শুক্রবার ● ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » আলীকদমের চৈক্ষ্যং খালের ভাঙ্গন: বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি খেত-খামার
আলীকদমের চৈক্ষ্যং খালের ভাঙ্গন: বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি খেত-খামার
আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি :: (৮ আশ্বিন ১৪২৩ বাংলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.৩৯মিঃ) বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় চৈক্ষ্যং খালের ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে একেরপর এক ঘরবাড়ি৷ তলিয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি ও খেত-খামার৷ গৃহ হারা হয়ে মানবেতর জীবন যাপন শত শত মানুষ৷ প্রতিবর্ষা মৌসুমে খালের ভাঙ্গনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা৷ ২৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে খালের ভাঙ্গনের চিত্র সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য থোয়াইচাহ্লা মার্মা ৷ এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ফরিদ আহামদ, আলীকদম প্রেস ক্লাবের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহামদ, সাংবাদিক হাসান মাহমুদ প্রমূখ৷
সরেজিমন জানা গেছে, বিগত কয়েকবছর ধরে প্রতিবর্ষা মৌসুমে চৈক্ষ্যং খালের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ শত শত পাহাড়ি ছড়া ও ঝর্ণার সমন্বয়ে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট চৈক্ষ্যং খাল৷ বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলে তীব্রতা বৃদ্ধি পায় এ খালের৷
উপজেলার ছাবের মিয়া পাড়ার বাসিন্দা ও আ.লীগ নেতা ফরিদ আহামদ সর্দার জানান, গত কয়েকবছর ধরেই চৈক্ষং খালের ভাঙ্গনের তীব্রতায় বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি৷ চলতি বর্ষায় খালের তীর ভাঙ্গনে তার বাড়িভিটাও গ্রাস হতে চলেছে৷
তিনি জানান, ইতোমধ্যে ছাবের মিয়া পাড়া ও সোনা মিয়া সর্দার পাড়া এলাকার নুর হোসেন, হাবিব নুর, বদর মিয়া, মনির আহামদ, বিধবা গুলবাহার বেগম, মাস্টার নুর হোসেন ও শাহ আলমসহ আরো বাড়ি খাল ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে৷ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ফরিদ সর্দার, বদি আলম ও সৈয়দ আলমসহ খাল তীরবর্তী লোকজনের বাড়িঘর৷ স্থানীয় বাসিন্দা হাবিব নুর বলেন, খাল ভাঙ্গনরোধে সরকারি বড় ধরণের একটি প্রকল্প গ্রহণ জরুরী৷
যাদের বাড়ি-ঘর খালগর্ভে বিলীন হয়েছে ভিটেহারা হয়ে নিঃস্ব ও মানবেতর জীবনযাপন করছে৷ কয়েকজন অন্যের আশ্রিত হয়ে থাকলেও কয়েকজনের অবস্থায় শোচনীয়৷
সরজমিন পরিদর্শনকালে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য থোয়াইচাহ্লা মার্মা বলেন, চৈক্ষ্যং খালের ভাঙ্গনের চিত্র সম্পর্কে আমি আগে থেকে ওয়াকিবহাল৷ খালের ভাঙ্গনে স্থানীয়দের বাড়িঘর বিলীন হওয়া সম্পর্কে জেনেছি৷ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবহিত করবো৷ আগামীতে এ খালের ভাঙ্গনরোধে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প গ্রহণ করার চেষ্টা করা হবে৷