শুক্রবার ● ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » টুং টাং শব্দে মুখরিত কামার পল্লী বগুড়ায় কামাররা এখন মহাব্যস্ত
টুং টাং শব্দে মুখরিত কামার পল্লী বগুড়ায় কামাররা এখন মহাব্যস্ত
আল আমিন মন্ডল, বগুড়া প্রতিনিধি :: আসন্ন ঈদ উল আযহা উপলক্ষে বগুড়া জেলা’সহ গাবতলীতে কামাররা এখন মহাব্যস্ত ৷ প্রচন্ড গরমেও টুং টাং শব্দে মুখরিত কামার পল্লী ৷ ফলে সুদিনের বাতাস বইছে কামার পরিবারগুলোতে৷ ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে কামারপাড়া ততই সরগরম হয়ে উঠছে৷ আগুনের তাপে শরীর থেকে ঝড়ছে অবিরাম ঘাম তবুও দিন-রাঁত সমানতালে তারা এখন হাঁসুয়া, ছুরি, চাপাতি, দা, বটি, ভোজালি, কুড়াল তৈরী ও শান দিতে ব্যসত্ম সময় পাড় করছে৷ এছাড়াও ক্রেতারা মাংস কাঁটার জন্য গাছেরগুল টুকরাও ক্রয় করছে৷ তবে বিগত বছরের তুলনায় এবছরে দামটা একটু বেশী৷গাবতলী সোনারায়ের সাবেকপাড়া, বামুনিয়া, রামেশ্বরপুরের কামারচট্ট, কাগইলের সুলতানপুর, দাসকান্দি, দৰিনপাড়া কৃষ্ণচন্দ্রপুর কামারপল্লী ঘুরে দেখা যায়, কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে ভোর থেকে গভীর রাঁত পর্য়ন্ত কামাররা দিনরাঁত ব্যস্ত সময় পাড় করছে৷ অনেকে অতিরিক্ত অর্ডার নেওয়া কাজ ইতিমধ্যে বন্ধ করে দিয়েছেন৷ তবে সারা বছরে কম কাজ হলেও এসময়ে কাজ বেড়ে যাওয়ায় তারা এখন বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়েছে৷ পশু জবাই করার জন্য কামারপাড়ায় এখনো শোভো পাচ্ছে পশু জবাই করার বিভিন্ন উপকরন৷ সোনারায় সাবেকপাড়া’র নিমাই, মানিক কর্মকার জানান, এবছরে বেশ কাজ পেয়েছি৷ কাজ বেড়ে যাওয়ায় ব্যস্ততা বেড়েছে৷ ছোট ও বড় ছুরি শান দিতে ৩০টাকা থেকে ৮০টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে৷ প্রতিটি তৈরী করা ছোট ছুরি ৫০টাকা, দা ৩শ, হাঁসুয়া ১শ ২০টাকা, বটি ২শ, চাপাতি ২শ থেকে ৩শ ৫০টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে৷ কাগইল কৈঢোপ গ্রামের ক্রেতা মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কিনতে এসেছি৷এবারে দাম বেশী নেওয়া হচ্ছে৷ তবে ক্রেতাদের লোহার পাশাপাশি স্টিলের ছুরি ও চাকু ক্রয় করার চাহিদা বেশী৷ বামুনিয়া কামার পল্লী এলাকার কৃষ্ণ ও সনত্মোষ কর্মকার জানান, বর্তমানে কয়লা ও রড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় শান দেওয়ার মজুরী ৩০টাকা থেকে ১শ ২০টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে৷ এছাড়াও বাড়ী বাড়ী গিয়ে অনেকে শান দিচ্ছে৷ কর্মকার খিতিশ ও শ্যামল জানান, মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উত্সব পবিত্র ঈদ উল আযহা সময় আমাদের বেশ আয় হয় তা দিয়ে সারাবছর চালাতে হয় সংসার৷ রঘুনাথ ও তরুন কর্মকার জানান, বিশেষ করে ঈদ উল আযহা সময় কামার পল্লী’র সবাই কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়৷