

শনিবার ● ১ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » দুই সন্তানের জননীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
দুই সন্তানের জননীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেট জেলা প্রতিনিধি::(১৬ আশ্বিন ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৯.০২মি.) সিলেটের কানাইঘাটে এবার গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় দুই সন্তানের এক জননীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম সিরিয়া বেগম। তিনি কানাইঘাট সদর ইউপির গোসাইন পুর গ্রামের মৃত আব্দুস সালাম মাস্টারের পুত্র শহিদুল ইসলামের (৩২) স্ত্রী। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার সিওমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। মৃত্যুটি হত্যা না আত্মহত্যা এর রহস্য নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধূম্রজাল। এলাকায় চলছে মুখরোচক আলোচনা। মহিলার পিতার বাড়ির লোকজন বলছেন স্বামীর পরকীয়ার কারণে মহিলাকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের দাবি, মহিলার স্বামী শহীদুল ইসলাম পরকীয়ায় জড়িত। বিষয়টি মেনে না নেওয়াতে স্বামী দুই সন্তানের জননীকে হত্যা করেছে। গৃহবধূর ভাই উপজেলার নিজ দলইকান্দি (আকুনি) গ্রামের আব্দুল হালিম অভিযোগ করেন, তার বোনের স্বামী গোসাইন পুর গ্রামের শহীদুল ইসলাম পরকীয়াগ্রস্ত। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েক বার তার বোন শিরিয়া বেগমের সঙ্গে ঝগড়াঝাটি হয়েছে। এর জের ধরে তার বোনকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি জানান, বোনের স্বামী শহিদুল ইসলাম (৩০) সকাল ৭টার দিকে ফোন করে জানান, সিরিয়া রুমের দরজা খুলছে না। সংবাদ পেয়ে তারা বোনের বাড়িতে গিয়ে সিরিয়ার নিথর দেহ দেখতে পান। হালিম বলেন, শহিদুল ইসলামের সাথে প্রায় ৬ বছর পূর্বে শিরিয়ার বিয়ে হয়। তাদের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। অপরদিকে সিরিয়া বেগমের স্বামীর বাড়ীর লোকজন জানিয়েছেন, সে মানসিক রোগে ভোগছিল। মানসিক রোগের কারনে স্বামীর অগোচরে পাশের রুমে গিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে।
জানা যায়, কানাইঘাট সদর ইউপির গোসাইনপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সালাম মাস্টারের পুত্র শহিদ আহমদের (৩২) স্ত্রী সিরিয়া বেগম তার ৪ বছরের শিশু পুত্র সোহরাব ও ১৮ মাসের পুত্র মেহরাব হোসেনকে নিয়ে গত বুধবার রাত ১১টার দিকে রাতের খাবার শেষে শয়ন কক্ষে শুয়ে পড়েন। রাত একপর্যায়ে ২টার সময় ঘুম থেকে জেগে উঠে স্বামী শহিদুল ইসলাম স্ত্রীকে বিছানায় না পেয়ে ডাকা ডাকি করে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে স্ত্রী একই কক্ষের পার্শ্ববর্তী অন্য একটি রুমে শুয়ে রয়েছে মনে করে শহিদ আহমদ গুমিয়ে পড়েন। পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে শহিদ আহমদ ও বাড়ীর লোকজন সিরিয়া বেগমকে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে কানাইঘাট থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ সকাল ১১টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিতর থেকে সিটকিনি লাগানো কাঠের দরজা ভেঙ্গে ঘরের কক্ষের তীরের সাথে ওড়না পেচানো সিরিয়া বেগমের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। লাশ উদ্ধারকারী থানার এস.আই রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, এব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টের পর সিরিয়া বেগম আত্মহত্যা না তাকে হত্যা করা হয়েছে তা জানা যাবে।