শুক্রবার ● ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » কক্সবাজার » সমুদ্র উপকূলে ৪৯৩ রুম বিশিষ্ট ৫ তারকা হোটেলর অগ্রযাত্রা
সমুদ্র উপকূলে ৪৯৩ রুম বিশিষ্ট ৫ তারকা হোটেলর অগ্রযাত্রা
গফুর মিয়া চৌধুরী, উখিয়া::দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ হোটেল রয়েল টিউলিপ সী-পার্ল বীচ-রিসোর্ট এন্ড স্পা উখিয়ার ইনানী সমুদ্র উপকূলের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে। আর্ন্তজাতিক মানের ৫ তারকা হোটেল এ প্রথম কক্সবাজারে নির্মিত হওয়ায় পর্যটন শিল্পকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেল। বেসরকারী উদ্যোগে ১৫ একর জমির উপর ৫শ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে বেড়াতে আসা দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্র রুপান্তরের পাশাপাশি আর্ন্তজাতিক মানের অবকাশ যাপনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ১৭ সেপ্টেম্বর বালুকাময়, পাথর ও সবুজ পাহাড় বেষ্ঠিত সাগর কন্যা খ্যাত ইনানীতে আর্ন্তজাতিক মানের ৫ তারকা হোটেল রয়েল টিউলিপ সী-পার্ল বীচ-রিসোর্ট বনার্ঢ্য আয়োজনে আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে এ তারকা হোটেল সী-পার্লের উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। সী-পার্ল রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুল হক শামিমের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত এ বিশেষ জমকাঁলো অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মীর্জা আজম ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান (অব:) লে: কর্ণেল মো: ফারুক খাঁন। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোজাম্মেল হক খাঁন, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: ফরিদ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নাঈম নিজাম, প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ কামাল খাঁন চৌধুরী, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আক্তারুজ্জমান খাঁন কবির, সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি। বক্তব্য রাখেন ভারতের গোল্ডেন টিউলেপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং দক্ষিণ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিমল জে সিং, কক্সবাজারের (ভারপ্রাপ্ত) জেলা প্রশাসক অনুপম সাহা, পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ, হোটেল সী-পার্লের সি.ই.ও এইচ.এম মকবুল হোসেন।
প্রধান অতিথি শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে শিল্প সমৃদ্ধ আয়ের এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা পর্যটন শিল্প বিকাশের প্রতি বিশেষ গরুত্ব দিচ্ছি। তাই জাতীয় শিল্পনীতি ২০১০ এ পর্যটন শিল্পকে অগ্রাধিকার শিল্প খাতের তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, পর্যটন ব্যবসাকে এখন শিল্প হিসাবে ঘোষনা করা হয়েছে। বর্তমান সরকার কক্সবাজারে আর্ন্তজাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে মহা পরিকল্পনা গ্রহন করেছে। টেকসই পর্যটন শিল্প খাত গড়ে তুলতে ২০১৫ সালের জাতীয় শিল্পনীতিতেও এধরনের নীতি সহয়তা প্রধানের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কক্সবাজার বিমান বন্দরকে আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরের কাজ শুরু করেছে। কক্সবাজার-টেকনাফ ৫৬ কিলোমিটার মেরিণ ড্রাইভের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম থেকে উখিয়া পর্যন্ত রেল লাইন স্থাপন, ১২হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সাবরাংয়ে এক্সক্লুসিভ টুরিজম করার উদ্যোগ নিয়েছে। ইনানীতে গড়ে উঠা আর্ন্তজাতিক মানের ৫ তারকা হোটেল রয়েল টিউলিপ সী-পার্ল রির্সোট নি:সন্দহে কক্সবাজারকে বিশ্বের দরবারে পরিচিত করে তুলবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ পৌর মেয়র ইকরামুল হক টিটু, কক্সবাজার জেলা পরিষদ প্রশাসক মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট একে.এম আহমদ হোছাইন, সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত সিকদার, কক্সবাজার পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, উখিয়া আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী প্রমূখ।
উল্লেখ্য যে, ৪৯৩ টি রুম বিশিষ্ট রয়েল টিউলিপ বীচ-রিসোর্ট এন্ড স্পা সাউথ এশিয়ার সর্ববৃহৎ হোটেল। ৫ লক্ষ স্কয়ার ফুট এরিয়ার ৫ তারকা এ হোটেলটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক ফিটনেস সেন্টার, ২টি বৃহৎ সুইমিং পুল এমপিথিয়েটার, থ্রীডি গলফ, নানা ধরনের ইনডোর ও আউটডোরে বিনোদন ব্যবস্থা ও বাংলাদেশের সর্বাধুনিক ওয়াটার পার্ক।