শুক্রবার ● ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » পর্যটন » চলনবিলের বিনোদন কেন্দ্রে মানুষের ঢল
চলনবিলের বিনোদন কেন্দ্রে মানুষের ঢল
চাটমোহর (পাবনা) :: চলনবিল এলাকার চাটমোহর- হান্ডিয়াল রাস্তার দুইপাশে বিসত্মীর্ণ সবুজ ধান ক্ষেত ৷ মাথার উপরে শরতের শুভ্র মেঘেদের ছুটে চলা ৷ বর্ষার জলে ঢেউয়ে দোল খাওয়া ফসলের মাঠ ৷ পরন্ত বিকেলের হালকা বাতাস ৷ খাবারের সন্ধানে মাছ রাঙ্গা পাখিদের উড়ে চলা৷ সড়কের কাছ ঘেসে জেলেদের খড়া জালে মাছ ধরা ৷ দৃষ্টি নন্দন বওশা ব্রীজ ৷ হান্ডিয়ালের দিকে এগুতে কুজোর মোড় পার হলেই নির্মানাধীন ধরমগাছা ব্রীজ ৷ সৈন্দর্য পিয়াসী মানুষেরা প্রকৃতির সানি্নধ্য পেতে ব্রীজের দুপাশের বালুকা রাশিকে পায়ে দলে ছুটে চলছে উত্তরে ৷ হান্ডিয়াল এর দক্ষিণপাশে বাঁকা চাঁদের মত দৃষ্টি নন্দন অপর একটি ব্রীজ নজর কাড়বে যেকারো ৷ ১৪ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে চাটমোহর- হান্ডিয়াল সড়কের বওশা ব্রীজ থেকে হান্ডিয়াল পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার এলাকায় নামে সৈন্দর্য পিয়াসী শিশু কিশোর নারী পুরুষ বৃদ্ধ বৃদ্ধাসহ অগনিত বিভিন্ন বয়সের শ্রেণী পেশার মানুষের ঢল ৷ কেউ বা পায়ে হেটে কেউবা অটো ভ্যানে, মোটরসাইকেলে, আবার কেউবা কার মাইক্রোবাস নিয়ে প্রকৃতির সানি্নধ্য উপভোগ করতে ছুটে এসেছেন দূর দূরান্ত থেকে৷ নারীর টানে ঈদ উপলৰে ঘরে ফেরা মানুষগুলো পরিবার পরিজন আত্মীয় স্বজন নিয়ে দুপুরের পর থেকে ভীড় জমাতে থাকেন এই সড়কে- ব্রীজ গুলোতে৷ প্রকৃতির ভাল লাগা ভালবাসায় সন্ধ্যার সূর্যাসত্ম অবলোকন করে, অনেকে তারও অনেক পরে ফিরেন আপন নীড়ে৷ কেন বেড়ানোর জন্য এ স্থানটিকে বেছে নিয়েছেন জানতে চাইলে চাটমোহরের বিন্যাবাড়ি গ্রামের ফরহানা হোসেন জানান, চলনবিল এলাকায় বেড়ানোর মতো স্পট বেশি নেই৷ ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে বেড়ানোর জন্য এ স্পটিকেই বেছে নিয়েছি৷ আমাদের ভালো ও লাগছে৷ তবে বসার মত কোন ব্যবস্থা নেই৷ রাস্তার দুই পাশে বসার ব্যবস্থা করলে এ এলাকাটি আরো সুন্দর বেড়ানোর জায়গা হতে পারে ৷
করকোলা গ্রামের সেনা কর্মকর্তা আকতার হোসেন জানান, ঈদে অথবা অন্য সময় ছুটিতে বাড়ি আসলে বেড়ানোর জন্য এখানে চলে আসি৷ প্রকৃতির সানি্নধ্য পেতেই এখানে আসা৷
ভ্রমন পিয়াসী মানুষেরা জানান, রাসত্মাটির দুপাশে মাঝে মাঝে বসার মত জায়গা, আলোর ব্যবস্থা করা হলে এ এলাকাটি আরো বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে৷ এ স্পটটি ছাড়াও চলনবিল এলাকার বোয়াইলমারী, বনপাড়া হাটিকুমরুল সড়কের ১০ নং ব্রীজ সহ এর আশপাশ এলাকার মনলোভা প্রাকৃতিক সৈন্দর্য সকলের মন কেড়ে নেয়৷ তারা আরো জানান, এসকল এলাকায় পরিকল্পিত ভাবে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হলে প্রতি বছর লাখ লাখ আয় করা সম্ভব৷