শনিবার ● ২৯ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বেতাগীতে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
বেতাগীতে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
বরগুনা প্রতিনিধি :: (১৪ কার্তিক ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.৫৮মি.) বরগুনার বেতাগীতে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের
অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ অভিযোগে তাদের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে স্কুলের শিক্ষার্থী, অভিবাবক ও এলাকাবাসী।
জানাগেছে,উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নের তালগাছিয়া দেশান্তরকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহমুদুল আলম খান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক
মো. দেলোয়ার হোসেনের যোগসাজশে শিক্ষার্থীদের নাম দিয়ে শিক্ষকের নিজের,তার
স্ত্রী ও বাবার মুঠোফোনে ডাচ- বাংলা ব্যাংকের হিসাব খুলে এ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগিরা।
আব্দুস সালাম, রিয়াজুল ইসলাম ও আবদুর রশীদের সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা পরিষদের আভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি এর সত্যতা
পেয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতির নিকট ইতোমধ্যে তাদের রির্পোট দাখিল করছেন।
বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. আব্দুল জলিল মৃধা জানান, রিপোর্ট পাওয়ার পর বৃহাস্পতিবার ২৭ অক্টোবর কমিটির পক্ষ থেকে তাদের দ্বিতীয় শোকজ
নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
তাদের তদন্ত সুত্রে জানাগেছে, সহকারি প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেনের
০১৭১৮৪৭৮৫৯৫ নাম্বর মুঠোফোনে উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী লিজা আক্তারের অনুকূলে ১৯২৪ টাকা, তার বাবা মো. ইসমাইলের ০১৭৭৭৩৯১৩১৩৫ নাম্বর মুঠোফোনে শিক্ষার্থী মো. সেনাবীর অনুকূলে ১৩৬০ টাকা ও তার স্ত্রী রুমা বেগমের ০১৭৫০৫০৪৮৫৮ নাম্বর মুঠোফোনে শিক্ষার্থী আখি আক্তারের অনুকূলেলে ১৬৬০ টাকা এখন জমা রয়েছে।
প্রধান শিক্ষক মো. মাহমুদুল আলম খান ও সহকারি প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন এ বিষয় একে অপরকে দায়ী করলেও দুই শিক্ষকই এ সরকারি টাকা আত্মসাত করে বলে তদন্ত কমিটি জানায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহমুদুল আলম খান বলেন, উপবৃত্তির কাগজ তৈরি করে সেখানে সহকারী প্রধান শিক্ষক তিনি ও তার বাবা এবং স্ত্রীর মোবাইল নম্বরের বীপরীতে হিসাব খোলা হয়েছে কিনা তা তিনি যাচাই করতে পারেনিন।
সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, ৩ শিক্ষার্থীর মুঠোফোন না
থাকার অজুহাতে ভূয়া কাগজ জমা দিয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাব খুলেছেন। এ জন্য তিনি দায়ী নয়। গত ১৭ অক্টোবর সোমবার তাদের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থী, অভিবাবক ও এলাকাবাসী স্কুল ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
এতে বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য আবদুস সালাম, অভিবাবক আবদুস সালাম শরীফ ও শামিম মল্লিক প্রমুখ।
এসময় তারা অভিযোগ করেন, চারবছর যাবৎ বিদ্যালয়রে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক যৌথভাবে বিদ্যালয়ের দরিদ্র শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা গোপনে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে আসছেন। এবিষয়ে অভিযোগ করলেও তারা কর্ণপাত করেননি। আর এতে বঞ্চিত হয়েছে ওই প্রতিষ্ঠানের উপবৃত্তি যোগ্য অসহায় ও মেধাবী
শিক্ষার্থীরা।
এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শাহজাহান আলী শেখ জানান, আমি এধরনের অভিযোগ শুনেছি, কিন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি বিধায় ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছেনা।
অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।