মঙ্গলবার ● ১৮ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটি জেলা পরিষদের কর্মচারী আহম্মেদ উল্লাহ বরখাস্ত
রাঙামাটি জেলা পরিষদের কর্মচারী আহম্মেদ উল্লাহ বরখাস্ত
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (৩ কার্তিক ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৩০মি.) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি নিয়ে কূটক্তি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি পোস্ট করা ও শেয়ার করায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে অভিযুক্ত হয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রকৌশল শাখার অফিস সহকারী আহম্মেদ উল্লাহকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে করা হয়েছে।
১৬ অক্টোবর রবিবার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমার স্বাক্ষরিত এক আদেশে আহম্মেদ উল্লাহকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
আদেশে বলা হয়, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক আহম্মদ উল্লাহকে ফৌজদারী অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করায় বিএসআর পার্ট-১ এর ৭৩ নং বিধি নোট-২ অনুযায়ী গ্রেফতারের তারিখ ১৪ অক্টোবর হতে চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
বিএসআর পার্ট-১ এর ৭৩ নং বিধি ও এফ আর ৫৩ (বি) অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্তখালীন সময়ে প্রাপ্য খোরাকী ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধাদি ভোগ করবেন।
উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর আহম্মেদ উল্লাহ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট থেকে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ সরকার বিরোধী অপপ্রচার করা হয় এমন একটি পেজের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি ফটোশপে বিকৃত করে ছবি পুনরায় শেয়ার করে।
এতে দলমত নির্বিশেষে রাঙামাটিতে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।
আহম্মদ উল্লাহর এধরনের অপপ্রচারণায় ক্ষুব্ধ হয়ে শহরের কাঠাঁলতলী এলাকার বাসিন্দা যুবলীগের নেতা ঝিনুক ত্রিপুরা ১৪ অক্টোবর তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে আহম্মেদ উল্লাহর বিরুদ্ধে রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন।
দায়েরকৃত মামলায় আহম্মেদ উল্লাহকে তার বাসা থেকে গত শুক্রবার পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বর্তমানে আহম্মেদ উল্লাহ রিমান্ডে রয়েছে।
তবে গ্রেফতার হওয়ার আগের দিন ১৪ অক্টোবর আহম্মদ উল্লাহ তার ফেসবুকে দাবি করে কে বা কারা ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে এই পোস্ট শেয়ার করে।
এজন্য আহম্মেদ উল্লাহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ গ্রেফতারকৃত আহম্মদ উল্লাহ জামায়াত রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং তার পুরো পরিবার জামায়াত রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।