বুধবার ● ২৬ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » যুদ্ধাপরাধী গোলাপের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তদন্ত শুরু
যুদ্ধাপরাধী গোলাপের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তদন্ত শুরু
উত্তম কুমার পাল হিমেল, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :: নবীগঞ্জের কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী গজনাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল খায়ের গোলাপের বিরোদ্ধে যুদ্ধাপরাধীর মামলার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এক তদন্ত দল ২৫ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে সরেজমিন তদন্তকাজ শুরু করেছে ৷ তদন্তকালে গ্রামবাসী ও মামলার বাদীদের সাফাই স্বাক্ষী গ্রহন করেন৷
জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের মাহমদপুর গ্রামের মৃত মতিউর রহমান উমরা মিয়ার পুত্র সাবেক চেয়ারম্যান আবুল খায়ের গোলাপ এর বিরোদ্ধে গত ১৩ মার্চ ২০১৬ইং তারিখে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় অবস্থিত অফিসে উপজেলার আতানগীরি গ্রামের রইছ উল্লার স্ত্রী সুকুরি বিবি এক অভিযোগ দায়ের করেন৷
অভিযোগে তিনি বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান গোলাপ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে আলবদর আলসামছ ও রাজাকার বাহিনীর সংঘটক ছিলেন৷
উক্ত গোলাপের নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দিনারপুর হাই স্কুলে ক্যাম্প স্থাপন করিয়া বিভিন্ন স্থান থেকে যুবতি মেয়েদের ধরে এনে ধর্ষন সহ পাশবিক অত্যাচার নির্যাতন করিত৷ অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয় ১৯৭১ সালের ১২ই নভেম্বর বিকাল ৪ঘটিকার সময় আসামী গোলাপের নেতৃত্বে একদল পাক হানাদার বাহিনী বাদীনির বসত ঘরে আসিলে ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে বাহির হয়ে দৌড় দিলে আসামী গোলাপ তাকে দৌড়াইয়া ধরে ফেলে৷ পরে তাকে পাকহানাদার বাহিনীর নিকট তুলে দেয়৷ পরে পাকহানাদার বাহিনী তাদের ক্যাম্পে নিয়া ওই বাদীনিকে পালাক্রমে ধর্ষন করে এবং আসামী গোলাপও বাদীনিকে ধর্ষন করে বলে অভিযোগ করেন৷ এছাড়া ওই গ্রামের আরো অনেক নিরহ নারীকে জোর পূর্বক ধরে নিয়ে ধর্ষন করে পাকহানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ আসামী পক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় নিরব ও আত্মগোপনে ছিলেন৷
বর্তমান সরকারের আমলে যুদ্ধপরাধী ও মানবতা বিরোধী ব্যাক্তিদের বিচারকার্য শুরু হলে তিনি এই অভিযোগ করেন৷ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল এর তদন্তদলের প্রধান নুর হোসেন এর নেতৃত্বে এই তদন্ত করা হয়৷
এ সময় তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান আবুল খায়ের গোলাপের বিরোধী যুদ্ধাপরাধী অভিযোগ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত কাজ চলছে৷ কিছু দিনের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে৷
তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে বলেন, যুদ্ধাপরাধী গোলাপ নয়, হাজারো রাজাকার আলবদরাই ছিল প্রভাবশালী৷ গোলাপের বিরুদ্ধে প্রমান পাওয়া গেলে আদালতে প্রতিবেদন প্রেরন করা হবে৷