সোমবার ● ৩ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটি শহরের বিদ্যুত্ সমস্যা : সঞ্চালন লাইনের সংস্কার না হলে বিদ্যুত্ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়
রাঙামাটি শহরের বিদ্যুত্ সমস্যা : সঞ্চালন লাইনের সংস্কার না হলে বিদ্যুত্ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (১৮ আশ্বিন ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৯.১৫মি.) রাঙামাটি শহরে সাম্প্রতিক সময়ে বিদ্যুতের সমস্যা কখন বিদ্যুত্ আসে আবার কখন বিদ্যুত্ চলে যায় বুঝাই মসুকিল, যাকে বলা হয় বিদ্যুতের ভেলকি বাজি এতে অতিষ্ঠ রাঙামাটি শহরবাসী৷ সারাদিনে বিদ্যুত্ কতবার যে আসে আর কতবার যায় তার হিসাব রাখতে পারছেনা বিদ্যুত্ বিভাগও৷ দিনে একবার বিদ্যুত্ আসলে থাকে ২০মিনিট আর চলে গেলে আসার নাম গন্ধ নেই৷ বিদ্যুতের এমন ভেলকি বাজির কারণে শহরবাসী পোহাতে হচ্ছে বিভিন্ন সমস্যা৷ বিশেষ ভাবে ক্ষতি হচ্ছে স্কুল কলেজের পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের লেখা পড়ায়৷ তাছাড়া শহরের লোকজনের প্রায় ৮০ ভাগ কার্যাদি প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ায় ব্যবসা বাণিজ্য ও অন্যান্য কাজে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে৷ বিরুপ প্রতিক্রিয়া হচ্ছে সাধারন মানুষের সাধারন জীবন যাপনেও৷
রাঙামাটি শহরে বিদ্যুতের এমন চরম অবস্থার কারন কি, কিভাবে এমন অবস্থা থেকে মুক্তি পাবে রাঙামাটির জনগন এসব বিষয়ে রাঙামাটি বিদ্যুত্ উন্নয়ন বোর্ডের বিদ্যুত্ বিতরন ও বিপনন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ কান্তি মজুমদার বলেন, আসলে রাঙামাটি বিদ্যুতের যে চাহিদা সে তুলনায় আমাদের সঞ্চালন লাইনের ধারন ক্ষমতার স্বল্পতার কারণে বিদ্যুত্ চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুত্ সরবরাহ করতে পারিনা৷ যার কারনে এলাকা ভিত্তিক আমাদের পিক আওয়ারে লোড শেডিং করা লাগে৷ রাঙামাটি শহরে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুত্ কম সরবরাহ সমস্যা এই সঞ্চালন লাইনের সংস্কার বা ধারন ক্ষমতা না বাড়লে সমস্যার আশু সমাধান সম্ভব নয়৷
সে কারনে বর্তমানে চন্দ্রঘোনা থেকে বড়ইছড়ি পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইনের ধারন ক্ষমতা বাড়ানোর কাজ করা হয়েছে৷ ৪ কি.মি লাইনের কাজ চলছে, বাকী সঞ্চালন লাইনের কাজ শুরু হবে৷ সঞ্চালন লাইনের কাজ শেষ হলে আশা করি রাঙামাটি শহরে বিদ্যুতের এই সমস্যা আর থাকবেনা৷
বর্তমানে রাঙামাটিতে চাহিদা প্রায় ১৪ মেঘাওয়াট৷ আমাদের সঞ্চালন লাইনের ধারন ক্ষমতা সর্বোচ্চ মাত্র ১০ মেঘাওয়াট৷
তবে বর্তমানে বিদ্যুত্ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমরা যদি সাস্রয়ী হই তাহলে লোড সেডিং এর মাত্রা অনেকটা কমে যাবে, বর্তমান যে সঞ্চালন ক্ষমতা রয়েছে তাতেই সহনীয় পর্যায়ে থাকবে৷
বিশেষ করে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বিদ্যুতের চাহিদা বেশী থাকে৷
বিভিন্ন মুরগীর খামার, ফ্যান, এসি, ফ্রিজ, রাইস কুকার, কারী কুকার, ওভেন, পানির মোটর, কার্পেন্টারের দোকান গুলিতে উচ্চমাত্রার মেশিন চালানো,দিনে ওয়েল্ডিংয়ের দোকানে ইত্যাদিতে বিদ্যুত্ অধিক খরচ হয়৷
এসব ব্যবহারে কিছুটা সতর্ক হলে বিদ্যুতের সমস্যা অনেকটা কমে যাবে বলে মনে করেন নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ কান্তি মজুমদার৷