বৃহস্পতিবার ● ২০ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » ঝিনাইদহের শিক্ষার্থীর লিপুর লাশ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে
ঝিনাইদহের শিক্ষার্থীর লিপুর লাশ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (৫ কার্তিক ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশসময় সন্ধ্যা ৬.১৬মি.) ঝিনাইদহের ছাত্রের লাশ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আবদুল লতিফ হল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ ২০ অক্টোবর বৃহষ্পতিবার সকালে লিপুর লাশ উদ্ধার হয়।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পূর্ব) আমীর জাফর বলেন, “প্রাথমিকভাবে সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে, তাকে খুন করা হয়েছে৷”
ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু থানার মকিমপুর গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে শিক্ষার্থী লিপুর মায়ের কাছ থেকে জানা যায়, মোতালেব হোসেন লিপু নামের ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বষের্র ছাত্র ছিলেন৷ তিনি ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু থানার মকিমপুর গ্রামের বদর উদ্দিনের ছেলে৷
লিপু হলের দোতলায় ২৫৩ নম্বর কক্ষে থাকতেন৷ ২০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে হলের নিচতলায় ডাইনিংয়ের পাশে নর্দমায় তার লাশ পাওয়া যায় বলে মতিহার থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান৷
উপ-কমিশনার আমীর বলেন, “ওর মাথায় বড় ধরনের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে৷ ময়নাতদন্ত করলে মৃত্যু্র কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে৷”
হল ডাইনিংয়ের কর্মচারী রিনা জানান, ড্রেইনে পড়ে থাকা লাশের গায়ে কোনো পোশাক ছিল না৷
লতিফ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক বিপুল কুমার বিশ্বাস বলেন, হলের কর্মচারীরা সকালে নর্দমায় লাশ পড়ে থাকতে দেখে তাকে খবর দেন৷ পরে তিনি পুলিশকে জানালে তারা এসে লাশ নিয়ে যায়৷
লিপুর রুমমেট রাজিবুল ইসলাম রাজিব বলেন, লিপু কোনো রাজনৈতিক সংগঠনে জড়িত ছিলেন না৷ রাত ১২টার দিকে ও ঘুমানোর জন্য রুমে আসে৷ আমিও তখন শুয়ে পড়েছি৷ গভীর রাতে একবার দরজা খোলার শব্দ পেয়েছিলাম৷ কিন্তু খেয়াল করিনি৷ ”
রাজিব আরো জানান, লিপু প্রতিদিন সকালে ব্যায়াম করতে বের হতেন৷ কিন্তু যখন তার লাশ পাওয়া গেল, তখন গায়ে কোনো কাপড় ছিল না৷
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র সত্য সরকার জানান, লিপু বাড়ি থেকে ঘুরে এসে বুধবার হলে ফিরেছিলেন৷ রাত ৮টার দিকে তাদের দেখা হলে সামনের ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা নিয়ে তাদের মধ্যে কথাও হয়েছিল৷ তবে সে সময় অস্বাভাবিক কিছু তার চোখে পড়েনি৷
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মজিবুল হক আজাদ খান বলেন, “পুলিশ বিষয়টি তদনত্ম করে দেখছে৷ আমরাও দেখছি৷ ময়নাতদনত্মের পর লিপুর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে৷”