শনিবার ● ১৫ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » হতদরিদ্র ৩টি পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলা
হতদরিদ্র ৩টি পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলা
সিলেট জেলা প্রতিনিধি :: (৩০ আশ্বিন ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় বেলা ১.০১মি.) সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ি ইউনিয়নের লাউয়েরকুনি মৌজার বলেশ্বর গ্রামে সংঘবদ্ধ চক্র সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে জেলা প্রশাসকের (ডিসির খতিয়ান) ভূমিতে বসবাসরত ভূমিহীন হতদরিদ্র ৩টি পরিবারের লোকজনদের হাত পা বেধে ঘরের ভিতরে অবরুদ্ধ রেখে ঘরবাড়ি ও তাদের রোপায়িত ফলদবৃক্ষসহ প্রায় সহস্রাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা কেটে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। সংঘবদ্ধ চক্রের সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়েছেন নারী, শিশুসহ ৩ জন। শুক্রবার স্থানীয় সচেতন লোকেরা আহতদের উদ্ধার করে গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। খবর পেয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ দেলওয়ার হোসেন তাৎক্ষনিক ভাবে এস আই মতিউর রহমানসহ পুলিশ সদস্যদের ঘটনাস্থলে পাঠান। স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, সরকারি খাস এসব ভূমিতে দীর্ঘদিন থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছেন ফারুক মিয়া ও সাইদ মিয়া গংরা। এই ভুমির বসবাসরতদের উচ্ছেদ করতে দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয় বলেশ্বর গ্রামের মুসা মিয়া, মুসা মিয়ার ছেলে কন্টাই মিয়া, ফয়সল, আঃ করিম, ইসলাম উদ্দীন, ছিফত উল্লাহ, শুকুর, হেলাল, আবুল, বাবুল, আজমত উল্লাহ, মাহমুদ আলীসহ কতিপয় সন্ত্রাসী জোর দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। ইতিপুর্বেও তারা এসব ভুমিহীন পরিবারের উপর হামলা, লুটপাট চালিয়েছে বলেও তথ্য রয়েছে।
তারা পুরুষ শুন্য বাড়িতে প্রবেশ করে বাড়িতে থাকা নারী শিশুদের অবরুদ্ধ করে রাখে সন্ত্রাসীরা। বাড়ির কর্তা ফারুক মিয়া আসলে তাকেও হাত-পা বেধে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে বেধে ফেলে। পাশের বাড়ির সাইদ হোসেনের ঘরেও আক্রমন করে হামলা কারিরা। সেখানেও নারী, শিশুদের অবরুদ্ধ করে রাখে তারা। এসময় সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা ৩টি বাড়ির রোপায়িত গাছ পালা কেটে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়। কড়ই, আম, জাম, কাঠাল, লিচু, নারিকেল, সুপারী, আমড়া, জলপাই, মেহগণি, জাম্বুরা, আতাফল, বড়ই, পেয়রা, বেলজিয়াম ও কলাসহ বিভিন্ন জাতের সহস্রাধিক ফলদ ও কাঠ শ্রেনীর গাছপালা কেটে ফেলে। এসময় তারা বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা লুটে নেয়। একই সাথে বসবাসরতদের পরিবার পরিজনদের নিয়ে দ্রুত অন্যত্র পালিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পক্ষ থেকে গোয়াইনঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে ডৌবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফ ইকবাল নেহাল জানান ঘটনাস্থলের বিরোধপূর্ণ ভূমিটি বলেশ্বর গ্রামের এলাকাবাসির উদ্যোগে ঘোড়াইল নামে একটি বাজার ছিলো। কালের বিবর্তনে সেই বাজারটি হারিয়ে যায়। এরই সুবাধে বসবাসকারীরা সে স্থানে ঘরবাড়ি নির্মান করে বসবাস শুরু করে। বর্তমানে ওই স্থানে এলাকাবাসি পুনরায় বাজার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন এবং বসবাস কারিদের অন্যত্র সরে যাওয়ার জন্য তাদের আত্মীয় স্বজনদের দায়িত্ব দেন। এব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ দেলওয়ার হোসেন জানান বিষয়টি অবহিত হয়ে তাৎক্ষনিক ফোর্স পাঠিয়েছি। এ ব্যাপারে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।