বুধবার ● ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » রাঙামাটিতে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালিত
রাঙামাটিতে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালিত
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (১৩ আশ্বিন ১৪২৩ বাংলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.৫৩মিঃ) রাঙামাটিতে ১০ম বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস ২০১৬ উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ রাঙামাটি জেলা প্রাণীসম্পদ বিভাগের আয়োজনে ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে সদর উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিস চত্বর থেকে এক র্যালী বের হয়৷ র্যালীটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আসামবস্তি জেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের প্রশিক্ষণ ভবনের কক্ষে এক আলোচনা সভায় মিলিত হয়৷
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রাণী সম্পদ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা ৷
এ সময় সিভিল সার্জন ডাঃ স্নেহ কান্তি চাকমা, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, জেলা পিগ ফার্মের সহকারী পরিচালক ডাঃ উত্তম কুমার দাস, সরকারী হাঁস মুরগী খামারের ব্যবস্থাপক ডাঃ অমর জ্যোতি চাকমা, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিৰণ কর্মকর্তা কৃষ্ণ প্রসাদ মলিস্নক, জেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের ভেটেনারি সার্জন দেবরাজ চাকমা’সহ প্রাণীসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন সত্মরের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন৷
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, জলাতঙ্ক হল এমন এক মারাত্মক রোগ যার ফলে মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়৷ জলাতঙ্কের কারণে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ মারা যায়৷ বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে কুকুর ও অন্যান্য পশুর কামড়ে জলাতঙ্ক সংক্রমণের আশংকা সবচেয়ে বেশী৷ তাই অভিভাবকদের এবিষয়ে সচেতন হতে হবে৷ মাঠকর্মী, সচেতন মহল ও জনপ্রতিনিধি নিয়ে সচেতনতামূলক সভা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকতাদের পরামর্শ দেন তিনি৷ তিনি বলেন, তাদের মাধ্যমেই এ সচেতনতামূলক বার্তাগুলো সাধারণ জনগণের মাঝে পৌঁছে দিতে হবে৷ তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ের জনগণের কাছে জলাতঙ্ক রোগের সচেতনতা, প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ গড়ে তুলতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে৷
সভাপতির বক্তব্যে প্রাণী সম্পদ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া বলেন, কুকুর ও বিভিন্ন পশু থেকে মানুষের মধ্যে ক্ষতের মাধ্যমে বা আঁচড়ের মাধ্যমে বা সরাসরিভাবে লালার মাধ্যমে জলাতঙ্ক রোগ হয়৷ কুকুরের কামড় বা অাঁচড়ের সাথে সাথে ক্ষত স্থানে সাবান ও পানি দিয়ে অন্তত ১৫মিনিট ধুয়ে রাখতে পারলে সংক্রমণের আশংকা কমে যায়৷ এ সচেতন বার্তাগুলো আমাদের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদের জানাতে হবে৷ বিশেষ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জলাতঙ্ক রোগ ও এর প্রতিরোধ এবং টিকা গ্রহণ সম্পর্কে ধারণাগুলো প্রদান করতে তিনি প্রাণীসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান৷