সোমবার ● ১০ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » বিবিধ »
সিলেট জেলা প্রতিনিধি :: শিশুশ্রম করানো চুড়ান্ত অমানবিক কাজ। শিশুশ্রম আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তবু বাড়ছে শিশুশ্রম। গরীব পরিবারের শিশুরা জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন বাসাবাড়ী, রেষ্টুরেন্ট ও কলকারখানায় ঝুকিপুর্ণ কাজ করছে জীবিকা নির্বাহের জন্য। রেষ্টুরেন্ট মালিক, বাসাবাড়ীর গৃহকর্তা ও মহাজনেরা সামান্য কয়টা টাকা বাচাতে শিশুদের দিয়ে দোকান, রেস্টুরেন্ট এর অমানবিক পরিশ্রম করান। তাও তারা ঠিক মত খাবার পায়না। লাথি গুতা নিত্য ব্যাপার। এরকম অবস্থা সিলেট শহরের বিভিন্ন রেষ্টুরেন্ট, বাসাবাড়ী, কারখানাসহ বিভিন্ন বিপনী বিতানে। সিলেটের লালবাজার, মহাজনপট্টি, সোবহানীঘাট কাচাবাজার, গোলাপগঞ্জ বাজার, জকিগঞ্জ-কালীগঞ্জ বাজার, সিলেটের শিবগঞ্জ বাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখাযায় একই চিত্র। তার জন্য কোন তথ্যসুত্র বা প্রমানের প্রয়োজন নাই। কেননা সিলেট জেলার যে কোন রেষ্টুরেন্টে গেলেই শিশুশ্রমের এই দৃশ্য চোখে পড়ে। কিন্তু দেখার যেন কেউ নেই। আর ফেঞ্চুগঞ্জের অবস্থাতো ভয়াবহ। ফেঞ্চুগঞ্জ পশ্চিম বাজার, চানপুর,সেনের বাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ পুর্ববাজার,সর্বত্রই শিশুশ্রম অহরহ। মাছ বাজার থেকে রেস্টুরেন্ট, মুদিদোকান, সবজি দোকান সব খানেই শিশুশ্রমিক মিলে। এরা দোকানে মালের ওজন দেওয়া, ঝাড়ু দেওয়া চা পান আনা থেকে মহাজনের শরীর মালিশ পর্যন্ত সব করে। তাও মিলে না ছুটি বা ভালো বেতন। আর কাজে সামান্য ভুল হলেতো চড় থাপ্পড় আছেই। কয়েক জন শিশু শ্রমিক বাবু, সায়েম,কাজল,রুহুল আমিন বলেন, দোকানের মাল ওজন দেওয়া থেকে ট্রাক থেকে মাল খালাসের কাজ করি বিনিময়ে দুবেলা ভাত খাই, তাও মহাজনের উচ্ছিষ্ট খাবার। সায়েম বলে রেস্টুরেন্টে কাজ করি ছয় মাস কিন্তু এক বেলাও গোস্ত দিয়া খাইতে পারি নাই। মহিলা রাখলে মহাজনের টেকা বেশি যায় তাই আমরাই পিয়াজ রসুন কাটি আবার কাস্টমার সামলাই।
এ ব্যাপারে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সৌমিত্র কর্মকারকে অবহিত করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি বে-আইনি। ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। এবং তাদের নির্দেশক্রমে ব্যবস্থাগ্রহন করা হবে।