শুক্রবার ● ২৩ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » অপরাধ » গাজীপুরে গৃহবধূ হত্যার অভিযোগ
গাজীপুরে গৃহবধূ হত্যার অভিযোগ
গাজীপুর প্রতিনিধি :: গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ (শতামেক) হাসপাতালের দৰিণ পাশে ভোড়া এলাকায় স্বামীর হাতে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ উঠেছে৷ ঘটনার পর থেকে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছেন৷
২৩ অক্টোবর শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ (শতামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়৷
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে জানান, চান্দনা এলাকার হেলাল উদ্দিনের মেয়ে তাসলিমা খাতুনের সঙ্গে ভোড়া এলাকার আব্দুল হাইয়ের ছেলে মনিরের বিয়ে হয় প্রায় ৭ বছর আগে৷ বিয়ের পর থেকে যৌতুকসহ বিভিন্ন কারণে প্রায়ই তাসলিমাকে মারধর করতেন স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন৷ এরই জের ধরে কয়েক দিন আগে তাসলিমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়৷ পরে পারিবারিকভাবে বিচার-সালিশের মাধ্যমে সমঝোতা করে তাসলিমাকে ফিরিয়ে নেন তার স্বামী৷
যৌতুকের জন্য বৃহস্পতিবার রাতে ফের তাসলিমাকে মারধর করেন তার স্বামী মনির৷ একপর্যায়ে তাসলিমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে বলে অভিযোগ স্বজনদের৷
শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ (শতামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়৷ নিহত তাসলিমার তিন বছরের একটি মেয়ে রয়েছে ৷
তাসলিমার হত্যাকারীর বিচার দাবি করে স্বজনরা বলেন, যৌতুকের কারণেই তাসলিমাকে হত্যা করা হয়েছে৷ রাতেই বাড়ি থেকে পালিয়েছে তাসলিমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন৷
নিহতের দাদা আনোয়ার হোসেন আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে প্রায় তাসলিমাকে মারধর করতো মনির৷ তার দাবি অনুযায়ী ফ্রিজ ও আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন সময় নগদ টাকা দেয়া হয়৷ তিনদিন আগে মনির একই দাবিতে তাসলিমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়৷ পরে ঘরোয়াভাবে বিচার সালিশ করে তাসলিমাকে স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হয়৷ কিন্তু গেল রাতেই তাকে খুন করে মনির৷’ তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে তার নাতনী হত্যার বিচার দাবি করেন৷
এ ব্যাপারে জয়দেবপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুর রহমান মল্লিক আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে বলেন, ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হলেও ঘরের দরজা আগে থেকে খোলা ছিল৷ লাশের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে৷ তবে নিহতের পরিবার এটিকে হত্যাকাণ্ড বললেও ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে৷
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ (শতামেক) হাসপাতালের আবাসিক চিকিত্সক ডা. মো. আবদুস সালাম সরকার আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে জানান, লাশের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে৷ মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্তেপর বলা যাবে আপলোড : ২৩ অক্টোবর ২০১৫ : বাংলাদেশ : সময় : সন্ধ্যা ৬.৫০ মিঃ