মঙ্গলবার ● ২৫ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » জনদুর্ভোগ » সিলেটে সেতুর অভাবে তিন উপজেলা বাসীর দুর্ভোগ চরমে
সিলেটে সেতুর অভাবে তিন উপজেলা বাসীর দুর্ভোগ চরমে
সিলেট জেলা প্রতিনিধি :: (১০ কার্তিক ১৪২৩ বাংলা: বাংলাদেশ সময় বেলা ২.৫৫মি.) সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা সীমান্তবর্তী দশঘর ইউনিয়নের ‘কয়বরকালি’ নামক স্থানে একটি সেতুর অভাবে তিন উপজেলা বাসীর দুর্ভোগ চরমে। স্বাধীনতার পর থেকে উপজেলার সীমান্তবর্তী ওই এলাকায় উন্নয়নের কোনো ছোঁয়াই লাগেনি। নির্বাচনে এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় চেয়ারম্যানবৃন্দরা বিজয়ী হওয়ার পর সেই অবহেলিত জনপদে কোনো উন্নয়নই করেননি। এমন অভিযোগ স্থানীয় জনসাধরণের। ফলে এলাকার লোকজন একটি অবহেলিত জনপদ হিসেবে বসবাস করে আসছেন।
জানা যায়, কয়বরকালি নামক স্থানে চরচন্ডি নদীর সাথে সংযুক্ত জামাইকাঁটা হাওরের একটি খাল রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে ওই খালের ওপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে জগন্নাথপুর-ছাতক ও বিশ্বনাথ এ তিনটি উপজেলার জনসাধারণ চলাচল করে আসছেন। সকাল হলে স্কুল শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো পারাপার হয়ে যাওয়া-আসা করতে হয়। এতে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় দূর্ঘটনার শিকারও হচ্ছেন অনেক শিক্ষার্থীরা। নির্বাচন আসলে প্রার্থীরা শুধু ভোট ভিক্ষার জন্য ওই অবহেলিত মানুষের দোয়ারে দোয়ারে গিয়ে ভোট চান। তখন এলাকাবাসী প্রার্থীদের কাছে তাদের প্রাণের দাবি একটি সেতু আর দুই কিলোমিটার রাস্তা পাঁকাকরণের কথা তুলে ধরেন। তখন প্রার্থীরাও ভোট পাওয়ার আসায় তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। কিন্তু নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে জনগণকে দেয়া সেই প্রতিশ্রুতির কথা ভুলে যান। বর্ষায় প্রায় দুই কিলোমিটার কাঁদা-মাটির রাস্তা দিয়ে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরাসহ জনমানুষের চলাচল করতে হয়। একটি সেতুর জন্য মানূষের ভোগান্তির শেষ নাই। তাইতো বিভিন্ন সময়ে সেতুর দাবীতে মানব বন্ধন, পথ সভা, উঠান বৈঠক ও স্বারক লিপি দেওয়াসহ বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করে কোন ফল না পেয়ে ধৈর্য হারা জনতা গত শুক্রবার বিকেলে কয়বরকালি নামক স্থানে বাঁশের সাঁকোর ওপর দাড়িয়ে ভিন্নধারায় একটি মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। সরকারের কাছে এলাকাবাসীর একটাই দাবি তিন উপজেলাবাসী ও শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে সেখানে একটি সেতু নির্মাণ করা অতি জরুরী।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- ছালিয়া গ্রামের আশিক আলীর, কুতু বউদ্দিন, সেবুল মিয়া, দিলাল হোসেন, বিলাল মিয়া, ইকবাল মিয়া, খালিক মিয়া, মকদ্দুছ আলী, মানিক মিয়া, তাজ উল্লা, সবর আলী, আজমান আলী, জমির আলী, মজিদুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, এনামুল ইসলাম, শিপন মিয়া, জমসেদ আ বিলাল, আনসার, আনু, আজিম, হাফিজ, সাইদুল, শের আলী, আজাদ, আখলাছ, মন্নান, খছরু মিয়া, কামাল, সালেহ আহমদ প্রমুখ।