শুক্রবার ● ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » স্যুটকেসে লাশ গুম মামলায় গ্রেফতার ৫
স্যুটকেসে লাশ গুম মামলায় গ্রেফতার ৫
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: গাজীপুরে এক নারীকে হত্যার পর লাশ স্যুটকেসে ভরে গুম করার অভিযোগে ৫ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ৷
৭ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে ও ৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়৷
গ্রেফতারকৃতরা হলেন তৈয়বুর রহমান (৩৭), আব্দুস সামাদ (৪০), উজ্জল সরকার (৩২), শাহীন কবির (৪৫) এবং রবিউল ইসলাম (২৫)৷
শ্রীপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ ফরিদ জানান, প্রথমে রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়৷ পরে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে অন্যদের গ্রেফতার করা হয়েছে৷
উল্লেখ্য, ২৩ আগস্ট মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার প্রহ্লাদপুর খালিয়াটিপাড়ার আকাশি বনের পাশে স্যুটকেসের ভেতর থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ৷ তার নাম রোকসানা আক্তার নিপা (২৯)৷ তিনি নেত্রকোণা জেলার বারহাট্টা উপজেলার বাহিরচাপড়া রাজুরবাজার এলাকার মৃত আব্দুর রউফের কন্যা৷ ঢাকা উত্তরার দক্ষিণখান প্রেমবাগান এলাকায় বসবাস করতেন তিনি৷
এ ঘটনায় নিহতের একমাত্র ভাই মো. শরিফুল ইসলাম বাপ্পি বাদী হয়ে ২৪ আগস্ট শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন৷ পরস্পর যোগসাজশে হত্যা করে লাশ গুম করার অপরাধে অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের এতে অভিযুক্ত করা হয়৷
মামলার বিবরণে জানা গেছে, নেত্রকোণা জেলার বারহাট্টা উপজেলার বাহিরচাপড়া রাজুরবাজার এলাকার মোঃ মাসুদের সাথে রোকসানা আক্তার নিপার বিয়ে হয়৷ দ্রিমিত নামে তাদের ১২ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে৷ আনুমাণিক এক বছর আগে তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে৷ এরপর থেকে রোকসানা তার ভাই মোঃ শরিফুল ইসলাম বাপ্পির বাসায় থেকে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরী করতেন৷
২১ আগস্ট বিকেল তিনটার দিকে রোকসানা তার প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হন৷ ওই রাতে বাসায় না ফেরায় তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হয়৷ কিন্তু ফোন রিসিভ হয়নি৷ পরদিন ২২ আগস্ট তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং তিনি নিখোঁজ হন৷
নিখোঁজের পর ২৩ আগস্ট মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার প্রহ্ললাদপুর খালিয়াটিপাড়ার আকাশি বনের পাশে স্যুটকেসের ভেতর নিপার লাশ পাওয়া যায়৷ স্যুটকেসের ভেতর একটি ভ্যানিটি ব্যাগে গ্রামীণ ফোনের সিমসহ একটি ইন্টারনেট মডেম ও মোঃ রবিউল আউয়ালের ছবিযুক্ত একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড পাওয়া যায়৷
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানেই তার স্বজনেরা লাশটি শনাক্ত করেন৷
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক ডাঃ প্রণয় দাস বলেন, মৃতদেহটি অর্ধ গলিত ছিল৷ তাকে হত্যা করা হয়েছে তবে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি৷