রবিবার ● ১৬ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » আজকের ছাত্ররাই দেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার : শিক্ষামন্ত্রী
আজকের ছাত্ররাই দেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার : শিক্ষামন্ত্রী
সিলেট জেলা প্রতিনিধি :: (১ কার্তিক ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় বেলা ১২.২৫ মি.) আজকের ছাত্ররা আগামীর সোনার বাংলার সৈনিক। আজ যে সব শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বের হচ্ছে তারাই আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার। তাই আমাদের এই ভবিষ্যৎ সামনের সারির সৈনিকদের উপযুক্ত করে গড়ে তোলতে হবে। উপযুক্ত করে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের প্রত্যেক অভিবাবকদের। কেননা, আমরা যে শিক্ষায় উচ্চ শিক্ষিত হচ্ছি তা বিশ্ব মানের নয়। আমাদের নতুন প্রজন্মকে বিশ্বমানের শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। যে শিক্ষা হবে গবেষনা, দক্ষতা, প্রযুক্তি ও আধুনিক । ইতি মধ্যে আধুনিক শিক্ষার প্রথম ধাপ আমরা অতিবাহিত করছি। যাকে আমরা ডিজিটালের ছোঁয়া বলতে পারি। আমার বিশ্বাস, এই প্রক্রিয়ায় এগিয়ে গেলে আমাদের ভিশন-২১ কেও আমরা হার মানাবো। আর গবেষনা, দক্ষতা, প্রযুক্তি ও আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হলে আমাদের এই ভবিষ্যৎ প্রজন্মরা আমাদের বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেত সক্ষম হবে।
শনিবার ১৫ অক্টোবর বিকালে গোলাপগঞ্জ উপজেলার হেতিমগঞ্জে বাংলাদেশ নর্থ ইষ্ট বিশ্ব বিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস এর ভিক্তি প্রস্তর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে উপজেলা পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় এটিই প্রথম। আমরা চাচ্ছি সবগুলো বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়কে ঢাকার বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য। যে কারনে একটি আইনের আয়তায় এনে প্রত্যেক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষকে স্থায়ী ক্যাম্পাস তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ইতি মধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস তৈরি করা হলেও অনেকরে স্থায়ী ক্যাম্পাস তৈরি হয়নি। আমরা আগেই বলে দিয়েছি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাস তৈরি করতে ব্যর্থ হলে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন বাতিল করা হবে। যদিও সকলে ভাববে গোলাপগঞ্জ উপজেলায় আমার নির্বাচনী এলাকা হওয়ায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে কিন্তু বাস্তবিক অর্থে এর প্রধান কারন ২টি। একটি হলো, বাংলাদেশ নর্থ ইষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ চৌধুরীর উপর আস্থা এবং ঢাকার বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সরিয়ে উপজেলা পর্যায়ে স্থানান্তরের পরীক্ষামূলক প্রমাণ।
তিনি আরো বলেন, একজন শিক্ষার্থী ১০% শিক্ষা লাভ করে তার ক্লাস থেকে বাকি ৯০ % শিক্ষা অর্জন করে ক্যাম্পাস থেকে। আমাদের ভবিষ্যৎ সন্তানদের আমরা প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে যা যা করা প্রয়োজন আমরা তাই করতে বদ্ধপরিকর। নতুন প্রজন্মের সন্তানদের মানবিক, সামাজিক ও দেশ প্রেমে উদ্ভুদ্ধ করে গড়ে তোলতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটার ক্যাম্পাস কোন ভাবেই মেনে নেওয়া হবেনা।
বাংলাদেশ নর্থ ইষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ নর্থ ইষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর আতিকুল হাই শিবলী।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. গোলাম শাহি আলম , শাহজালার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আমিনুল হক ভূইয়া, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার জামাল উদ্দিন আহমেদ, সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সফিকুর রহমান চৌধুরী, গোলাপগঞ্জ পৌর মেয়র সিরাজুল জব্বার চৌধুরী, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ- এর ট্রেজারার এ. এফ. মুজতাহিদ ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হয় শিক্ষার লেনদেন। যে লেনদেন হয়ে থাকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী-শিক্ষার্থী। যেখানে আন্তরিক একটা সম্পর্কের সৃষ্টি হয়ে থাকে। এই আন্তরিক সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরাতে ইতিমধ্যে একটি কুচক্রি মহল উঠেপড়ে লেগেছে। সেই কুচক্রি মহলদের হাত থেকে আমাদের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। সেই সাথে ঐ সব কুচক্রি মহলের শিক্ষায় নিজেদের আলোকিত শিক্ষা যাতে কলুষিত না হয় সেদিকে শিক্ষকদের পাশাপাশি সকল শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকতে হবে।