শনিবার ● ১ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সিলেটে নদী ভাঙ্গনে অস্থিত্ব বিলিনের পথে বাঘা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
সিলেটে নদী ভাঙ্গনে অস্থিত্ব বিলিনের পথে বাঘা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
সিলেট জেলা প্রতিনিধি :: (১৬ আশ্বিন ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ২.০১মি.) সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলাতে সুরমা নদীর ভাঙ্গনে সর্বস্থ হারিয়েছে অনেক পরিবার, এমনকি এই নদী ভাঙ্গনের কবলে গোলাপগঞ্জ বাজার মসজিদ ঝুকির মাধ্যে ছিল, পরিশেষে মসজিদ কমিটি মসজিদ রক্ষার্তে মসজিদ পুননির্মানের উদ্যোগ গ্রহন করে। এবার নদী ভাঙ্গন আঘাত এনেছে পূর্ব বাঘা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নামের একটি বিদ্যালয়ে। বাঘা ইউপিতে সুরমা নদী সংলগ্ন খালের ভয়াবহ ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে পূর্ব বাঘা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি, অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর খালের ভাঙ্গন ভয়াবহ রূপ ধারণ করায় বিদ্যালয়টি অস্থিত্ব হারাতে বসেছে। ভাঙ্গন থেকে স্কুলটিকে রক্ষার লক্ষে এলাকাবাসী ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে বিভিন্ন সময় যোগাযোগ করলেও কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় তাদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।পূর্ববাঘা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গোলাপগঞ্জের প্রথম সারির একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ বিদ্যালয়টি রক্ষায় যদি জরুরী ভিত্তিতে এখনি পদক্ষেপ না নেয়া হলে একদিন হয়তো এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি খালের মাঝে বিলীন হয়ে যাবে। ১৯৩৬ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সাফল্যের সঙ্গে তার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে।এ বিদ্যালয়টি অত্র এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছে অবিরত।সুরমা নদীর সাথে সংযুক্ত ডাহাবিল খালের একেবারে গা ঘেষে অবস্থিত বিদ্যালয়টি বিগত কয়েক বছর ধরে খালের ভাঙ্গনে হুমকীর মুখে রয়েছে। বিদ্যালয়টি বিগত ২০০০ সালে সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি লাভ করে। এছাড়া বাঘা ইউনিয়নের একটি ভোট কেন্দ্র হওয়ায় বেশ গুরুত্ব বহন করে আসছে বিদ্যালয়টি। সম্প্রতি ভাঙ্গন বিদ্যালয়ের মূল ভবনের একেবারে গা ঘেষে চলে এসেছে। প্রায় ৫০ ফুট গভীর খালে পানি এ মুহুর্তে টুইটুম্বুর করছে, অসতর্কতার কারণে যেকোন সময় শিক্ষার্থীদের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে বলে শংকিত অভিভাবক ও শিক্ষকরা। ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে খালের ভাঙ্গন থেকে রক্ষার লক্ষে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পূর্ব বাঘাসহ আশপাশের এলাকাবাসি।