সোমবার ● ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » ঝিনাইদহে সাপ দেখিয়ে প্রতারণা: আতংকে পথচারিরা
ঝিনাইদহে সাপ দেখিয়ে প্রতারণা: আতংকে পথচারিরা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (৪ আশ্বিন ১৪২৩ বাংলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.২৫মিঃ) ঝিনাইদহ শহরজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ৬/৭ জন অপ্রাপ্ত বয়সের বেদে সমপ্রদায়ের মেয়ে৷ বয়স তাদের কতই বা হবে? বড় জোর ১৩ থেকে ১৬৷ এই বয়সে ওদের বিয়ে হয়েছে৷ কারো সাথে বাচ্চা আবার কেও গর্ভবতী ৷ পরনে ময়লা শাড়ি আর সেলোয়ার কামিজ ৷
দল বেধে ছুটছে ওরা৷ টার্গেট গ্রাম থেকে আসা কলেজ পড়ুয়া ছেলে বা মেয়ে৷ কাঠের ছোট বাক্সের মধ্য থেকে সাপের মাথা বের করে আছে৷ আগন্তুকের সামনে এগিয়ে ধরছে সেটি৷ অমনি ভয়ে চমকে উঠছে৷ এরপর পথ আগলে দাবী করা হচ্ছে টাকা৷ চাহিদা মতো টাকা না দেওয়া হলে ছেলেদের শার্ট আর মেয়েদের ওড়না টেনে ধরা হচ্ছে৷
ছোট কাঠের বাক্সে সাপ নিয়ে চাঁদাবাজি নতুন নয়, কিন্তু বর্তমানে তা চরম পর্যায়ে পৌছেছে ৷ পথচারী ও শহরবাসি সাপের ভয়ে ও ইজ্জত বাঁচাতে চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছে৷
শহরের পায়রা চত্বর, মুন্সি মার্কেট, পোষ্ট অফিসের মোড় ও ১০ তলার সামনে সবচে বেশি এদের আনাগোনা৷ ৬/৭ জনের দল বেঁধে এরা চাঁদাবাজি করে৷ লোক বুঝে ৫ থেকে ৫০ টাকা পর্যনত্ম চাঁদা আদায় করছে৷
টহল পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের সামনেই গতকাল সোমবার একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিতে দেখা গেছে৷ প্রথমে টাকা চেয়ে না পেলে সাপ বের করে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা হয়৷
ঝিনাইদহ শহরের ধোপাঘাটা ব্রীজের নিচে এসব বেদের বহর ঝুপরি করে দল বেঁধে বসবাস করে৷ এদের ঝুপরিতে মাদক থেকে টিভি ও আধুনিক সকল সুবিধা আছে৷
এসব যাযাবর বেদেদের মূল আবাস সাভার ও নাটোরের সিংড়ায়৷ এসব বেদে মেয়ের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, প্রতিদিন তারা ৫/৬’শ টাকা আয় করে৷ পুরুষরা বাড়ি আরাম করে আর স্ত্রীরা শহর চষে বেড়ায় এসব পরিবারের নিজ এলাকায় পাকা ঘরবাড়ি জমি ও ব্যাংকে টাকাও মজুদ আছে৷
এটা তাদের পেশা৷ আগে বেদে পরিবারের পুরুষ নারী সদস্যরা সাপ খেলা সাপের ওষুধ বিক্রি সিঙ্গা লাগানো বাতের চিকিত্সা দেওয়ার নামে গ্রামের সহজ-সরল মহিলাদের কাছ থেকে টাকা, চাল, মুরগি খাবার আদায় করত৷
এখন মানুষ সচেতন হওয়ায় এসব প্রতারণা ব্যবসা ও ভুয়া চিকিত্সা ও ওঝাগিরি করতে পারে না৷ এখন তারা ছোট সাপ দেখিয়ে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে দাঁড়িয়ে জোর পুর্বক টাকা আদায় করে থাকে৷