সোমবার ● ১৭ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডট কম :: (২ কার্তিক ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৯.১৮মি.) বিগত ১৭ সেপ্টেম্বর তারিখে সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডট কম এ “রাঙামাটি জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের বেহাল দশা” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের ৩য় প্যারার সংবাদটির প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাঙামাটি জেলা সিভিল সার্জন অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শাহজাহান মজুমদার।
প্রতিবাদ লিপিতে জানান,পূর্বে হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ড এবাদতখানা /মসজিদ হিসাবে ব্যবহৃত হত ৷ হাসপাতালের প্রয়োজনে গাইনী ওয়ার্ড পূর্নাঙ্গঁভাবে চালু করার পর হাসপাতালের পশ্চিম দিকে নির্দ্দিষ্ট জায়গায় কর্তুপক্ষের মৌখিক অনুমতিক্রমে ১৯৯৪ সালে মসজিদ নির্মাণ করা হয়৷ অতপরঃ মসজিদের জন্য নির্ধারিত জায়গায় দোকানঘর নির্মাণ করা হয় ৷
প্রতিযোগীতামূলক দরপত্রের মাধ্যমে দোকানঘর ২(দুই)টি ভাড়া দেওয়া হয় ৷ অগ্রিম হিসাবে নেওয়া টাকা জামানত হিসাবে গচ্ছিত রাখা হয় ৷ দোকানদারগণ যে মুহুর্তে দোকান ছেড়ে দিবে কমিটি সাথে সাথে জামানতের টাকা ফেরত দিতে বাধ্য থাকিবে ৷ কমিটির তত্ত্বাবধানে কমিটির ক্যাশিয়ার আব্দুল গফুর, ইন্সষ্ট্রাকটর, নার্সিং ইন্সষ্টিটিউট, রাঙামাটি যাবতীয় হিসাব নিকাশ ক্যাশ বহিতে লিপিবদ্ধ করে থাকেন ৷
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে জনতা প্যাথলজিসহ রাঙামাটি শহরে আমার (মো. শাহজাহান মজুমদার) কোটি টাকার ব্যবসা রয়েছে ৷ যাহা সত্য নয় ৷ জনতা প্যাথলজির মালিক মো. মজিবুল হক মজুমদার, তবলছড়ি বাজার,রাঙামাটি পার্বত্য জেলা ৷
প্রতিবেদকের বক্তব্য, রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মসজিদের বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদে কোন ধরনের দ্বিমত ছিলোনা। মসজিদের নাম ব্যবহার করে এবং রাঙামাটি জেলা সিভিল সার্জন অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শাহজাহান মজুমদারের দোহাই দিয়ে মসজিদের দক্ষিণ পার্শে সরকারী জমিতে অবৈধভাবে দখল করে বাড়িঘর নির্মান করে স্থায়ী ভাবে বসবাস করছে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের ও রাঙামাটি নার্সিং ইন্সষ্টিটিউটের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
আমরা “রাঙামাটি জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের বেহাল দশা” শিরোনামে সংবাদটির তথ্য অনুসন্ধান করেছি দীর্ঘ দিন ধরে, এসময়ে মসজিদের দক্ষিণ পার্শে সরকারী জমিতে অবৈধভাবে দখল করে বাড়িঘর নির্মান করে স্থায়ী ভাবে বসবাসকারী রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের ও রাঙামাটি নার্সিং ইন্সষ্টিটিউটের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাঙামাটি জেলা সিভিল সার্জন অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শাহজাহান মজুমদার গং এসব বেআইনী কাজে জড়িত থাকার বিষয়টি জানান।
রহস্যজনক কারনে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মসজিদের দক্ষিণ পার্শে সরকারী জমিতে অবৈধভাবে দখল করে বাড়িঘর নির্মান করে স্থায়ী ভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ করা হচ্ছেনা। এরাই চাকুরী থেকে অবসর নেয়ার পর গোপনে সরকারী এসব জমি অন্যজনের কাছে বিক্রয় করে দিয়ে টাকা নিয়ে চলে যাবে। ইতোপূর্বে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের কর্মচারী চাকুরী থেকে অবসর নেয়ার পর সরকারী জমিতে তাদের নির্মীত বাড়িঘর অন্যজনের কাছে বিক্রয় করার পরও তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এবং তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন কোন ধরনের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।
এছাড়া রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. স্নেহ কান্তি চাকমা নিজেও বিষয়টি অবগত নন এবং প্রতিবেদকের সামনে নতুন নির্মীত মসজিদের দোকানদারকে জিজ্ঞাসা করেন এসব দোকানের ভাড়া কারা দেন ও টাকা কে বা কারা নেন, দোকানদার এসময়ে রাঙামাটি জেলা সিভিল সার্জন অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শাহজাহান মজুমদারের নাম প্রকাশ করেছেন বলে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও জেলা সিভিল সার্জন প্রতিবেদন তৈরীকালিন স্বীকার করেছেন। যাহার প্রমানাদী প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।