শুক্রবার ● ২১ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » ঝিনাইদহের লিপু হত্যার রহস্য হুমকি : হত্যার বিচার চাইলেন পরিবার
ঝিনাইদহের লিপু হত্যার রহস্য হুমকি : হত্যার বিচার চাইলেন পরিবার
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোতালেব হোসেন লিপু সর্বশেষ বাড়ি আসে গত পুঁজোর ছুটিতে৷ লিপু হত্য রহস্য ফাঁস না হলেও ক্যাম্পাসে ফেরার আগের দিন সোমবারে লিপুর সাথে মোবাইল ফোনে হুমকি-ধামকি ও কথা কাটাকাটি হয়েছিল বলে লিপুর পরিবার থেকে জানাগেছে৷
মোতালেব হোসেন লিপুকে দাফন করে এলাকায় ও লিপুর পরিবারে চলছে শোকের মাতম৷ বুক ফাটানো কান্না থামানো যাচ্ছেনা লিপুর হতভাগী মা হোসনেয়ারা বেগম ও স্বজনদের৷ সেই সাথে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকা জুড়ে৷
একেবারেই নরম ও ভদ্র স্বভাবের ছিলেন রাবি’র গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র ঝিনাইদহের মোতালেব হোসেন লিপু৷ বাড়িতে কম কথা বলতেন, ছিলেন অনেকটা চাপা স্বভাবের৷ সে কোন রাজনৈতিক সংগঠনের সাছে জড়িত ছিল না, পড়া-লেখাই ছিল একমাত্র কাজ৷
তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সুরক্ষিত স্থানে থেকেও লাশ হয়ে ঘরে ফেরা কোনভাবেই মানতে পারছেন না তার পরিবার ও এলাকাবাসী৷ নিজেরা মামলা না করলেও বলছেন সরকার এর বিচার করুক৷ লিপুকে পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে এমন আশংকা পরিবারের ৷
চাচাত ভাই শাসুম মোলস্ন্যা জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোতালেব হোসেন লিপু সর্বশেষ বাড়ি আসে গত পুঁজোর ছুটিতে৷ মঙ্গলবারে সে ক্যাম্পাসে ফিরে যায়৷ কেন সে লাশ হলো, কেন তাকে বাঁচতে দেয়া হলো না, কারা ছিল তার ঘাতক এমন প্রশ্ন সবার মাঝে৷
বৃহস্পতিবার দুপুরে সহকর্মীদের ফোন আর টিভির খবর দেখে লিপুর পরিবার জানতে পারে তাদের ছেলে খুন হয়েছে, লাশ পড়ে আছে ক্যাম্পাসের ডাইনিংয়ের ড্রেনে৷ ঝিনাইদহের প্রত্যানত্ম পল্লী হরিনাকুন্ডুর মকিমপুর গ্রামে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে নেমে আসে শোকের ছায়া৷
লিপুর বাবা একজন গাড়ি চালক জানান, ২ ভাই এক বোনের মধ্যে লিপু ছিল বড়৷ শুক্রবার গভীর রাতেই নিহত লিপুর মরদেহ গ্রামের বাড়ি মকিমপুরে আনার পর দাফন সম্পন্ন হয়৷
লিপুর মা হোসনেয়ারা জানান, অনেক স্বপ্ন-সাধনায় থাকা ছেলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে এমন মৃত্যু খবরে নির্বাক৷ কি বলবেন তারা, কি করনীয় কিছুই গুছিয়ে বলতে পারলেন না তবে ক্ষীণকন্ঠে বিচার চাইলেন সরকারের কাছে ৷ বললেন ছেলে দোষি কি নির্দোষি তা সরকারের কাছেই জানতে চাই৷
লিপুর মা আরো বলেন, ক্যাম্পাসে ফেরার আগের দিন মোবাইলে হুমকি ও কথাকাটাকাটি হয়েছিল,আমি ঘটনা জানতে চাইলে লিপু বলে কোন ব্যাপর না আমার রম্নমমেটের সাথে ফোনে কথা হচ্ছিল৷
আমি লিপুর রুমমেটের মোবাইল নাম্বর জানতে চাইলে লিপু একটু চুপ করে থেকে বলল, এবার ক্যাম্পাস থেকে ঘুরে এসে দিব৷ পরিশেষে লিপুর পরিবার বিচার চাইলেন সরকারের কাছে৷