শুক্রবার ● ২৩ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » অপরাধ » গুরুদাসপুরে প্রতিমা ভাংচুরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
গুরুদাসপুরে প্রতিমা ভাংচুরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
গুরুদাসপুর প্রতিনিধি:: আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারনে নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর শহরের চাঁচকৈড় কাচারিপাড়া কালিবাড়ি সংলগ্ন দূর্গা মন্দিরের ৬টি প্রতিমা ভাংচুর করেছে দুস্কৃতিকারীরা এবং ওই দূর্গা মন্ডপে কর্তব্যরত আনসার সদস্য এপিসি রজিব আলী দুস্কৃতিকারীদের হামলায় গুরুতর জখম হয়৷ প্রতিবাদে হিন্দু-মুসলিম, নারী-পুরুষ লাঠি-ঝাটা হাতে বিক্ষোভ মিছিল করে রাসত্মায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে এবং কাঠের গুড়ি ফেলে দুস্কৃতিকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবীতে থানার গেট অবরোধ করে রাখে৷
গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিত্সাধীন আহত আনসার সদস্য এপিসি রজিব আলী জানায়, শুক্রবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে মুখে গামছা বাঁধা কতিপয় দুস্কৃতিকারী ধারালো অস্ত্র হাতে চাঁচকৈড় বাজারপাড়ার কালি মন্দির সংলগ্ন দূর্গা মন্ডপে ঢুকে তাকে মারপিট করে দূর্গা প্রতিমা সহ ৬টি প্রতিমা ভাংচুর করে চলে যায়৷
এ ঘটনায় মাইক্রো ড্রাইভার জাহিদ (৩২) ও ওমর আলী (৩০) নামের সন্দেহভাজন ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ৷
খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় সাংসদ অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বিদের উদ্দেশ্যে বলেন, এ ঘটনায় আমরা দুঃখিত ও লজ্জিত ৷ প্রতিমা ভাংচুরকারীদের বিরুদ্ধে তড়িত্ ব্যবস্থা নেয়া হবে৷
এসময় নাটোর জেলা প্রশাসক মো. মশিউর রহমান, নাটোর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন মুন্সি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার, বড়াইগ্রাম সার্কেলের এএসপি শফিকুল ইসলাম, ওসি মোহাম্মদ ইব্রাহীম, উপজেলা হিন্দু-বৈদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ধীরেন ঘোষ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন৷
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই দূর্গা মন্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরনের লক্ষ্যে গুরুদাসপুর থানার এএসআই সাইফুল ইসলাম ছাড়াও ৪জন আনসার সদস্য দায়িত্বরত থাকার কথা ছিল৷ কিন্তু ঘটনার সময় একমাত্র আনসার সদস্য ছাড়া অন্য কেই উপস্থিত ছিলেন না৷ যার কারনে দুস্কৃতিকারীরা আনসার এপিসি রজিব আলীকে একা পেয়ে মারপিট করে গুরুতর জখম করে নির্ভিগ্নে মন্ডপে ঢুকে ৬টি প্রতিমা ভাংচুর করে চলে যায়৷
ওই পূজা মন্ডপের সাধারন সম্পাদক মদন কর্মকার বলেন, মন্দির থেকে রাত ৩টার দিকে বাড়ি যাওয়ার পর ৫টার দিকে ফোনে আমাকে জানানো হয় প্রতিমা ভাংচুর করা হয়েছে ৷ তাত্ক্ষনিক পুলিশকে ঘটনাটি অবহিত করে মন্দিরে গিয়ে দেখি ৬টি প্রতিমার মাথা নেই৷
চাঁচকৈড় হরিবাসর পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিমল চন্দ্র কুন্ডু ক্ষোভে দুঃখে বলেন, প্রশাসনের দায়িত্বহীনতার কারনে এ ঘটনা ঘটেছে ৷
ওই পূজা মন্ডপ সহ ৬টি পূজা মন্ডপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি ঘটনার সময় চাঁচকৈড় ধানহাটা রাজরাজেশ্বরী নাট মন্দিরে দায়িত্ব পালন করছিলেন৷
এ ব্যাপারে নাটোর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন মুন্সি বলেন, দুস্কৃতিকারীরা যত শক্তিশালীই হোক না কেনো, তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ব্যবস্থা করা হবে ৷ আপলোড : ২৩ অক্টোবর ২০১৫ : বাংলাদেশ : সময় : রাত ৮.৩৮মিঃ