রবিবার ● ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে পাহাড়ীকা পরিবহনের বাস খাদে পড়ে আহত ২০: মারাত্মক আহত ৬ জন চট্টগ্রামে
রাঙামাটিতে পাহাড়ীকা পরিবহনের বাস খাদে পড়ে আহত ২০: মারাত্মক আহত ৬ জন চট্টগ্রামে
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (২৭ ভাদ্র ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.০৯মি.) রাঙামাটি শহরের প্রবেশ পথের রেডিও সেন্টার এলাকায় পাহাড়ীকা পরিবহনের একটি বাস (রাঙামাটি-জ-১৪-০০৩১) ও একটি অটোরিক্সা (রাঙামাটি-থ-১১-০৫১৪) গভীর খাদে পড়ে ২০ জন আহত হয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় বাসের ৬জন যাত্রী মারাত্মক আহত হন। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিভাবে রাঙামাটির সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশসহ স্থানীয় লোকজন দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও সিএনজি থেকে আহতদের উদ্ধার করে তাৎক্ষনিকভাবে রাঙামাটি সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতদের বিস্তারিত তথ্য এখনো জানা যায়নি। তবে আহত ৬জনের অবস্থা আশংকাজনক । সদর হাসপাতাল সূত্র জানায়, মারাত্মক ভাবে আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চট্টগ্রাম থেকে রাঙামাটির উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা পাহাড়িকা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস রাঙামাটি বেতার কেন্দ্রের সামনে এসে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাঙামাটি থেকে রাউজানমুখী একটি সিএনজি অটোরিক্সাকে ধাক্কা দিয়ে অপর একটি সিএনজি অটোরিক্সাসহ ৩০ ফুট গভীর পাহাড়ী খাদে পড়ে যায়। এতে করে বাসের ভেতরে থাকা যাত্রীরাসহ সিএনজি অটোরিক্সার যাত্রী-ড্রাইভারসহ অন্তত ২০জন আহত হয়।
এদিকে আহতদের দেখতে সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার, জেলা প্রশাসক মোঃ সামসুল আরেফিন, রাঙামাটি জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মালিক সামস্ উদ্দিন মোহাম্মদ মঈন রাঙামাটি সদর হাসপাতালে ছুটে যান। পাহাড়িকা পরিবহনের ভেতরে থাকা এক যাত্রী রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে আহত অবস্থায় জানান, পাহাড়িকা পরিবহনের বাসটি চট্টগ্রাম থেকে রাঙামাটির উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসার পর রাউজানে পৌঁছলে গাড়িটির সামনের চাকায় সমস্যা দেখা দেয়। চালক গাড়ির হেলপারকে দিয়ে গাড়ির চাকা চেক করা হয়েছে বলে আবারো গাড়িটি চালাতে থাকে। বিকেল সাড়ে চারটার সময় গাড়িটি রাঙামাটির রেডিও ষ্টেশন এলাকায় পৌছঁলে গাড়িটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে একটি সিএনজি অটোরিক্সাকে ধাক্কা মারে। এসময় রাঙামাটি থেকে রাউজানগামী অপর একটি সিএনজি অটোরিক্সার উপর পাহাড়িকা বাসটি তুলে দিয়ে বাসটিসহ রাস্তার পাশ্বোর্ক্ত অন্তত ৩০ ফুট খাদে পড়ে যায় বাসটি। এসময় চালক ও হেলপার পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
স্থানীয় যাত্রীরা অভিযোগ করেন, রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মোটরযান মালিক সমিতির অধিকাংশ গাড়ি ভাঙ্গাচুরা লক্ষর যক্কর। প্রায় সময় এই ধরনের লক্ষর যক্কর গাড়ী দুর্ঘটনায় পড়ে প্রাণহানি ঘটছে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন এসব দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে গিয়ে আহত নিহতদের দেখে সমবেদনা জানিয়ে নিজেদের দায়িত্ব শেষ করেন। মেয়াদ উত্তীর্ন গাড়ীর মালিকদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের আইনী পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।