শনিবার ● ১ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিশ্বনাথে ৪৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ
বিশ্বনাথে ৪৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ
মো. আবুল কাশেম,বিশ্বনাথ ( সিলেট ) প্রতিনিধি :: (১৬ আশ্বিন ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৩.২০মি.) সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ৪৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় অধিক ও মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহৃিত করেছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস৷ তবে আরো বেশ কয়েটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঝুকিপূণ রয়েছে বলে এলাকাবাসি জানান৷ ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়গুলোতে এরপরও চলছে পাঠদান৷ ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়গুলোতে প্রতিদিন ক্লাস করছেন শতশত শিক্ষার্থীরা৷ এছাড়া অধিকাংশ বিদ্যালয়ে রয়েছে ভবন ও আসবাবপত্র সংকট৷ অভিলম্ভে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়গুলো মেরামতের উদ্যোগ না নিলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দূর্ঘটনা এমটাই আশংকা করছেন এলাকাবাসি৷
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানাযায়, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের বাজেটের আওয়াতায় ঝুকিপূর্ণ বিদ্যায়ল মেরামত ও সংস্কারের জন্য সংশিস্নষ্ট অফিসে তালিকা গত ২৮আগষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস প্রেরণ করা হয়৷
উপজেলার আটটি ইউনিয়নে ১৩০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে৷ আর এসব বিদ্যালয়গুলোতে প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী লেখা-পড়া করে আসছে৷ এরই মধ্যে ৩০টি বিদ্যালয় অধিক ঝুকিপূর্ণ ও ১৩ মধ্যম ঝুকিপূর্ণ হিসেবে চিহৃিত করে জেলা শিক্ষা অফিসের বিদ্যালয়গুলোর তালিকা দেওয়া হয়৷
উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে বিশ্বনাথ ইউনিয়নে আটটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লামাকাজি ইউনিয়নে তিনটি বিদ্যালয়, অলংকারি ইউনিয়নে আটটি, খাজাঞ্চি ইউনিয়নে এগারোটি বিদ্যালয়, রামপাশা ইউনিয়নে একটি বিদ্যালয়, দেওলকস ইউনিয়নে পাঁচটি বিদ্যালয়, দৌলতপুর ইউনিয়নে চারটি বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ,মধ্যম ঝুকিপূর্ণ রয়েছে৷
বিদ্যালয়গুলো হলেন-উপজেলার বিশ্বনাথ ইউনিয়নের জনমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব শ্বাসরাম আবক্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিশ্বনাথ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদলপুর তাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আল-এমদাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাহজালাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিরেরচর (১) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়৷ লামাকাজি ইউনিয়নের মুন্সিরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজারিগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাহতাবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,অলংকারি ইউনিয়নের বেতসান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নতুনকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,অলংকারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছোট খুরমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘুরণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড় খুরমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টুকেরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খাজাঞ্চি ইউনিয়নের জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,ছৈফাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কান্দিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,তালিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূব বন্ধুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় তেলিকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চন্দ্র গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,বাওনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বন্ধুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চারিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রামপাশা ইউনিয়নের ধলিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেওলকস ইউনিয়নের মটুককোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,ফতেহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাজিতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কোনারাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,কজাকাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়৷
দৌলতপুর ইউনিয়নের মৌলভীগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গোয়াহরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়৷ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অধিকাংশ বিদ্যালয়ে রয়েছে ভবন ও আসবাবপত্র সষ্কট৷ এসব বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনগুলো ঝুঁকিপূণ সেনিটেশন সমস্যা রয়েছে৷
সদ্য বদলি হওয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার চিনত্মাহরণ দাস সাংবাদিক কে বলেন, অধিক ও মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহৃিত ৪৩টি বিদ্যালয়ের ভৌত অব কাঠামো উন্নয়নের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উধর্্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর গত ২৮আগষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস প্রেরণ করা হয়৷