শিরোনাম:
●   পার্বতীপুর রেলওয়ে ইর্য়াডের আম গাছে যুবকের আত্মহত্যা ●   রংধনু ক্লাবের কার্যকরী পরিষদ গঠিত ●   কাউখালী তাহেরিয়া রশিদা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সভা ●   পাকুন্দিয়ায় ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ গঠিত ●   বৈরী আবহাওয়ায় ও শীতের তীব্রতায় বাড়ছে কৃষকের দুশ্চিন্তা ●   কোন হটকারিতায় গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবেনা ●   তরফভাইখাঁ সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   মিরসরাইয়ে শীতার্তের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ●   লংগদু এস এস সি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরন ●   ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৫ এর মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন সম্ভব ●   হালদা থেকে বিপন্ন গাঙ্গেয় প্রজাতির মৃত ডলফিন উদ্ধার ●   খাগড়াছড়ির আলুটিলায় পর্যটকবাহী বাস উল্টে আহত-২০ ●   পানছড়িতে লোগাং জোন এর অনুদান সামগ্রী প্রদান ●   আত্রাইয়ে কুলি-বেদে সম্প্রদায়ের মাঝে জেলা প্রশাসকের কম্বল বিতরণ ●   চুয়েটে স্থাপত্য বিভাগের ১ম জাতীয় কনফারেন্স শুরু ●   বিজিবির অভিযানে খাগড়াছড়িতে ১২ অনুপ্রবেশকারী আটক ●   ঈশ্বরগঞ্জে জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত ●   কুষ্টিয়ায় বালুঘাট দখল নিতে তাণ্ডব চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ●   রাউজানে বিকাশ প্রতারকের ফাঁদে নারী উদ্যোক্তা তানিয়া ●   যোবায়ের-সাদপন্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ইজতেমা মাঠ : নিহত ৩ ●   মিরসরাইয়ে মধ্য তালবাড়ীয়া স্পোর্টিং ক্লাবের কমিটি গঠন ●   জিয়া কিংবা শেখ মুজিব নয়; জনগণই মুক্তিযুদ্ধের মূল নায়ক : টিপু ●   নবীগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় কলেজ ছাত্রের প্রাণহানি ●   জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এর নেতৃত্বে থাকবেন ড. ইউনূস ও আলী রীয়াজ ●   রেডব্রিজ কমিউনিটি ট্রাস্ট ইউকে বিজয় দিবস উদযাপন ●   ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাবের নির্বাচন : সভাপতি আউয়াল, সম্পাদক আতাউর ●   কাউখালীতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন ●   দীপংকর তালুকদার এর অবৈধ সম্পদের তদন্তে নেমেছে দুদক ●   ঈশ্বরগঞ্জে বিজয় দিবস পালিত
রাঙামাটি, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
রবিবার ● ৯ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » অদ্ভুত জঙ্গি আতঙ্কে বাংলাদেশ
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » অদ্ভুত জঙ্গি আতঙ্কে বাংলাদেশ
রবিবার ● ৯ অক্টোবর ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

