রবিবার ● ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » নৌ-কমান্ডারের ঘুষিতে খাগড়াছড়ি পাজেপ সদস্য জুয়েল চাকমা হাসপাতালে
নৌ-কমান্ডারের ঘুষিতে খাগড়াছড়ি পাজেপ সদস্য জুয়েল চাকমা হাসপাতালে
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: (১০ আশ্বিন ১৪২৩ বাংলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৪৫মিঃ) ’সেরা সাঁতারুর খোজে বাংলাদেশ’ শ্লোগানে খাগড়াছড়ি পুলিশ লাইন্স-এ জেলা পর্যায়ে সাতারু খোঁজ বাছাই অনুষ্ঠানে নৌ-বাহিনীর কমান্ডার এস এম মাহমুদুরর রহমান (সি), পিএসসি, বিএন’র এর ঘুষিতে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক জুয়েল চাকমা গুরুতর আহত হয়ে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ২৫ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে খাগড়াছড়ি শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জেলা ক্রীড়া সংস্থা, জেলার ক্রীড়াবিদ, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগ এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্যবর্গ। বিক্ষোভ মিছিলটি খাগড়াছড়ি পৌর টাউনহল হতে শুরু হয়ে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামানের সাথে আলোচনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়। এর আগে ঘটনার খবর পেয়ে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে আহত পাজেপ সদস্য জুয়েল চাকমাকে দেখতে ছুটে যান খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান, নির্বাহী কর্মকর্তা আ: রহমান তরফদার । এসময় খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. নয়নময় ত্রিপুরা বলেন, আহত জুয়েল চাকমা নাক ও মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন এবং আঘাত রক্তক্ষরণ হয়েছে। তবে তিনি আশঙ্কামুক্ত।
প্রত্যক্ষদর্শী মহালছড়ি উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক রুকন মিয়া জানান, অংশগ্রহণকারীদের ভাতার বিষয় নিয়ে কথা বলতে গেলে নৌবাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তা ক্রীড়া সংস্থার লোকজনদের গালিগালাজ করেন। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চাকমা বিষয়টির প্রতিবাদ করলে নৌবাহিনীর কমান্ডার এস এম মাহমুদুর রহমান তাকে ঘুষি মেরে দেন। পরবর্তীতে নৌবাহিনীর অপরাপর সদস্যরা তাঁর উপর হামলা চালায়।
এ বিষয়ে চিকিৎসাধীন ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও পাজেপ সদস্য জুয়েল চাকমা বলেন, অংশগ্রহণকারীদের ভাতার বিষয়ে কথা বলতে গেলে দীঘিনালা উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকের সাথে দুর্ব্যবহার করেন নৌবাহিনীর লে: কমান্ডার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা। আমি বিষয়টির প্রতিবাদ করতে গেলে কমান্ডার এস এম মাহমুদুর রহমান আমাকে ঘুষি মেরে দেন। পরবর্তীতে নৌবাহিনীর ২০/২৫জন সদস্য আমার উপর ঝাপিয়ে পড়ে আক্রমণ করে। তবে অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি কমান্ডার এস এম মাহমুদুর রহমান।
এদিকে, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, বিষয়টি আমি সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোতে লিখিত ভাবে অবগত করবো।
বিক্ষোভ মিছিলে অন্যাদের মধ্যে অংশ নেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের অন্যতম সদস্য শিক্ষানুরাগী খগেশ্বর ত্রিপুরা, পাজেপ সদস্য আ: জব্বার, রেম্রাচাই চৌধুরী, নিগার সুলতানা, মংক্যচিং চৌধুরী, আশুতোষ চাকমা, মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, সতীশ চাকমা, খোকনেশ্বর ত্রিপুরা, জেলা যুবলীগের সিনি: সহ-সভাপতি ও ৯নং পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুদুল হক, সিনিয়র সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান হেলালসহ ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া সংগঠক ও জেলা আওয়ামীলীগ এবং সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
অপরদিকে, এ ঘটনায় লিখিতভাবে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী।