মঙ্গলবার ● ২৫ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » ঝিনাইদহে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ২ যুবক নিহত
ঝিনাইদহে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ২ যুবক নিহত
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (১০ কার্তিক ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৫৭মি.) ঝিনাইদহ শহরের বাইপাস সড়কে পুলিশের সাথে কতিথ বন্দুকযুদ্ধে জহুরুল ইসলাম টিটোন ৩৫ ও তারিক হাসান সজিব ৩০ নামের দুই যুবক নিহত হয়েছে৷
এ ঘটনায় পুলিশের ৩ কনস্টেবল নাসিম, আলমগীর ও বুলবুল আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়৷ নিহত তারিক হাসান আরাপপুরের মৃত আব্দুল লতিফ এর ছেলে৷
অন্যদিকে কালীগঞ্জের আগমুন্দিয়া কলেজের প্রভাষক ও ঝিনাইদহ শহর জামায়াতের আমির জহুরুল ইসলাম টিটোন ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ড কলোনির বাসিন্দা সমসের আলী মোল্লার ছেলে৷ তার বাবা পানি উন্নয়ন বোডের্র অবসরপ্রাপ্ত শাখা কর্মকর্তা৷
এদিকে নিহতের স্বজনদের দাবি জহুরুল ইসলামকে গত ৭ সেপ্টেম্বর ও তারিক হাসানকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর পুলিশ পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে যাও হয়৷ সেই থেকে তারা নিখোঁজ ছিলেন৷
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলশ সুপার আজবাহার অলী শেখ জানান শহরের বাইপাস সড়ক দিয়ে কালীগঞ্জ থেকে ৩টি মটর সাইকেলে কয়েকজন সন্ত্রাসী বাস টার্মিনালের দিকে যাচ্ছিল৷
পবহাটি শহীদ নজির উদ্দীন সড়কে মটর সাইকেল ৩টি পুলিশের টহল দল থামানোর সংকেত দিলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে হাত বোমা নিক্ষেপ ও গুলি বর্ষণ করে৷ আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়৷ দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির এক পর্যায়ে ২টি মটর সাইকেলে তাদের কয়েকজন পালিয়ে যায়৷
পুলিশ সেখান থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ২ জনকে উদ্ধার করে ২৫ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোরে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিত্সকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন৷
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি মটর সাইকেল ২টি ওয়ান শুটার গান, ২ রাউন্ড গুলি, ৫টি হাতবোমা ও ২টি চাপাতি উদ্ধার করেছে৷
ঝিনাইদহ হাসপাতাল মর্গে সজিবের শ্যালক মুসা দাবি করেন তার ভগ্নিপতি কোন দলের সাথে জড়িত ছিলেন না৷ তিনি হারবাল চিকিত্সার উপর লেখাপড়া শেষ করে কিছুদিন ঝিনাইদহ ইসলাম ব্যাংক কমিউিনিটি হাসপাতালে রোগী দেখতেন৷ এরপর তিনি সিরাজগঞ্জে নিজস্ব ব্যাবসা শুরু করেন৷
মুসা অভিযোগ করেন গত ঈদুল আযহার দিন সন্ধ্যায় পুলিশ পরিচয়ে তাকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয় হয়৷
এঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি জিডিও করেছেন তারা সজিবের বিরুদ্ধে কোন মামলা বা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ নেই বলেও দাবি করে তিনি৷
এদিকে জহুরুল ইসলাম এর বাবা সমসের আলী মোল্লা জানান, তার ছেলে গত ৭ সেপ্টম্বর ইসলামী ব্যাংক থেকে টাকা উঠিয়ে ফেরার পথে পুলিশ পরিচয়ে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেই থেকেই জহুরুল ইসলাম নিখোজ ছিলেন৷
জহুরুল ইসলাম ছাত্র জীবনে শিবিরের ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি ও পরবর্তীতে ঝিনাইদহ শহর শাখার আমিরের দায়িত্ব পালন করছিলেন৷ তিনি কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন না বলে তার পরিবারের দাবি৷