শনিবার ● ২২ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » বরগুনায় অনৈতিক ভাবে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার অতিরিক্ত ফি নেয়ার অভিযোগ
বরগুনায় অনৈতিক ভাবে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার অতিরিক্ত ফি নেয়ার অভিযোগ
মুতাসিম বিল্লাহ, বরগুনা প্রতিনিধি ::(৭ কার্তিক ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় সকাল ১১.০৭মি.) শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা উপেক্ষা করে বরগুনার বামনা উপজেলায় আসন্ন জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার প্রবেশ পত্রের জন্য বোর্ড নির্ধারিত ফি ১শত ৫০টাকার পরিবর্তে ৪শত টাকা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়
করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, আগামী ১লা নভেম্বর থেকে অনুষ্ঠিতব্য জেএসসি পরীক্ষায় এবারে বামনা
উপজেলার আসমাতুন্নেসা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬টি বিদ্যালয়ের ৫৭৯ জন ও হলতা ডৌয়াতলা সমবায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে ১০টি বিদ্যালয়ের ৮৩২ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করবে।
দুটি কেন্দ্রের মোট ১৪১১ জন জেএসসি পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রবেশ পত্রের ফি বাবদ ৪শত টাকা করে ৫লাখ ৬৪ হাজার ৪০০টাকা এবং উপজেলার বামনা সদর আর রশিদ ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ১২ টি মাদ্রাসার ৩১৮ জন জেডিসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১লাখ ২৭ হাজার ২০০ টাকা উত্তোলন করা হবে।
এতে জেএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩লাক্ষ ৫২হাজার ৭শত ৫০ টাকা এবং
জেডিসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৭৯ হাজার ৫০০টাকা সর্বমোট ৪লাক্ষ ৩২হাজার ২শত ৫০টাকা প্রবেশ পত্রের নামে অতিরিক্ত ফি হাতিয়ে নিচ্ছে বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা পরিক্ষা পরিচলানা কমিটির কর্তৃপক্ষরা।
বামনা উপজেলা সদরের সারওয়ারজান মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক এএসএম হারুন অর রশিদ জানান, পরীক্ষা কমিটির সভায় কোন আলোচনা না করেই কেন্দ্র সচিব শম্ভু নাথ ভৌমিক প্রবেশ পত্রের জন্য বোর্ড নির্ধারিত ১শত ৫০টাকার পরিবর্তে ৪শত টাকা ফি ধার্য্য করে সভার পূর্বে লেখা পরীক্ষা বাজেট ও
রেজুলেশ খাতায় স্বাক্ষর নেয়। আমার বিদ্যালয়ের ২০০ পরীক্ষার্থী বাড়তি ২৫০ টাকা
করে দিয়ে অর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আসমাতুন্নেসা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান
শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব শম্ভু নাথ ভৌমিক এ প্রতিবেদককে বলেন, আপনার কাছে আমি কৈফিয়ত দিবনা বলে, মোবাইল ফোনের সংযোগটি বিছিন্ন করে দেন।
হলতা ডৌয়াতলা সমবায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অপর কেন্দ্র সচিব মো. নুরুল হক খান জানান, পরীক্ষা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রত্যেক পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৪শত টাকা করে প্রবেশ পত্রে ফি নেওয়া হচ্ছে। এই টাকায় পরীক্ষা কেন্দ্রের অন্যান্য খরচ মেটানো হবে।
এ বিষয়ে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোডের্র চেয়ারম্যান মো. জিয়াউল হক বলেন, শিক্ষা মন্ত্রানলয় ও শিক্ষা বোর্ড কেন্দ্র ফি নির্ধারন করে দিয়েছে। বাড়তি টাকা নেওয়া ভয়ানক অনৈতিক কাজ, অভিযোগের সত্যতা প্রমান পেলে কেন্দ্র বাতিলসহ সচিবের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অপরদিকে বামনা সদর আর রশিদ ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব মাওলানা মো. ইউনুস জানান, আমাদের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম হওয়ায় আমরা মাদ্রাসা বোর্ড নির্ধারিত ২০০ টাকার পরিবর্তে ৪০০ টাকা করে প্রবেশ পত্র ফি আদায় করছি। আদায়কৃত বাড়তি টাকা পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কাজেই খরচ করা হবে।