শনিবার ● ৮ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসের সেফটি ট্যাংকির ভিতরে সন্দেহজনক বস্তাবন্দি বস্তু : দুর্গন্ধে এলাকা ছেঁয়ে গেছে
রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসের সেফটি ট্যাংকির ভিতরে সন্দেহজনক বস্তাবন্দি বস্তু : দুর্গন্ধে এলাকা ছেঁয়ে গেছে
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (২৩ আশ্বিন ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৩৪মি.) রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল এলাকার হাসপাতালের সীমানা প্রাচীরের ভিতরে নবমির্মিত রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসের জন্য নির্মিত নতুন সেফটি ট্যাংকির ভিতরে বস্তাবন্দি একটি বস্তুতে দুর্গন্ধে পুরো এলাকা ছেঁয়ে গেছে৷
৮ অক্টোবর শনিবার বিকাল ৫টার দিকে সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম অফিসে সংবাদ প্রকাশের কাজ করার সময় অফিসে কর্মরত সাংবাদিকরা বিশ্রি ধরনের দুর্গন্ধ পায়, অফিসের ভিতরে বাইরে খোঁজাখুজি করার পর এক পর্যায়ে অফিস থেকে ১’শ গজ দূরে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসের জন্য নির্মিত নতুন সেফটি ট্যাংকির ভিতরে বস্তাবন্দি একটি বস্তুু দেখা যায়৷ সেফটি ট্যাংকির মুখে মাছি ভনভন করছে৷ বিষয়টি সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম এর পক্ষ থেকে জানানো হলে রাঙামাটি কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, যেহেতু বস্তাবন্দি বস্তুটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সীমানা প্রাচিরের ভিতরে তাই হাসপাতালের কর্মচারী দিয়ে বস্তা খুলে দেখে যদি পুলিশ কেইস হয় তাহলে আমাকে ফোন করে জানালে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে দিব৷
বিষয়টি রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও জেলা সিভিল স্নেহ কান্তি চাকমাকে জানালে তিনি বলেন, বস্তাবন্দি বস্তুটি আসলে কি সেটি উদ্ধার করে যাচাই করার জন্য আমি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিত্সক (আরএমও) মংক্যাচিং কে বলে দিচ্ছি, এছাড়া এখন যেহেতু রাত হয়ে গেছে তাই আমি নিজে আগামী কাল সকালে দেখবো৷
বস্তাবন্দি বস্তুটির দুর্গন্ধের কারণে ঠিকাদারের জানালা ফিটিংস এর শ্রমিকরাও কাজ ফেলে চলে গেছে৷
রাঙামাটি শহরে নবমির্মিত রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসের জন্য নির্মিত নতুন সেফটি ট্যাংকির গণপুর্ত বিভাগের ঠিকাদার ট্যাংকির মূখ খোলা অবস্থায় রাখার কারণে কে বা কারা বস্তাবন্দি করে সন্দেহ জনক বস্তুটি ফেলার সুযোগ পেয়েছে৷ রাঙামাটি সদর হাসপাতাল এলাকার জনৈক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম’কে বলেন, হাসপাতালে অনেক প্রসুতি রোগী অনেক সময় মৃত বাচ্চা প্রসব করেন, হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় ও আয়াদের দিয়ে এসব মৃত বাচ্চা অপসারন করানো হয়, এরা দূরে কোথাও অপসারন না করে হাসপাতাল প্রাচিরের ভিতরে যেখানে সেখানে হালকা মাটি দিয়ে পুতে রাখে৷ ইতিপুর্বে এমন ধরনের বাচ্চার মৃতদেহ ও নাড়ীভুড়ি কাকপক্ষী টানাহেচড়া করতে দেখা গেছে, হয়তো সেফটি ট্যাংকির ভিতরে এমন ধরনের বস্তু বস্তাবন্দি করে ফেলে দেওয়া হয়েছে৷ বস্তাটি মুখবন্দি হওয়ায় এলাকাবাসী বিষয়টি পুলিশ কেইস বলে সন্দেহ করছে৷
বস্তাবন্দি সন্দেহ জনক বস্তু থেকে বের হওয়া দুর্গন্ধে এলাকার পরিবেশ মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে৷ এলাকাবাসী বস্তুটি নিয়ে উত্কন্ঠায় রয়েছে৷