটি ডাকাতি মামলায় অন্য এক দেলোয়ারের নাম ব্যবহার করে চার্জশিটে এই দেলোয়ারকে অভিযুক্ত করা হয়৷ সম্প্রতি আদালতে মাসুক আলী ১০৭ ধারা মামলা দায়ের করেন৷ এই মামলায় দেলোয়ার ও তার দুই ভাইসহ ৫জনকে আসামী করা হয়েছে৷ এই মামলাতেও যা অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করেন দেলোয়ার হোসেন৷ ধারাবাহিক মামলায় হয়রানীর শিকার হয়ে গত ১০ আগষ্ট সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবর দেলোয়ার হোসেন লিভিত অভিযোগ প্রদান করেন এবং মাসুক আলী ও শফিকুর রহমান বাবুলের কারসাজিতে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা ও তাদের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে এলাকার সর্বস্থরের মানুষের পক্ষ থেকে গত ১৭ আগষ্ট সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে৷
লিখিত বক্তব্যে দেলোয়ার তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করেন এবং মামলাবাজ মাসুক আলী ও বাবুলের এসকল কর্মকান্ডে সাংবাদিকসহ সর্ব মহলের কাছে সহযোগীতা ও সুবিচার কামনা করেন দেলোয়ার হোসেন৷