সোমবার ● ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » গাজিপুর » গাজীপুরে ঝুঁকিপূর্ণ টাম্পাকোতে আরও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে : আইএসপিআর
গাজীপুরে ঝুঁকিপূর্ণ টাম্পাকোতে আরও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে : আইএসপিআর
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (২৮ ভাদ্র ১৪২৩ বাংলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.৪৭মি.) গাজীপুরের টঙ্গীর বিসিক শিল্প নগরীর টাম্পাকো কারখানাটিতে ফয়ল্স উত্পাদনের জন্য বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহার করা হতো৷ এখানে আনুমানিক ২৫ টন রাসায়নিক দ্রব্যাদি যেমন- ইথাইল অ্যাসিটেট ছিল, যা অতি দাহ্য পদার্থ৷ এতে যেকোনো সময় আরও দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে৷
এ ঝুঁকির মধ্যেই সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে উদ্ধার কাজ এগিয়ে চলেছে৷
১২ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আন্তবাহিনী গণসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান৷
১০ সেপ্টেম্বর শনিবার ভোর ৬টার দিকে গাজীপুরের টঙ্গীর টাম্পাকো ফয়েল্স লিমিটেড কারখানায় বিস্ফোরণের ফলে কারখানার ভেতরে আগুন ধরে যায়৷ এ সময় ভবনের সামনের গেটে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মী, রিকশাচালক ও দুই যাত্রীসহ ১৪ জন ঘটনাস্থলে ও পরে হাসপাতালে ১১ জন নিহত হন৷ ১১ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকেলে উদ্ধার অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত উদ্ধার করো হয়েছে আরও ৮ জনের লাশ৷ সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩ জনে৷
১২ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও উদ্ধার কাজে চালিয়ে যাচ্ছেন৷
লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ উদ্ধার কাজ কতোদিন চলবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না৷ তবে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হবে, যেন এ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা যায়৷ ১৩ সেপ্টেম্বর ঈদের দিন মঙ্গলবারও স্বল্প পরিসরে আমাদের কাজ অব্যাহত থাকবে’৷
তিনি জানান, সোমবার সকাল ৭টা থেকে সেনাবাহিনী উদ্ধার কাজে জড়িত হয়৷ এ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর ১০০ জনের বেশি জনবল ও একটি মেডিকেল টিম এ এলাকায় কাজ করছে৷ বিধ্বস্ত ভবনটিতে কাজ করার জন্য সেনাবাহিনীর ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেডের তত্ত্বাবধানে প্রয়োজনীয় ইঞ্জিনিয়ারিং প্যান যেমন এঙ্াভেটার, লোডার ড্রাম্পার, ক্রেন ইত্যাদি এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের অন্যান্য সরঞ্জামাদি নিয়োজিত রয়েছে৷
১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেডের পাশাপাশি স্পেশাল অর্গানাইজেশন পশ্চিম, গাজীপুর সিটি করপোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় এ উদ্ধার কাজ পরিচালিত হচ্ছে৷
তিনি বলেন, ঘটনাস্থলটি পূর্ব-পশ্চিমে আনুমানিক ৬০০ ফুট, উত্তর দক্ষিণে ৩০০ ফুট৷ যার মধ্যে ৪টি বড় বড় বিল্ডিং রয়েছে৷ এর মধ্যে ৩টি বিল্ডিং ইতোমধ্যে ভেঙে পড়েছে৷ একটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে৷ সম্পূর্ণ এলাকা পর্যবেক্ষণ করে পূর্ব ও পশ্চিম উভয় দিক থেকে ৩টি স্থান দিয়ে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে এ অপারেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে৷ বিশেষ করে যে স্থানগুলোতে হতাহতের পরিমাণ বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, সে স্থানগুলো দিয়েই কাজ শুরু হয়েছে৷