বৃহস্পতিবার ● ৬ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » করোনা আপডেট » বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিতরণের অভিযোগ
বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিতরণের অভিযোগ
বিশ্বনাথ ( সিলেট ) প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগত রোগীদের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিতরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে ৷ ওষুধের গায়ে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ রোগীদের অভিভাবকদের কাছে ধরা পড়লে নিরবে সমাধান করে দেন কর্মকর্তা৷ সেই সাথে কমপ্লেক্সে আগত রোগীদের চিকিস্যা অবহেলারও অভিযোগ ওঠেছে ৷ সঠিক চিকিত্স্যা না পেয়ে অভিভাবকরা রোগীদের নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন ৷ তবে কর্তব্যরত ডাক্তার বলছেন তাদের সাধ্য অনুযায়ি রোগীদের চিকিত্স্যা দিচ্ছেন ৷
এক শিশু রোগীর অভিভাবক আব্দুল জলিল জানান, তার বাড়ি কমপ্লেক্সে পাশ্ববর্তি কাদিপুর গ্রামে ৷ গত মঙ্গলবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ‘রাফি’ নামের তার ৬বছরের শিশু পুত্রকে নিয়ে চিকিত্স্যার জন্য যান ৷ ডাক্তার পরিক্ষা করে স্লীপে একটি সিরাপ লিখেন৷ ওই স্লীপ নিয়ে ওষুধ বিতরণ কৰে গেলে সেখান থেকে একটি সিরাপ তার হাতে দেয়া হয়৷ ওই সিরাপটি আব্দুল জলিল বাড়িতে নিয়ে দেখতে পারেন প্রায় তিন মাস পূর্বে এই সিরাপের মেয়াদ শেষ হয়েছে৷ ৫ অক্টোবর বুধবার ওই মেয়াদোত্তীর্ণ সিরাপটি তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে নিয়ে গেলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সিরাপ রেখে তাকে বিদায় করে দেন৷ তেমনি করে আজিজনগর গ্রামের লোকমান মিয়া চিকিত্স্যার জন্য তার বাতিজাকে নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান ৷ একইভাবে ডাক্তার পরিক্ষা করে মেয়াদোত্তীর্ণ একটি এমোক্সোসলিন সিরাপ দেন ৷ তার কাছ থেকেও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সিরাপটি রেখে দেন৷ তবে সন্তুষজনক কোনো জবাব দেননি ৷
এছাড়াও বুধবার বিকেল আড়াইটার সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে দেখা যায় সু চিকিত্স্যা না পেয়ে একজন মহিলা তার শিশুপুত্রকে নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন ৷ তিনি উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের রুনা বেগম (৩০)৷ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেটের সামনে তার সাথে কথা হলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ৷ তিনি বলেন, গত রোববার তার শিশুপুত্র মাহিন (৫)কে নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন ৷ ভর্তির পর থেকে সময় মতো কোনো ডাক্তার পাওয়া যায়না ৷ একদিন একজন ডাক্তার তার ছেলের জন্য ওষুধ লিখেছেন ৷ কিন্তু অপর আরেকজন ডাক্তার গিয়ে বলেন ওই ওষুধ তার ছেলের রোগের জন্য নয় ৷ তাই তিনি এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিত্স্যা সেবায় আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ও সঠিক চিকিত্স্যা না পেয়ে চলে যাচ্ছেন বলে দুঃখ প্রকাশ করেন ৷
এব্যপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে কর্মকর্তা ডাক্তার বিভাষ চন্দ্র মানিকে পাওয়া যায়নি ৷