বৃহস্পতিবার ● ১৩ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহে বাঁশের সাকোয় সাঞ্চায় নদীর সেতুতে পারাপার
ঝিনাইদহে বাঁশের সাকোয় সাঞ্চায় নদীর সেতুতে পারাপার
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার টিকারী গ্রামে সাঞ্চায় নদীর উপর নির্মিত সেতুটি ভেঙ্গে পড়ার পর এখন বাঁশের খুটি লাগানো হয়েছে৷ কয়েক’শ বাঁশ দিয়ে ভাঙ্গা সেতুর অংশে চরাট বিছানো হয়েছে৷ আর সেই বাঁশের চরাটের উপর দিয়ে প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন৷
এলাকার কিছু উদ্যোগী তরুন প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা খরচ করে পাঁচশটি বাঁশ দিয়ে সেতু দিয়ে কোন রকম চলাচলের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন৷
এলাকাবাসি জানায়, ৫ মাস আগে সেতুটি ভেঙে গেছে৷ কিন্তু প্রশাসনের এদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই৷ সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ঝিনাইদহের নারিকেলবাড়িয়া-টিকারী সড়কের টিকারী বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে সাঞ্চায় নদী৷
এই নদীর উপর বাজারের কাছেই ১৯৯৪ সালে নির্মিত হয় একটি সেতু৷ স্থানীয় এলজিইডি বিভাগ সেতুটি নির্মাণ করেন৷ এই সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করে ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলার জিতড়, ভবানীপুর, মিয়াকুন্ডু, কুশোবাড়িয়া, ধনঞ্জয়পুর, মুক্তারামপুর, মাড়ন্দি, নারিকেলবাড়িয়া, টিকারী, দহখোলা, দিঘিরপাড়, লক্ষ্মীপুর, মালঞ্চি, ব্যাংশ, বেরুইলসহ পাশ্ববর্তী ২০ গ্রামের মানুষ৷ ঝিনাইদহ জেলা শহর থেকে নারিকেলবাড়িয়া টিকারী হয়ে মাগুরা শহরে চলে গেছে এই রাসত্মাটি৷
ভৌগলিক কারণে তাই সেতুটি খুবই গুরুত্বপুর্ন৷ ফুরসন্ধি গ্রামের বাসিন্দা বিকাশ চন্দ্র জানান, গত ৬ জুন হঠাত্ করে সেতুর মাঝের অংশ ভেঙে পড়ে৷ ভেঙে পড়ার ৫ মাস আগে সেতুটির মাঝের অংশ কিছুটা নিচু অনুভব করেন তারা৷ এই অবস্থা দেখে স্থানীয় এলজিইডি অফিসে খবর দেন৷
খবর পেয়ে তারা আসেন এবং একটি সাইনবোর্ড দিয়ে যান “ভারী যানবাহন চলবে না”৷ সেই থেকে সেতু দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করতো না৷ মাঝে মধ্যে ভ্যান, নসিমন, করিমন, বাইসাইকেল চলাচল করতো৷
গত ৬ জুন হাঠাত্ করে সেতুটির মাঝের অংশ ধসে নিচে পড়ে যায়৷ এ সময় টিকারী গ্রামের সজিব হোসেন ও দুলাল মিয়া নামে দুই পথচারী আহত হন৷ পলাশ বিশ্বাস নামে এক যুবক জানান, সেতুটি ভেঙে পড়ার এক মাস পরও জনসাধারণের চলাচলের কোনো ব্যবস্থা করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ৷
সাধারণ মানুষের ১০/১২ কিলোমিটার ঘুরে আবার কেউ ঝুঁকি নিয়ে তালের ডিঙ্গায় পার হচ্ছিলেন সাঞ্চায় নদী৷ এ অবস্থায় এলাকার ছেলেরা টাকা তুলে ভাঙ্গা সেতুর অংশে বাঁশের চরাট দিয়ে মেরামত করেছে৷ তবে পানিতে বাঁশ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় রয়েছে তাদের৷ যে কারণে তারা দ্রুত নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি৷
বিষয়টি নিয়ে এলজিইডির ঝিনাইদহ নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মালেক জানান, অর্থ বরাদ্ধ ছাড়া কিছু করার থাকে না৷ আমরা বরাদ্দ আসার অপেক্ষায় আছি৷ বরাদ্দ পেলে সেতুটি নির্মান করা হবে৷ তবে কত নাগাদ সরকারী বরাদ্দ আসবে তা তিনি বলতে পারিন নি৷