সোমবার ● ১০ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » শিক্ষাখাতেও কালোবিড়াল
শিক্ষাখাতেও কালোবিড়াল
সিরাজী এম আর মোস্তাক :: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও এখন কালো বিড়ালের থাবায় পড়েছে৷ ৯ অক্টোবর, ২০১৬ তারিখে বেসরকারী স্কুল-কলেজে শিৰক বাছাই ফলাফলে তা স্পষ্ট হয়েছে৷ সরকারী তথ্যমতে, প্রায় আড়াই লাখ প্রার্থী পনের হাজার খালি পদের বিপরীতে সাড়ে চৌদ্দ লাখের মতো দরখাস্ত করেছিল৷ বিগত প্রথম নিবন্ধন থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত দেশে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক বেকার রয়েছে ৷ এ থেকে বর্তমান বাছাই প্রক্রিয়ায় সম্পুর্ণরূপে জালিয়াতি হয়েছে৷ জেলাওয়ারী ফলাফল বিশ্লোষণে দেখা গেছে, বেশীরভাগ পদে হিন্দু ও নারী প্রার্থীদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে৷ নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে এটি কিভাবে সম্ভব, তা কারো বোধগম্য নয়৷ এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কোটাও ব্যাপক প্রাধান্য পেয়েছে৷ ফলে একই প্রার্থী তথা একই নিবন্ধনধারী বহু প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্বাচিত হয়েছে৷ আর যথেষ্ট মেধা ও যোগ্যতা সত্ত্বেও হাজার হাজার প্রার্থী বঞ্চিত হয়েছে৷ বঞ্চিত প্রার্থীরা কালোবিড়ালের নিকৃষ্ট থাবায় অস্ফুট স্বরে আর্তনাদ করছে৷ এ কষ্ট কেউ দেখেনা৷
মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ দেশের নামকরা কালোবিড়াল বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে শিক্ষক নিবন্ধন কমিটি তথা এনটিআরসিএ-র কো-চেয়ারম্যান করেছেন৷ এ সুযোগে তিনি তার স্বগোত্রের প্রাধান্য বহাল রেখে অন্যদের বঞ্চিত করেছেন৷ শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় তাতে নিরবতা দেখিয়ে নিজেও কালোবিড়ালের দলভুক্ত হয়েছেন৷ এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চারদিকে শুধু কালোবিড়ালের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে৷ এদের হাত থেকে শিৰাখাতকে রৰা করতে হবে৷ তাই আসুন সমস্বরে বলি-
হটাও কালোবিড়াল, বাঁচাও দেশ
লাখো শহীদের বাংলাদেশ৷
শিক্ষা-শান্তি-প্রগতি,
চলবেনা কোনো জালিয়াতি৷
সবাই মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম, সবারই দেশ,
ত্রিশ লাখ শহীদের বাংলাদেশ৷
ষোল কোটি নাগরিক সবারই রয়েছে ভাগ,
মুুক্তিযোদ্ধা কোটা নয় শুধু দুই লাখ৷
এ্যাডভোকেট, ঢাকা৷
[email protected]