মঙ্গলবার ● ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » কাউন্সিলর স্বামীর হাতে টুম্পা খুন
কাউন্সিলর স্বামীর হাতে টুম্পা খুন
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোলায়মান মিয়ার বিরুদ্ধে স্ত্রী নুশরাত জাহান টুম্পাকে (৩০) হত্যার অভিযোগ উঠেছে৷
১৮ সেপ্টেম্বর রবিবার রাতের কোনো একসময়ে এ হত্যা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
টুম্পা কোনাবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলামের মেয়ে৷
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গাজীপুরের কাশিমপুরের ভবানীপুর এলাকার হাজি নুরুল ইসলামের ছেলে সোলায়মান মিয়ার সঙ্গে ১২ বছর আগে টুম্পার বিয়ে হয়৷ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে সোলায়মান মিয়া ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বচিত হন৷ রাজধানীর উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের ৪ নম্বর রোডের ৪ নম্বর বাসায় স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে কয়েক বছর ধরে বসবাস করে আসছিলেন সোলায়মান৷
টুম্পার বাবা নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পাঁচ বছর পর থেকে বিভিন্ন সময় টুম্পাকে নির্যাতন করত সোলায়মান৷ সোলায়মানের মাদকের নেশা ও নারী-সংক্রান্ত ঘটনা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো৷
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১৮ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকেলে ছেলে নাফিকে (৮) উত্তরায় শ্বশুরের বাসায় রেখে স্ত্রী টুম্পা, টুম্পার ভাই সাঈদ ও টুম্পার ভাবীকে নিয়ে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় বেড়াতে যান সোলায়মান৷ সেখান থেকে যমুনা ফিউচার পার্কে যাওয়ার সময় গাড়িতে সোলায়মান মিয়ার মোবাইলে অন্য একটি মেয়ের ছবি দেখতে পান টুম্পা৷ এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে তাঁর কথাকাটাকাটি হয়৷ এর পর রাতে সোলায়মান ও টুম্পা তাঁদের বাসায় ফেরেন৷
পরদিন ১৯ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে গৃহপরিচারিকা বাসায় এসে দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে টুম্পার মায়ের মুঠোফোনে কল করেন৷ খবর পেয়ে টুম্পার পরিবারের লোকজন ওই বাসায় এসে জানালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে খাটের ওপর টুম্পাকে পড়ে থাকতে দেখেন৷ পরে তাঁকে উদ্ধার করে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে কর্তব্যরত চিকিত্সক টুম্পাকে মৃত ঘোষণা করেন৷
পরে সোমবার সন্ধ্যায় উত্তরা থানা পুলিশ টুম্পার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়৷
নিহত টুম্পার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে স্বজনরা দাবি করেছেন৷ তাঁদের ধারণা, রাতে কোনো একসময় টুম্পাকে নির্যাতন করে হত্যার পর সোলায়মান বাসার বাইরে থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান৷
ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহেদ পারভেজ জানান, নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালচে দাগ রয়েছে৷ ঘটনাটি হত্যা কি না, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে জানা যাবে৷ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী সোলায়মান পলাতক৷
এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে কাউন্সিলর সোলায়মান মিয়ার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়৷