সোমবার ● ১৭ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে জান্নাত তিশা
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে জান্নাত তিশা
বিনোদন প্রতিবেদক :: ছোটবেলা থেকেই সবার কাছে নিজের সৌন্দর্য্যরে কথা শুনেই আসছিলেন তিনি। কিন্তু এই সৌন্দর্য্যকে ঘিরে তার কৈশোর পেরুনো সময়টা এতোটা আলো ঝলমলে আনন্দমুখর হয়ে উঠবে কখনো চিন্তাই করেননি জান্নাত তিশা।
তবে স্বপ্ন দেখতেন ছোটবেলা থেকেই।পর্দায় তাকে দেখবে মানুষ।সেই লক্ষ্য ছোটবেলা থেকেই গান,নাচ,অার অভিনয় শেখা। স্কুল ও কলেজের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্য্যক্রমে অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন পুরুষ্কার ও ঘরে তুলেছেন।
মীন রাশির এই জাতিক সদ্য কৈশোর পেরিয়েছেন। সদা হাস্যজ্জোল ও বিনয়ী জান্নাত তিশার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে জন্মস্থান ব্রাক্ষণবাড়িয়াতে। বাবা ব্যবসায়ী অার মা চাকুরীজীবী। দুই বোন অার এক ভাইয়ের মধ্যে সে সকলের ছোট। মাধ্যমিকে পড়েছেন ঢাকায়। গ্রামের অসহায় দুস্থ ও দরিদ্র সেবা বন্ঞ্চিতদের সেবা করার লক্ষ্য নিয়ে বর্তমানে চট্টগ্রামে চিকিৎসা বিজ্ঞানে অধ্যায়নরত।
জান্নাত তিশা’র মডেল হিসেবে মিডিয়াতে যাত্রা শুরু হয় ২০১৪ সালে। অনেকটা হুট করেই ডাক পান ঢাকা মডেল এজেন্সিতে।তার জন্য অবশ্যই কৃতঞ্জতা প্রকাশ করেন ঢাকা মডেল এজেন্সির নাভেদ অানজুম এর প্রতি। ফেসবুকের পরিচয়ের সুবাধে কিন্তু তার এই সুযোগ। ঢাকা মডেল এজেন্সিতে গ্রুমি করেছেন সালেহ রবি জন এর কাছে।মঞ্চে হাটার অফার থাকলেও ফটোস্যুটে অাগ্রহ বেশী জান্নাত তিশার। সালেহ রবি জনের কোরিওগ্রাফীতে ফ্যাশন হাউজ শৈল্পিক এর মডেল হয়ে তিনি সবার নজরে আসেন। এর পর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।লিটন দাশ লিটুর কাছেও গ্রুমিং করেছেন।এরই মধ্যে ফ্যাশন হাউস শৈল্পিক ছাড়াও ঢাকাস্থ শ্রীময়ী,নারৈ,উইংস ফ্যাশনের পোষাকের মডেল হয়েছেন।
এই প্রতিবেদকের সাথে সাক্ষাতকারে জান্নাক তিশা জানান, আমি হুট করেই মিডিয়াতে এসেছি ঠিকই,কিন্তু ছোটবেলা থেকেই অামাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে অামার মা নিলুফার ইয়াসমিন এবং শিক্ষক ও বড়ভাই খন্দকার মঈনুদ্দিন সুজন।তাদের কাছে অামি অাজীবন কৃতজ্ঞ।
এই মুহুর্তে নকশী টিভিতে অনুষ্টান উপস্থাপনার বিষয়ে কথা হচ্ছে।
তিশা বলেন, আমি সুযোগ পেলে ফ্যাশন মডেলিং-এর পাশাপাশি টেলিভিশন কমার্শিয়াল এবং বিভিন্ন প্রোডাক্টের মডেল হিসেবে কাজ করতে আগ্রহী। তবে মেঘ না চাইতে বৃষ্টির মতো স্বনামধন্য এক পরিচালক উনার অাসন্ন সিনেমার জন্য অামাকে নির্বাচন করেছেন।সামনে পরীক্ষা। তারপর ব্যাটেবলে মিলে গেলে অামি হয়তো ঘটা করে জানান দেবো সুখবরটা।
এ জন্য তিনি সবার কাছে দোয়া প্রত্যাশা করেন।