অদ্ভুত জঙ্গি আতঙ্কে বাংলাদেশ

---সিরাজী এম আর মোস্তাক :: জঙ্গি কি অদ্ভুত হয়? বাংলাদেশে তাই হয়েছে৷ দেশের সর্বত্র জঙ্গি বিরোধী কর্মসূচি পালিত হচ্ছে৷ যেন জঙ্গি এক মহামারি৷ ভারত উপ-মহাদেশের কয়েকটি দেশ ছাড়া পৃথিবীর কোথাও জঙ্গি নেই৷ সবাই চেনে টেরোরিষ্ট, তালেবান, আলকায়েদা, আই এস, মিলিট্যান্ট ইত্যাদি৷ ‘জঙ্গি’ ফারসি শব্দ৷ মানে যোদ্ধা৷ যিনি জঙ্গে লড়াই করেন, তিনি জঙ্গি৷ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে এদেশ ছিল জঙ্গ বা যুদ্ধক্ষেত্র৷ পাক হানাদার বাহিনী এদেশের সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালিকে জঙ্গি নাম দিয়েছিল৷ তারা সবাইকে জঙ্গি হিসেবে সন্দেহ করতো৷ তা থেকে কৃষক, শ্রমিক এমনকি নারীদেরও রেহাই ছিলনা৷ হানাদাররা নির্মমভাবে ত্রিশ লাখ জঙ্গি হত্যা ও দুই লাখ নারীর সম্বম কেড়েছিল৷ বর্তমানে প্রচলিত দুই লাখ মুক্তিযোদ্ধা তালিকা ও কোটায় উক্ত ত্রিশ লাখ জঙ্গি শহীদেরা নেই৷ তারা মুক্তিযোদ্ধা নয়৷ তারা ছিল অদ্ভুত জঙ্গি৷ স্বাধীনতার প্রায় অর্ধশত বছর পর বাংলাদেশে আবারো জঙ্গি হত্যা শুরু হয়েছে৷ এরা কেমন অদ্ভুত জঙ্গি, আসুন দেখা যাক৷
এটি লেখার সময় ঘটল অদ্ভুত জঙ্গি ঘটনা৷ দৈনিক যুগানত্মর ই-পত্রিকার উদ্ধৃতি দ্রষ্টব্য- “সাভার মডেল থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাহাবুবুর রহমান বলেন, শুক্রবার গভীর রাতে যুবদল নেতা শাহা আলম নয়নকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নিজ বাসা থেকে আটক করে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস, আই) তম্ময় ও আহসান৷ পরে শনিবার ভোর রাতে সাভারের বিরুলিয়ায় কৃষিবিদ নার্সারির পাশে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে আহত হন তিনি৷ পরে পুলিশ তাকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নঙ্ েভর্তি করলে কর্তব্যরত পুলিশ তাকে মৃত ঘোষণা করেন৷ ঘটনাস্থল থেকে একটি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে৷” (দৈনিক যুগান্তর ই-পত্রিকা. তারিখ-০১/১০/২০১৬ইং)৷
উলেস্নখিত ঘটনায় স্পষ্ট হয় যে, পুলিশ আটক শাহা আলম নয়নকে নিয়ে অভিযানে গিয়ে একটি বন্দুকযুদ্ধ মোকাবেলা করেন৷ যাদের সাথে পুলিশের গোলাগুলি হয়, তাদের কেউই আহত, নিহত বা আটক হয়নি৷ উল্টো পুলিশের নিরাপত্তায় থাকা ব্যক্তিটি প্রাণ হারিয়েছে৷ এতে প্রমাণ হয় যে, দেশে অনেক শক্তিশালী জঙ্গি আছে৷ তারা পুলিশকে হটিয়ে নিরাপত্তায় থাকা ব্যক্তিকে হত্যা করতে পারে৷ মাদারিপুরে নিহত জঙ্গি ফাহিম ঠিক এভাবেই রিমান্ডে ও হাতকড়া পরা অবস্থায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রাণ হারায়৷ পুলিশ বাহিনী প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসী জঙ্গিগোষ্ঠির সাথে বন্দুকযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন আর একে একে অসংখ্য অসহায় বন্দি নাগরিকের প্রাণ হারাচ্ছেন৷ যেমন, দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় “আইন ও সালিশ কেন্দ্রের” প্রতিবেদনে উল্লেখ হয়েছে যে, মাত্র নয় মাসে হেফাজতে ও ক্রসফায়ারে নিহত ১৫০ জন৷ (দৈনিক প্রথম আলো, তারিখ-০১/১০/২০১৬ ইং, পৃষ্ঠা-৪)৷ আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে অবশ্যই এর দায় বহন করতে হবে৷
গত ১ জুলাই, ২০১৬ তারিখে গুলশান হলি আর্টিজান রেস্তোরায় একইরকম জঙ্গি হামলা হয়েছিল৷ তাতে দুজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ আটাশজন নিহত ও অর্ধশত আহত হয়েছিল৷ নিহতদের বেশিরভাগ ছিল বিদেশি নাগরিক৷ তাই বিষয়টি বিশ্বব্যাপী প্রচার হয়েছিল৷ মাত্র ৬/৮ জঙ্গির কাছে দেশের লৰাধিক প্রশাসন লান্থিত হয়েছিল৷ ঘটনা ছিল এরকম- জঙ্গিরা আক্রমণের পরপরই পুলিশ পাল্টা অভিযান চালায়৷ জঙ্গিদের আক্রমণে পুলিশবাহিনী হতাহতের শিকার হয় ও পিছু হটে৷ পরে পুলিশ ও বিজিবি সমন্বয়ে শক্ত পাহাড়া গড়ে তোলে৷ তারা মিডিয়া কর্মীদেরকে তথ্য সংগ্রহে নিষেধাজ্ঞা দেয়৷ তারপর সম্মিলিত সামরিক অভিযানের লক্ষ সকাল পর্যন্ত বিরতি ঘোষণা করে৷ এসময় হোটেলের ভেতরে জঙ্গিরাও অদ্ভুত নিরবতা দেখায়৷ তারা নিরবে বিশজনকে কুপিয়ে হত্যা করে৷ অবশেষে জঙ্গিরা রক্তসিক্ত মারণাস্ত্র হাতে হোটেলের রক্তাক্ত মেঝেতে লাশের বিদঘুটে গন্ধেই নিসত্মব্ধ রাত কাটায়৷ পরদিন সকাল ৭.৪০-এ সামরিক অভিযান ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ড’ শুরু হলে, আবারো প্রতিরোধ গড়ে তোলে৷ ব্যাপক গোলাগুলি শেষে তারা সেনাবাহিনীর হাতে প্রাণ হারায়৷ সফল অপারেশন শেষে সেনাবাহিনী ছাবি্বশটি লাশ উদ্ধার করে৷ প্রশ্ন হচ্ছে, কথিত সম্বানত্ম ঘরের জঙ্গিরা দীর্ঘ আটঘন্টা মারণাস্ত্র নিয়ে বিদঘুটে পরিবেশে চুপটি মেরে থাকলো কি করে? জঙ্গিদের এমন অদ্ভুত আচরন কিভাবে সম্ভব?
পরদিন জঙ্গিদের ছবি প্রকাশ হয়৷ উল্লেখ হয় যে, তারা মাদ্রাসা-মক্তব বা ইসলাম পড়ুয়া নয়৷ তারা ইংরেজি মিডিয়াতে পড়ুয়া, সম্বানত্ম ঘরের সনত্মান৷ তারা বহু আগেই পরিবার থেকে নির্খোজ ছিল৷ অর্থাত্‍ তারা কি নিহত শাহা আলম নয়নের মতো আগেই আটক হয়েছিল? উক্ত ঘটনার পর দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়৷ সবাই জঙ্গি বিরোধী সমাবেশে যোগ দেয়৷ এমনকি বিএনপি-জামাতও জঙ্গিবিরোধী বুলি আওড়ায়৷ ফলাফল শুন্যই থেকে যায়৷ এখনও দেশের কেউ নিরাপদ নয়৷ আসলে এগুলো জঙ্গিবাদ নয়, অযথা আতঙ্ক সৃষ্টি করাই এর লৰ্য৷ এজন্য দরকার-
৭১ এর লাখো শহীদের পরিবার,
গর্জে ওঠো আরেক বার৷
এদেশ নয় কারো পিতার,
ষোল কোটি বাংলাদেশী সবার৷
তবেই ভয়-আতঙ্ক জঙ্গিবাদ,
হবেই হবে নিপাত৷

