শুক্রবার ● ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » পাবনাতে পানির দামে চামড়া বিক্রি হচ্ছে
পাবনাতে পানির দামে চামড়া বিক্রি হচ্ছে
মো. ইকবাল কবীর, চাটমোহর (পাবনা) :: পবিত্র ঊদ-উল আযহা উপলক্ষে চাটমোহরে কোরবানীকৃত পশুর চামড়া প্রায় পানির দামে বিক্রি হয়েছে৷ গত বছর এসময় চামড়া ব্যবসায়ীরা ব্যাপক লোকসানের সম্মুখিন হওয়ায় এবং এবছর চামড়ার বাজার ভাল না থাকায় তারা চামড়া কিনতে আগ্রহ দেখায় নি৷ ফলে যারা পশু কোরবানী করেছেন তারা স্বল্প মূল্যে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন৷ একটা মাঝারি আকারের গরম্নর চামড়া এক হাজার টাকায় এবং খাশির চামড়া ৫০/৬০ টাকায়ও বিক্রি হতে দেখা গেছে৷ যে সমস্ত ব্যবসায়ী চামড়া লবনজাত করছেন তারা কম মূল্যে চামড়া কিনতে পারলেও লাভ করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে শংকায় রয়েছেন৷
উপজেলার ছাইকোলা হাফিজিয়া এতিম খানায় এলাকাবাসী ৩৩৭ পিস খাশির চামড়া, ২৪ পিস গরুর চামড়া দান করেছিলেন৷ মঙ্গলবার রাত ১০ টায় হাফিজিয়া এতিম খানার সদস্য আবু তালেব নাটোরের আড়তে ২৪ পিস গরুর কাঁচা চামড়া ২৮ হাজার ৮শ টাকায় বিক্রি করেন৷ প্রতি পিস চামড়ার দাম পান ১ হাজার ২শ টাকা৷ ৩৩৭ পিস খাশির চামড়া বিক্রি করেন ১৮ হাজার টাকা৷ প্রতি পিস চামড়া ৫৩ টাকায় বিক্রি করেন তিনি৷
দোলং গ্রামের রবিউল করিম জানান, চাহিদা কম থাকায় ৭০ হাজার টাকা মূল্যের একশত ৮০ কেজি ওজনের কালো রঙের একটি গরুর চামড়া এক হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন তিনি৷ পৌর সদরের বালুচর এলাকার আবুল হোসেন জানান, দুইটি খাশির চামড়া বিক্রি করে তিনি পেয়েছেন ১শত ৬০ টাকা৷ বিন্যাবাড়ি গ্রামের আকতার হোসেন জানান, বড় আকারের একটি গরুর চামড়া এক হাজার ৬শ টাকায় বিক্রি করেছেন তিনি৷
চাটমোহরের কুমারগাড়া গ্রামের চামড়া ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান জানান, “চাটমোহরে প্রায় ২শ জন ক্ষুদ্র মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী চামড়া কিনেছেন৷ তাদের মধ্যে ৫০ জন চামড়া লবনজাত করেছেন৷ এক হাজার থেকে এক হাজার ৭শত টাকা পিস হিসেবে ৩শ পিস গরুর চামড়া, ৫০ থেকে ১শ ৪০ টাকা পিস ৩শ পিস খাশির চামড়া এবং এক হাজার ৪শ টাকা পিস হিসেবে ৩ পিস মহিষের চামড়া ক্রয় করেছি৷ নাটোরের আড়তে চামড়ার দাম খুব কম৷ গত বছর প্রায় ৪ লাখ টাকা লোকসান গেছে আমার৷ এবছর ও লোকসানের আশংকায় আছি৷ তিনি আরো জানান, চামড়া প্রক্রিয়াজাত করণের প্রধান উপকরণ লবনের দাম গত বছরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুন হয়েছে৷ গত বছর প্রতি বস্তা লবনের দাম ৫/৬শ টাকা থাকলেও এবছর ৫৫ কেজির লবনের বস্তা বিক্রি হচ্ছে ১১শত টাকায়”৷
আব্দুর রহমানের মতো উপজেলার রেল বাজার এলাকার জামাল উদ্দিন, সেন গ্রামের আবু বক্কার, নতুন বাজারের সুনীল ঋষি, সুকুমারসহ অন্যান্য চামড়া ব্যবসায়ীরা লাভ করতে পারবেন কিনা এ শংকা নিয়ে চামড়া প্রক্রিয়া জাত করছেন৷