লেখক এ্যাডভোকেট, ঢাকা ৷
[email protected]





উপ সম্পাদকীয় এর আরও খবর

পার্বত্য চুক্তির ২৭ বছর : শান্তি চুক্তি পাহাড়ে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ পার্বত্য চুক্তির ২৭ বছর : শান্তি চুক্তি পাহাড়ে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ
একেএম মকছুদ আহমেদ এর সাংবাদিকতায় ৫৫ বছর :  গণমাধ্যমের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ, হামলা ও হুমকি বৈষম্যবিরোধী চেতনার পরিপন্থি একেএম মকছুদ আহমেদ এর সাংবাদিকতায় ৫৫ বছর : গণমাধ্যমের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ, হামলা ও হুমকি বৈষম্যবিরোধী চেতনার পরিপন্থি
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মৌলভীবাজারের পাঁচগাঁওয়ের দূর্গাপূজা ও কিছু কথা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মৌলভীবাজারের পাঁচগাঁওয়ের দূর্গাপূজা ও কিছু কথা
পার্বত্য চুক্তির ২৬ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ কি-কি বৈষম্যের স্বীকার তা নিয়ে একটি পর্যালোচনা পার্বত্য চুক্তির ২৬ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ কি-কি বৈষম্যের স্বীকার তা নিয়ে একটি পর্যালোচনা
আন্তর্বর্তীকালিন সরকার পাহাড়ের বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিলে নিতে হবে গভীর বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে আন্তর্বর্তীকালিন সরকার পাহাড়ের বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিলে নিতে হবে গভীর বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে
সবকিছু কেড়ে নিয়েছে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার আওয়ামীলীগ সবকিছু কেড়ে নিয়েছে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার আওয়ামীলীগ
রাঙামাটিতে ঐক্যবদ্ধ বড়ুয়া সমাজ গড়ে তোলার সম্ভবনার পথ দেখা দিয়েছে রাঙামাটিতে ঐক্যবদ্ধ বড়ুয়া সমাজ গড়ে তোলার সম্ভবনার পথ দেখা দিয়েছে
বর্তমান প্রেক্ষাপটে ১৯০০ সালের রেগুলেশান, (সংশোধিত) ১৯২০ আইনটি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পরিপন্থি নয় কি ? বর্তমান প্রেক্ষাপটে ১৯০০ সালের রেগুলেশান, (সংশোধিত) ১৯২০ আইনটি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পরিপন্থি নয় কি ?
আগামীতে  কারা দেশ চালাবে ? …সাইফুল হক আগামীতে কারা দেশ চালাবে ? …সাইফুল হক
সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)